নিষ্প্রভ মেসি, ৬ গোলের ম্যাচে মায়ামিকে কাঁপিয়ে দিল ‘ভূমিকম্প’ নামের দলটি
Published: 15th, May 2025 GMT
‘অ্যা রেয়ার ব্যাড ডে ইন অফিস’—ম্যাচটা দেখে থাকলে কথাটি লিওনেল মেসির সঙ্গেই যায়।
ইন্টার মায়ামির হয়ে মেসি পুরো ৯০ মিনিটই খেললেন; কিন্তু তেমন অবদান রাখতে পারলেন না। তাঁর নেওয়া পাঁচ শটের তিনটিই লক্ষ্যভ্রষ্ট, সাতবার ড্রিবল করতে গিয়ে চারবারই ব্যর্থ, পাসিংয়েও নিখুঁত ছিলেন না, সতীর্থদের গোল বানিয়ে দিতেও দেখা গেল না।
মেসির এমন নিষ্প্রভ হয়ে থাকার দিনে মায়ামিও জিততে পারল না। মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ম্যাচে সান হোসের সঙ্গে ড্র করল ৩–৩ গোলে। যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার এই ক্লাবের পুরো নাম সান হোসে আর্থকোয়েকস, সংক্ষেপে ডাকা হয় কোয়েকস (বাংলা অর্থ ভূমিকম্প) নামে।
নিজেদের মাঠ পেপ্যাল পার্কে মেসিকে সাক্ষী রেখে প্রথমার্ধেই তিন গোল করে আক্ষরিক অর্থেই মায়ামিকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল সান হোসে। তবে দুই দফা পিছিয়ে পড়ার পর আর্জেন্টাইন উইঙ্গার তাদেও আলেন্দের জোড়া গোলে হার এড়াতে পেরেছে মায়ামি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গল্প-আড্ডা-স্লোগানে ৪ দফায় অনঢ় জবি শিক্ষার্থীরা
চারদফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি অব্যহত রেখেছেন। বুধবারের (১৪ মে) চেয়ে তাদের আন্দোলনের ধরন ভিন্ন।
দীর্ঘ ৪০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা ক্লান্তিকর প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচিতে তাদের গল্প, আড্ডা, চা-নাস্তা আর স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে কাকরাইল মোড়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
আরো পড়ুন:
সাম্য হত্যার প্রতিবাদে জাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
ঢাবির মুরুব্বিয়ানা বন্ধ করতে হবে: শরিফ ওসমান
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দাবির ব্যাপারে তারা আপসহীন। দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫–২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি কার্যকর করতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কোনো কাটছাঁট ছাড়াই অনুমোদন করতে হবে; জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়ন করতে হবে; শিক্ষকদের ওপর হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
জবি শিক্ষার্থী মো. সাইফ হাসান বলেন, “আমরা উপাচার্য মহোদয় ও উপদেষ্টাদের সংবাদ সম্মেলনের অপেক্ষায় বসে আছি। সময় কাটাতে গল্প করছি। কিন্তু এই অবস্থান কোনো দুর্বলতা নয়। দাবি আদায় না হলে যেকোনো মুহূর্তে আমরা আরো বড় আন্দোলনে যেতে প্রস্তুত।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী সুজন মিয়া বলেন, “আমরা আন্দোলনকে বেগবান করতে বিভিন্ন স্লোগানে চত্বর মুখর রেখেছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে এক কদমও সরব না।”
শিক্ষার্থী রিমা আক্তার বলেন, “আমাদের এই আন্দোলন শুধু দাবি আদায়ের জন্য নয়, এটি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের একটি সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছি, কিন্তু আমাদের উপেক্ষা করা হলে পরবর্তী কর্মসূচি হবে আরো জোরদার।”
শান্তিপূর্ণ এই অবস্থান কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানাচ্ছেন অনেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের একটি অংশও। তবে এখনো প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। শিক্ষার্থীরা আশা করছেন, দাবি দ্রুত মেনে নিয়ে সংকট সমাধানের পথ খুলে দেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী