ছুটির দিনে বাড়িতেই পাত পড়ুক ‘পেশোয়ারি বিফ’
Published: 16th, May 2025 GMT
ঢাকাতে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে পেশোয়ারি বিফ। চর্বিযুক্ত মাংস দিয়ে রান্না করতে হয় এই পদ। ছুটির দিনে বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারেন পেশোয়ারি বিফ। জেনে নিন রেসিপি।
উপকরণ
চর্বি ও হাঁড়সহ গরু/খাসির মাংস: ২ কেজি
ঘি: ৩ টেবিল চামচ
আদা: ১ টুকরা
রসুন: বড় ২ টা
দারুচিনি: ২/৩ টুকরা
লবঙ্গ: ৩/৪ টা
পেঁয়াজ: ২/৩ টা
টমেটো: ৩ টা
গোলমরিচ: ১০/১২ টা
কাঁচামরিচ: ৫/৬ টা
লবণ: স্বাদমতো
প্রথম ধাপ: চর্বিসহ গরু বা খাসির মাংস ভালোভাবে লবণ মেখে ৩০ মিনিট রেস্টে রেখে দিন। যে পাতিলে রান্না করবেন, সেই পাতিলে মাংসের চর্বিগুলো বিছিয়ে নিন। এরপরের স্তরে মাংসের হাঁড়গুলো বিছিয়ে নিন। এ পর্যায়ে ওপরের স্তরে রাখুন মাংস। অর্থাৎ চর্বি, হাড় এবং মাংস এভাবে সাজিয়ে নিন।
আরো পড়ুন:
গরমে অরুচি কমাবে ‘কাঁচা আম-ছোট মাছের তরকারি’
‘হিট স্ট্রোক’ এর ঝুঁকি কমাবে কাঁচা করলা ভর্তা
দ্বিতীয় ধাপ: টমেটো, পেঁয়াজ, রসুন, গোলমরিচ, কাঁচামরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ মাংসের পাত্রে দিয়ে পাত্রের মুখ ঢেকে দিন। তারপর আটা দিয়ে ঢাকনার চারপাশ আটকে নিন। এবার চুলায় বসান। শুরুতে ৫ মিনিট মধ্যম আঁচে এবং এরপর একেবারে মৃদু তাপে রান্না করতে হবে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা। মাঝে মাঝে ঢাকনা খুলে গরম পানি যোগ করে নিতে হবে। এই পদটি ঝোল অনেকটা নিহারির মতো হবে। আপনি যদি এমনটা না চান তাহলে পানির পরিমাণ কম দিতে হবে।
তৃতীয় ধাপ: চাইলে কয়লার আগুনেওএ পদটি করতে পারেন। তাহরে মাংস একদম নরম তুলতুলে হবে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মেসি-সুয়ারেজদের এক হালি গোল দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজি
যেখানে চোখ ছিল লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজের মতো দুই কিংবদন্তির দিকে, সেখানে আলো ছড়ালেন তরুণ জোয়াও নেভেস ও আশরাফ হাকিমি। ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি যেভাবে ইন্টার মায়ামিকে ৪-০ গোলে গুঁড়িয়ে দিলো, তাতে স্পষ্ট এই টুর্নামেন্টে তাদের লক্ষ্য ট্রফি ছাড়া কিছুই নয়।
রোববার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় বহুল প্রতীক্ষিত এই ম্যাচ। যেখানে মায়ামি ছিল অভিজ্ঞতার প্রতীক মেসি, সুয়ারেস, বুসকেটস, আলবাদের নিয়ে গড়া তারকাখচিত দল। আর পিএসজি ছিল তারুণ্যের স্ফুরণ নেভেস, ভিতিনিয়া, দিজিরে দুয়ে ও বারকোলার মতো উদীয়মান প্রতিভাদের ওপর নির্ভরশীল।
ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই ভিতিনহার নিখুঁত ক্রসে জোয়াও নেভেস হেডে গোল করে পিএসজিকে এগিয়ে দেন। এরপর ৩৯ মিনিটে আরও একটি ক্লিন-ফিনিশিংয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই পর্তুগিজ মিডফিল্ডার।
৪৪ মিনিটে মায়ামির ডিফেন্ডার থমাস অ্যাভিলেস আত্মঘাতী গোল করে দেন নিজের দলকে আরও বিপদে ফেলে। অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে আশরাফ হাকিমি চতুর্থ গোল করে মায়ামির স্বপ্নকে এক প্রকার চূর্ণবিচূর্ণ করে দেন।
নিজের সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে লিওনেল মেসির নামার মধ্যে যে এক ধরনের নাটকীয়তা ছিল, তা মাঠের খেলায় ধরা পড়েনি। গোটা প্রথমার্ধে মায়ামি গোলের উদ্দেশে একটি শটও নিতে পারেনি, এমনকি মেসি-সুয়ারেসের মতো ফরোয়ার্ড জুটির কাছ থেকে কোনো ঝলকই দেখা যায়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কিছুটা আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ফেরার চেষ্টা করে মায়ামি। মেসি ৫১ মিনিটে প্রথম শটটি নেন। তবে সেটি প্রতিপক্ষের পায়ে বাধা পায়। এরপর আরও দুটি প্রচেষ্টা এলেও তা তেমন বিপজ্জনক ছিল না। পিএসজির রক্ষণভাগ তখনও ছিল পাথরের মতো শক্ত, আর মাঝমাঠে ছিল নিখুঁত নিয়ন্ত্রণ।
দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল না হলেও, পিএসজির একচেটিয়া দখল ছিল বল ও মাঠের দুই জায়গাতেই। তারা দাপট দেখিয়েই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে, যেন দ্বিতীয়ার্ধটি ছিল শুধুই সময়ের ব্যাপার। শেষ পযর্ন্ত ৪-০ ব্যবধানের বড় জয়ে শেষ আট নিশ্চিত করে প্যারিসিয়ানরা।
কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ বায়ার্ন মিউনিখ। যারা ফ্ল্যামেঙ্গোকে হারিয়েছে ৪-২ গোলে।
ঢাকা/আমিনুল