আবাহনী হারলেই মোহামেডান চ্যাম্পিয়ন-এমন পরিস্থিতে আবাহনী-ফর্টিসের ম্যাচটি ক্লাব প্রাঙ্গণে বসে ইউটিউবে দেখছিলেন মোহামেডানের কোচ, খেলোয়াড় আর কর্মকর্তারা। আবাহনী-ফর্টিসের ম্যাচ শেষে আনন্দে ভেসেছেন তাঁরা। কুমিল্লায় ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আবাহনীকে ২-১ গোল হারিয়েছে ফর্টিস। ফলে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতেছে মোহামেডান। বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলের শীর্ষ লিগটি পেশাদার হওয়ার পর এই প্রথম শিরোপা জিতল ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।

(বিস্তারিত আসছে.

..)

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘উত্তরণে প্রয়োজন গবেষণার উন্নয়ন’

অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমআইটির অর্থনীতির অধ্যাপক। নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর আলোচিত এই অর্থনীতিবিদ ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বা এমআইটিতে সাংবাদিকদের সামনে যা বলেছিলেন তা থেকে অনুপ্রেরণামূলক কথা তুলে এনেছেন ইমাম হোসেন মানিক

নোবেল পুরস্কার ঘোষণার পর এমআইটিতে সাংবাদিকদের প্রথম যে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সে প্রশ্নটি হচ্ছে– মোদি সরকারের নতুন মেয়াদে ভারতের অর্থনীতি কেমন চলছে? এর উত্তরে তিনি বলেন, ভারতের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা খুব নাজুক। রাজকোষে ব্যাপক ঘাটতি। তবু সরকার সবাইকে খুশি করার বৃথা চেষ্টা করছে। তা ছাড়া অভিনয় করছে বাজেটে ঘোষিত ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা ধরে রাখার। এই বেহাল দশা থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসতে পারে ভারতের অর্থনীতি তা নিয়ে তার কোনো বক্তব্য নেই।
জনগণের জন্য প্রকল্প 
সাধারণ মানুষের শুনতে ভালো লাগে বা রাজনৈতিক ফায়দা আছে– এমন প্রকল্প ঘোষণার প্রবণতা ভারতের দীর্ঘদিনের। সরকারের উচিত এমন সব প্রকল্প  ঘোষণা করা, যা সত্যিই কাজে আসবে। গরিব মানুষের কাজে লাগবে।
তত্ত্ব নয়, গবেষণা পদ্ধতির উন্নয়ন
নতুন কোনো তত্ত্ব আবিষ্কার করে নোবেল পাননি অভিজিৎ দম্পতি। অর্থনীতির নানা সমস্যা; যেমন– স্বাস্থ্য খাতে দুর্বলতা, শিক্ষায় ঘাটতি এবং দারিদ্র্যসীমা থেকে উত্তরণ না ঘটা, গরিব মানুষ গরিবই থেকে যাওয়াসহ এই গবেষণা পদ্ধতির উন্নয়ন ও এর প্রভাব বিবেচনার জন্য নোবেল পেয়েছেন তারা।
চাহিদা বাড়াতে গরিবের হাতে টাকা  
প্রচলিত রাজনৈতিক ব্যবস্থার চোখে আঙুল দিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে বড় প্রকল্প ঘোষণা এবং চটকদার প্রকল্পের ঘোষণা অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন করবে না। বরং গরিব মানুষের হাতে বেশি বেশি টাকা তুলে দিতে হবে। এতে বড় হবে বাজার। সেইসঙ্গে বাজারের পণ্যের চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি বাড়বে চাহিদা এবং বেচাকেনাও। চাহিদার অভাব এখন ভারতের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় সমস্যা। দেশের বাজারে পণ্যের অভাব নেই। তা কেনার জন্য গরিব ও মধ্যবিত্তের হাতে টাকা নেই। সাধারণ মানুষ ক্রয়ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। তাই পণ্য প্রচুর হলেও তার চাহিদা বাড়ছে না ভারতের বাজারে। শুধু বড়লোকদের হাতে টাকা তুলে দিলে হবে না। গরিব ও মধ্যবিত্তের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার প্রয়োজনটা বেশি।
পরিবর্তন হচ্ছে গরিবের ভাগ্য
অভিজিৎ বলেন, আমাদের চারপাশে খারাপ খবরে ভরপুর। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে। এত এত খারাপ খবরের মধ্যেও আশার কথা হচ্ছে, গত তিন বছরে গরিব মানুষের ভাগ্য খুব দ্রুত পরিবর্তন হয়েছে। অথচ অনেকে বিষয়টি বুঝতে পারেননি। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষজন এখনও বিশ্বাস করেন যে, দারিদ্র্য বাড়ছে। আসল ব্যাপার হচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতিতে দুই শ্রেণি খুব ভালো করেছে। এর মধ্যে এক অতিধনী, অন্যটি অতিদরিদ্র। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ