সিলেটে আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধরের ছবি ভাইরাল, বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার
Published: 12th, May 2025 GMT
সিলেটের কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আফসার উদ্দিন আহমদকে মারধর করা হয়েছে। পরে তাকে উপজেলা বিএনপি সভাপতির বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে মারধরের ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। আওয়ামী লীগের কাযর্ক্রম নিষিদ্ধের একদিনের মাথায় রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুরে ইউনিয়নের চটিগ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিল। তিনি অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। বাদ জোহর স্থানীয় মসজিদে পাশে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী তাঁকে ধাওয়া করে আটকে ফেলে। একপর্যায়ে তাঁকে মারধর করা হয়। পরে তাকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মামুন রশিদ মামুনের বাড়িতে নিয়ে রাখা হয়। সেখানে এলাকার লোকজন জড়ো হন। খবর পেয়ে পুলিশ আফসারকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বিকেলে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিএনপির নেতা মামুন রশিদ মামুন জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এলাকার মানুষকে অনেক কষ্ট দিয়েছেন আফসার। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিমের বলয়ের লোক তিনি। ক্ষমতা ব্যবহার করে অনেক অন্যায় করেছেন। এলাকার মানুষ আফসার উদ্দিনকে ধরে তাঁর বাড়ি নিয়ে যায় বলে তিনি জানান।
তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিএনপি নেতা মামুনের নির্দেশে আফসারকে মারধর ও পুলিশে দেওয়া হয়েছে। এক সময় মামুনও ইউপি নির্বাচন করেছিলেন, সেই নির্বাচনে আফসারের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল জানিয়েছেন, সদর ইউপি চেয়ারম্যানকে স্থানীয় লোকজন পুলিশে দিয়েছে। তাঁকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা একটি মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ ব এনপ ম রধর আওয় ম ম রধর ব এনপ আফস র
এছাড়াও পড়ুন:
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে
প্রযুক্তির উৎকর্ষের মধ্যেও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে প্রায়ই বিকৃতভাবে বা ভুলভাবে উপস্থাপন করছে। গুগলে ‘ইনডিজেনাস পিপল’ লিখে খোঁজা হলে মাঝেমধ্যে এমন ছবি দেখানো হয়, যা তাদের ‘আদিম’, ‘বন্য’, ‘বর্বর’, ‘জংলি’ ও ‘হিংস্র’ আকারে উপস্থাপন করে।
সোমবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এমন অভিযোগ করেন। ‘আদিবাসী নারীর অধিকার রক্ষা ও ভবিষ্যৎ গড়ার লড়াইয়ে আধুনিক প্রযুক্তির ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক।
আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী ত্রিপুরা। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের ঘিরে এমন উপস্থাপনের প্রভাব নারীদের ওপরও পড়বে।
মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির বলেন, দেশে জাতিসংঘের অনেকগুলো দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হলেও আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন করা হয় না। তিনি বলেন, বুঝুক আর না বুঝুক বাংলাদেশ জাতিসংঘের বিভিন্ন কনভেনশনকে তড়িঘড়ি করে সমর্থন করে। কিন্তু এই কনভেনশনকে সমর্থন করেনি। সরকার বুঝেশুনেই সমর্থন করেনি। আগের সরকার বলেছে, বাংলাদেশে আদিবাসী নেই, এই সরকারও আদিবাসীদের স্বীকৃতি দিচ্ছে না।
একটাই ধর্ম ও জাতিসত্তা থাকবে, এমন মনোভাব কাম্য নয় উল্লেখ করে এই মানবাধিকারকর্মী বলেন, ‘কিসের ভয়ে আমরা দেশে ভিন্ন ধর্ম, চিন্তা ও জাতিসত্তার মানুষকে থাকতে দেব না? কে অধিকার দিয়েছে যে একটি মাত্র মতবাদ, চিন্তা, ভাষা জাতি ও ধর্ম থাকবে? রাষ্ট্রের জন্য এটা কাম্য হতে পারে না।’
চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে সমতল ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখ করে খুশী কবির বলেন, অভ্যুত্থানের পরে আর নারীদের কোনো অংশগ্রহণ নেই। নারী কমিশন গঠন করা হয়। কিন্তু কমিশনের কোনো কিছু গ্রহণ করা হয়নি। এর অর্থ সরকার নারীদের ভয় পায়। এই অবস্থা টিকে থাকার জন্য অভ্যুত্থান হয়নি। তাই অধিকার আদায়ে নারীদের শক্ত ভূমিকা রাখতে হবে। এখনই উত্তম সময়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির ছবি: প্রথম আলো হেডিং: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে