ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেত্রী সাই পল্লবী। সাধারণত রোমান্টিক-ড্রামা ঘরানার সিনেমায় বেশি দেখা যায় তাকে। তেলেগু, তামিল, মালায়ালাম ভাষার সিনেমায় অভিনয় করে ভার্সেটাইল অভিনয়শিল্পী হিসেবে দারুণ খ্যাতি কুড়িয়েছেন।
সাই পল্লবীর ন্যাচারাল অভিনয় তার ক্যারিয়ারে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। নাচেও ভীষণ পারদর্শী। কিছুদিন আগে তার নাচের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তার অনবদ্য পারফরম্যান্সে ভক্ত-অনুরাগীদের পাশাপাশি সহকর্মীরাও মুগ্ধ! কেবল যশ-খ্যাতি নয়, অর্থ-বিত্তের মালিক ‘প্রেমাম’ তারকা।
চলতি বছরের হিসাব অনুযায়ী, ৪৭-৫০ কোটি রুপির (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৩-৭১ কোটি টাকা) মালিক সাই পল্লবী। তার এই অর্থের বড় অংশ এসেছে দক্ষিণী সিনেমা থেকে। বিজ্ঞাপনে কাজ করার ক্ষেত্রে ভীষণ খুঁতখুঁতে সাই পল্লবী। স্কিনকেয়ার বা ফেয়ারনেসে ক্রিমের বিজ্ঞাপন কোনোভাবেই গ্রহণ করেন না। তারপরও বেশ কিছু নির্বাচিত বিজ্ঞাপনে দেখা গেছে তাকে। এখান থেকেও বেশ অর্থ আয় করেছেন সাই পল্লবী।
সাই পল্লবী প্রতি সিনেমার জন্য আড়াই থেকে ৩ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। নিতেশ তিওয়ারি নির্মিত ‘রামায়াণ’ সিনেমায় অভিনয় করছেন সাই পল্লবী। তবে এ সিনেমার জন্য ডাবল পারিশ্রমিক নিয়েছেন। সীতা হতে সাই পল্লবী নিয়েছেন ৬ কোটি রুপি। এতে রাম চরিত্রে অভিনয় করছেন রণবীর কাপুর। এর আগে ‘থান্ডেল’ সিনেমায় নাগা চৈতন্যর সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন সাই পল্লবী। এ সিনেমার জন্য পারিশ্রমিক নেন ৫ কোটি রুপি।
২০০৫ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে পা রাখেন সাই পল্লবী। ২০১৪ সালে মালায়ালাম ভাষার ‘প্রেমাম’ সিনেমায় প্রথম কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন। এতে অভিনয় করে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জিতে নেন এই অভিনেত্রী। ২০১৭ সালে তেলেগু ভাষার ‘ফিদা’ সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের নজর কাড়েন সাই পল্লবী। তার পরের গল্প সবারই জানা।
তথ্যসূত্র: সিয়াসাত ডটকম
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর সিলেট ও কেরানীগঞ্জে মিষ্টি বিতরণ
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর সিলেট ও ঢাকার কেরানীগঞ্জে মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল হয়েছে।
বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ সোমবার এই রায় ঘোষণা করেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় রায় পড়া শুরু হয়। দণ্ড ঘোষণার মধ্য দিয়ে বেলা ২টা ৫৪ মিনিটে রায় শেষ হয়।
এই রায় ঘিরে আজ সকাল থেকে সিলেট নগরের চৌহাট্টা এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় অবস্থান নেন সিলেটের এনসিপির নেতারা। রায় ঘোষণার পর নগরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মিষ্টি বিতরণ হয়। পরে বিকেল পৌনে চারটার দিকে সিলেট জেলা ও মহানগর এনসিপির ব্যানারে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। এ সময় আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা শেখ হাসিনার ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করেন।
শোভাযাত্রাটি সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে নগরের জিন্দাবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ঘুরে ফের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় শেখ হাসিনাকে দ্রুত ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রায় কার্যকর করার দাবি জানানো হয়।
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর ঢাকার কেরানীগঞ্জে যুবদল ও যুবশক্তির নেতা-কর্মীরা পরস্পরকে মিষ্টি খাইয়ে দেন। আজ সোমবার বিকেলে কদমতলী লায়ন শপার্স বিপণিবিতানের সামনে