Risingbd:
2025-05-12@11:13:59 GMT

শুটিং সেটে আহত তটিনী

Published: 11th, May 2025 GMT

শুটিং সেটে আহত তটিনী

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিম সাইয়ারা তটিনী চট্টগ্রামে ঈদুল আজহা উপলক্ষে নির্মিত একটি নাটকের শুটিং করতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তার সহশিল্পী তৌসিফ মাহবুব।

তৌসিফ জানান, “আমরা চট্টগ্রামে ঈদের একটি নাটকের শুটিং করছিলাম। আজ সন্ধ্যায় শুটিং সেটের একটি লাইট স্ট্যান্ড দুর্ঘটনাবশত তটিনীর মাথার ওপর পড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আপাতত সে ভালো আছে।”

জানা গেছে, চট্টগ্রামের লেডিস ক্লাবের পাশে অবস্থিত এক বাংলোতে ‘মন মঞ্জিলে’ নামের নাটকের শুটিং চলছিল। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অসাবধানতাবশত সেটের একটি ভারী লাইট স্ট্যান্ড তটিনীর ওপর পড়ে যায়, এতে তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পান। দ্রুতই তাকে কাছের ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাথায় আঘাত পাওয়ায় তটিনীকে বর্তমানে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং আপাতত কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, হাসিব হোসাইন রাখি পরিচালিত ‘মন মঞ্জিলে’ নাটকটি আসন্ন ঈদুল আজহায় প্রচারের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে।

ঢাকা/রাহাত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চবির সমাবর্তন বুধবার, সনদ পাবেন ২৩ হাজার শিক্ষার্থী

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী বুধবার (১৪ মে)। এই সমাবর্তনে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পাশ করা প্রায় ২৩ হাজার শিক্ষার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে সনদ পাবেন।

সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্ঠা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস। এ অনুষ্ঠানে তাকে ডিলিট ডিগ্রি প্রদান করবে চবি।

সোমবার (১২ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চবির পঞ্চম সমাবর্তন নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমাবর্তন কমিটি-২০২৫ এর সদস্য সচিব অধ্যাপক মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী।

আরো পড়ুন:

চবিতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে ই-কার সেবা

সমাবর্তন ঘিরে চবিতে নিরাপত্তা জোরদার, পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার নির্দেশ

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশের অন্যতম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০টি অনুষদের অধীনে বর্তমানে ৪৮টি বিভাগ, ৬টি ইনস্টিটিউট এবং পাঁচটি গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৮ হাজার ৫১৫ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। শিক্ষক ৯৯৬ জন, কর্মকর্তা ৪৪৫ জন, কর্মচারী (তৃতীয় শ্রেণী) ৫৪৫ জন এবং কর্মচারী (চতুর্থ শ্রেণি) ৯৮৩ জন।

শিক্ষার্থীদের আবাসনের জন্য ১৪টি হল রয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রদের জন্য নয়টি, ছাত্রীদের জন্য পাঁচটি এবং হোস্টেল রয়েছে একটি। স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) ডিগ্রি ছাড়াও এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল, পিএইচডি, এমডি, এমএস (মেডিক্যাল সায়েন্স) উচ্চতর ডিগ্রী প্রদান করা হয়।

আগামী ১৪ মে চট্টগ্রাম বিশ্বিবিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রায় ২৩ হাজার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবেন। এ কনভোকেশনে প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ডিলিট ডিগ্রি প্রদান করা হবে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অতিথিসহ প্রায় ২৫ হাজার অতিথির বসার জন্য মূল প্যান্ডেল প্রস্তুত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, সমাবর্তনের প্রধান বিষয় হচ্ছে সনদ প্রদান বা গ্রহণ। শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদানের জন্য উপাচার্য এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের স্বাক্ষরসহ সনদ প্রস্তুতির কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে।

এই সমাবর্তনে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক ও আমন্ত্রীত অতিথিসহ ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ মানুষের সমাগম হতে পারে। ১০০টি বড় বাস চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে সকাল ৬টা থেকে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের নিয়ে যাতায়াত শুরু করবে। এছাড়া নির্ধারিত শার্টল ট্রেনে করেও সমাবর্তীরা ক্যাম্পাসে যেতে পারবেন।

পঞ্চম সমাবর্তনে ৪২ জন পিএইচডি এবং ৩৩ জন এমফিল ডিগ্রিসহ মোট ২২ হাজার ৫৮৬ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হবে। এর মধ্যে কলা ও মানববিদ্যা বিভাগে ৪ হাজার ৯৮৮ জন, বিজ্ঞান বিভাগে ২ হাজার ৭৬৬ জন, ব্যবসায় প্রশাসনে ৪ হাজার ৫৯৩ জন, সমাজ বিজ্ঞান ৪ হাজার ১৫৮ জন, জীববিদ্যা বিভাগে ১ হাজার ৬৮৫ জন, ইঞ্জিনিয়ারিং ৭৯৬ জন, আইন ৭০৩ জন, শিক্ষা ৩১৭ জন, মেরিন সায়েন্স ২৮৪ জন, চিকিৎসা ২ হাজার ২৯৬ জন বিভিন্ন ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক), বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্বাস্থা ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম, ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এসএমএ ফায়েজ।

এবারের সমাবর্তনের প্রাক্কলিত বাজেট প্রায় ১৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশী খরচ হচ্ছে প্যান্ডেল, সাজ-সজ্জা ও আসন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে। এরপর খাদ্য, গাউন, পরিবহন, সনদ, শৃংখলা, স্মরণিকা, প্রচার-প্রকাশনায়ও উল্লেখ্যযোগ্য খরচ হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
 

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ