দোহায় নতুন আলোচনায় কিছু জিম্মিকে মুক্তির প্রস্তাব হামাসের
Published: 18th, May 2025 GMT
গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন এক প্রস্তাবিত চুক্তির আওতায় আরও কয়েকজন জিম্মিকে মুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
গতকাল শনিবার কাতারের দোহায় নতুন করে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির আলোচনায় হামাস এই প্রস্তাব দেয়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় নতুন করে বড় ধরনের অভিযান শুরু করার কয়েক ঘণ্টা পর দোহায় আলোচনা শুরু হয়।
এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, হামাস ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে নতুন করে ৯ জন জিম্মিকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে।
একই ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা আরও বলেন, নতুন প্রস্তাবিত চুক্তির আওতায় প্রতিদিন ৪০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমতি পাবে। চিকিৎসার জন্য রোগীদের গাজা থেকে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। বিনিময়ে ইসরায়েল অবশিষ্ট জিম্মিদের জীবিত থাকার প্রমাণসহ বিস্তারিত তথ্য দাবি করেছে।
ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, গাজার ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। কারণ, ১০ সপ্তাহ ধরে গাজায় খাদ্যসহ অন্যান্য সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল।দোহায় কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় নতুন এই যুদ্ধবিরতির আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গতকাল স্থানীয় সময় বিকেলে আলোচনা শুরু হয়।
প্রস্তাবিত চুক্তির বিষয়ে ইসরায়েল এখনো প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে আলোচনা শুরুর আগে ইসরায়েল বলেছিল, তারা গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে না, কিংবা যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দেবে না। প্রস্তাবিত চুক্তিতে এই বিষয়গুলো থাকবে না বলে জানতে পেরেছে বিবিসি।
গতকালই ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ‘অপারেশন গিডিয়নস চ্যারিয়ট’ নামে গাজায় নতুন সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেয়।
প্রস্তাবিত চুক্তির বিষয়ে ইসরায়েল এখনো প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে আলোচনা শুরুর আগে ইসরায়েল বলেছিল, তারা গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে না। কিংবা যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দেবে না।উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে গাজার উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন হাসপাতালসহ শরণার্থীশিবিরে চালানো ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩০০ জন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার সবশেষ যুদ্ধবিরতি দুই মাস স্থায়ী হয়েছিল। গত ১৮ মার্চ এই যুদ্ধবিরতি ভেঙে যায়। সেদিন থেকে গাজায় নতুন করে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তখন থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
উত্তর গাজার জাবালিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত এক শিশুর মরদেহ নিয়ে যাচ্ছেন এক ফিলিস্তিনি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রস ত ব ত চ ক ত র ইসর য় ল য় নত ন ত ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির
জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর
দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”
তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী