‘যমুনা উপজেলা’ চান ছয় ইউনিয়নের বাসিন্দারা
Published: 18th, May 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে যমুনা নদীর চরের বিচ্ছিন্ন ছয়টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা পৃথক উপজেলা গঠনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ‘যমুনা উপজেলা’ গঠনের দাবিতে গতকাল রোববার মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করে বাস্তবায়ন কমিটি।
কর্মসূচি শেষে প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের অবগত ও ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের কাছে স্মারকলিপি দেন বিক্ষোভকারীরা। ছয় ইউনিয়ন হলো– মুনসুরনগর, নাটুয়ারপাড়া, খাসরাজবাড়ী, তেকানী, নিশ্চিন্তপুর ও চরগিরিশ। সবক’টি নদীর পূর্ব পারে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাজীপুর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টি পশ্চিম পারে, বাকিগুলো পূর্বে। নদী মাঝে থাকায় পূর্ব পারের মানুষ উপজেলা সদরসহ প্রশাসনিক ও স্বাস্থ্যসহ সব ধরনের সেবা পেতে ভোগান্তিতে পড়েন।
বক্তারা বলেন, পশ্চিম পারে উপজেলা সদরের অবস্থান হওয়ায় পূর্ব পারের বাসিন্দাদের সারা বছর নৌকাযোগে প্রমত্তা যমুনা নদী পেরিয়ে যেতে হয়। এতে সময়, অর্থ ও জীবনের ঝুঁকি বাড়ে। মামলা-মোকদ্দমার মতো কাজ থাকলে বিচারপ্রত্যাশীদের এক দিন আগে রওনা হতে হয়। সরকারি কোনো লঞ্চ বা নৌযানও নেই। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে।
বক্তারা আরও বলেন, পূর্ব পারের মানুষের কৃষি উৎপাদন বেশি হলেও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যাংকিং ও সরকারি সেবায় রয়েছে বৈষম্য। ১৪টি কলেজের মধ্যে পূর্ব পারে রয়েছে মাত্র দুটি। ১৪টি কারিগরি কলেজের সবক’টি পশ্চিমে। ৫৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৪টি পূর্বে। ১০টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে ৯টি এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ চারটি হাসপাতালই পশ্চিমে।
পূর্ব পারের ছয়টি ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ ও জীবনযাত্রা সরিষাবাড়ী উপজেলার সঙ্গে সহজ হয় জানিয়ে বক্তারা বলেন, এই ছয় ইউনিয়ন নিয়ে নতুন ‘যমুনা উপজেলা’ গঠন করা হলে স্থানীয় লোকজনের ভোগান্তি কমবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’
কৈশোর পেরোনোর আগেই শাহানাবাড়ির মেয়ে দীপার বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতনের জাল ছিঁড়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চেয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের পটভূমিতে দীপার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাড়ির নাম শাহানা।
সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত বাড়ির নাম শাহানায় দীপা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনান সিদ্দিকা। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে কমলা কালেক্টিভ ও গুপী বাঘা প্রোডাকশন্স লিমিটেড।
নির্মাণের বাইরে লীসা গাজী লেখক, নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত