সাইফপুত্র ইব্রাহিমের সরল স্বীকারোক্তি
Published: 12th, May 2025 GMT
বলিউডে অভিষেক হয়েছে ইব্রাহিম আলি খানের। খুশি কাপুরের বিপরীতে তার প্রথম ছবি ‘নাদানিয়া’ মুক্তির পর থেকেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনার মুখে পড়েছে। এরই মধ্যে ইব্রাহিম আলি খান স্বীকার করলেন, এই সিনেমায় অভিনয় নিয়ে খুশি নন তিনি। চেয়েছিলেন তার অভিষেক আরও ভালো হোক।
জিকিউ ইন্ডিয়া-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইব্রাহিম বলেন, ‘অনেকেই আমাকে বলেছে, এটা তো তোমার প্রথম ছবি, দুশ্চিন্তা করো না। কিন্তু আমি তা মানতে পারছি না। আমি চেয়েছিলাম আমার প্রথম ছবি দুর্দান্ত হোক। আমি নিজেও দুর্দান্ত হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন বুঝি, আমাকে শিখতে হবে, শেখাটাই সবচেয়ে জরুরি।’
ইব্রাহিমের এই আত্মসমালোচনামূলক মন্তব্যকে বলিউডে একটি পরিণত দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে দেখছে অনেকেই।
তিনি জানান, মাত্র ২৪ বছর বয়সে তিনি তিনটি ছবিতে কাজ শেষ করেছেন এবং পেছন ফিরে তাকালে বোঝেন—কোথায় আরও ভালো করা যেত, কোথায় কঠোর পরিশ্রম করা উচিত ছিল।
‘নাদানিয়া’ চলচ্চিত্র দিয়েই পরিচালনায় হাতেখড়ি হয় নির্মাতা শাওনা গৌতমের। ছবিতে ইব্রাহিম ও খুশি কাপুর ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জুগল হংসরাজ, সুনীল শেঠি, দিয়া মির্জা ও মাহিমা চৌধুরী। সূত্র: বলিউড বাবল।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে চায় সরকা: খাদ্য উপদেষ্টা
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, সরবরাহ, বিপণন ও বিক্রয় সংশ্লিষ্ট সব পর্যায়ে অর্থাৎ খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে খাবার টেবিল পর্যন্ত খাদ্যকে জনগণের জন্য নিরাপদ করতে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে।
সোমবার (১২ মে) সচিবালয়ে জাইকার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে বাংলাদেশে জাইকার অর্থায়নে পরিচালিত ‘ফুড সেফটি টেস্টিং ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’-এ দ্রুত প্রকল্প পরিচালক এবং পরামর্শক নিয়োগের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া বৈঠকে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের জনবল বৃদ্ধি, জাপান ও আসিয়ান দেশগুলোর মতো একক এবং সুবিন্যস্ত খাদ্য ব্যবসা লাইসেন্স ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, দশ বছর মেয়াদি ২ হাজার ৪০৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ফুড সেফটি টেস্টিং ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ এর আওতায় ঢাকায় একটি ফুড সেফটি রেফারেন্স ল্যাবরেটরি, চট্টগ্রাম ও খুলনায় দুইটি খাদ্য পরীক্ষাগার, প্রশিক্ষণ ভবন নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় সক্ষমতা উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের খাদ্য নিরাপত্তা পরীক্ষার সক্ষমতা বাড়ানো হবে।
বৈঠকে খাদ্য উপদেষ্টা ‘ফুড সেফটি টেস্টিং ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’-এ অর্থায়নে জন্য জাইকাকে ধন্যবাদ জানান এবং এই প্রজেক্টের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।
বৈঠকে জাইকার কর্মকর্তারা এবং খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসানসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম/এসবি