খুলনা নগরীর তেলিগাতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার সরকারকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ৯টার দিকে নগরীর আড়ংঘাটা থানাধীন তেলিগাতি সরদারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষককে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, জমিজমা বিরোধ এবং কয়েকদিন ধরে কতিপয় ব্যক্তি তার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। আজ সকাল ৯টার দিকে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে হেঁটে স্কুলে যাচ্ছিলেন। কিছু দূরে যেতেই মোটরসাইকেলে করে আসা দুই ব্যক্তি তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। একটি গুলি তার বাম পায়ের হাঁটুতে বিদ্ধ হয়। গুলির শব্দে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে এবং তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। 

নগরীর আড়ংঘাটা থানার ওসি (তদন্ত) প্রবীর মিত্র জানান, জমিজমা এবং চাঁদা দাবির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে গুলি করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মহাসড়কে আ.লীগ কার্যালয়সহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন এ অভিযান পরিচালনা করেন। সওজের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব স্থাপনার মধ্যে আওয়ামী লীগ কার্যালয়, ফলের ও মিষ্টির দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান ছিল।
ইউএনও ফারজানা রহমানের নেতৃত্বে অভিযানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঞ্জুর মোর্শেদ, কাঁচপুর সার্কেলের সহকারী কমিশনার সেগুফতা মেহনাজ, ওসি মফিজুর রহমান, কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ অভিযানে অংশ নেন। 
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করলেও তদারকির অভাবে সপ্তাহখানেক পর ফের দখলে চলে যায়। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব দোকানপাট টাকার বিনিময়ে গড়ে তোলা হয়। বিষয়টি তদারকি করে স্থায়ী সমাধানের দাবি জানান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারিতে উচ্ছেদ করা হয়েছিল। তিন মাসের মধ্যে ফের দখল হয়ে যায়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় সওজের জায়গা দখল করে তিনটি কাঁচাবাজারসহ দুই হাজারের অধিক অবৈধ দোকানপাট গড়ে তোলেন প্রভাবশালীরা। স্থানীয় লোকজন বলছেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে একটি চক্র মহাসড়কের জমি ভাড়া দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তারা পালানোর পর আরেক পক্ষ একই পন্থায় টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সরকার পরিবর্তন হলেও চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি।
সরেজমিন গেলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, কিছুদিন পর পর লোক দেখানো অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করেন। বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালীদের টাকা দিয়ে ফের দোকানপাট গড়েন তারা। এতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যাদের টাকা দেওয়া হয়, তাদের নাম প্রকাশ করলে পরবর্তী সময়ে সেখানে তাদের ব্যবসা করতে দেওয়া হয় না।
তারা বলছেন, জায়গার অগ্রিম বাবদ ৫০ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকা আর দৈনিক ১০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা ভাড়া বাবদ আদায় করেন। ভাঙা-গড়ার খেলায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও লাভবান হন প্রভাবাশালীরা। এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি কাজী ওয়াহেদ মোর্শেদ বলেন, মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ফের দোকান বসালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়, এমন অভিযোগ রয়েছে জানিয়ে ইউএনও ফারজানা রহমান বলেন, আগে উচ্ছেদ অভিযান চালালেও তিন মাসের ব্যবধানে দখল হয়ে গেছে। প্রমাণের অভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য স্থায়ীভাবে দোকান বরাদ্দের চেষ্টা করা হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ