মায়ের ‘টিপ টিপ বারসা পানি’ গানে নেচে ভাইরাল রাশা
Published: 19th, May 2025 GMT
নাচে-গানে মন মাতাতে বলিউডের আলাদা সুনাম আছে। বিশেষ করে বলিউডে কিছু গানের সঙ্গে নায়িকাদের নাচ ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে; যেগুলো সিনেমাপ্রেমীদের কাছে ইতিহাস হয়ে আছে! ‘এক দো তিন’ এই গান যেমন মাধুরী দীক্ষিত ছাড়া কল্পনা করা যায় না, তেমনি ‘টিপ টিপ বারসা পানি’ রাভিনা ট্যান্ডনের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে আলোচিত একটি কাজ।  
অক্ষয় কুমার ও রাভিনা ট্যান্ডন অভিনীত ‘মোহরা’ (১৯৯৪) সিনেমার জনপ্রিয় এই গান দর্শক-শ্রোতাদের মন জয় করে নিয়েছিল। এবার মায়ের সেই ‘আইকনিক’ গানে পারফর্ম করলেন রাশা থাডানি। রাশার নাচের ভিডিও এখন অন্তর্জালে ভাইরাল।
ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, একটি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে নেচে স্টেজ পারফর্মে অভিষেক হলো রাশা থাডানির। এ যাত্রার সূচনালগ্নে, মাকে শ্রদ্ধাকে জানিয়ে তারই বিখ্যাত ‘টিপ টিপ বারসা’ গানে পারফর্ম করেন এই অভিনেত্রী। রাশার পরনে হলুদ রঙের শাড়ি-ড্রেস। এমন লুকে রাশার নাচে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন উপস্থিত দর্শকরা।
আরো পড়ুন:
হেরা ফেরি থ্রি: এবার সরে দাঁড়ালেন পরেশ রাওয়াল
ভেঙে ফেলা হতে পারে মিঠুনের বাড়ি!
কেবল তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে রাশার নাচের ভিডিও। যা দেখে ভূয়সী প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা। ধনশ্রী লেখেন, “স্টেজে যেন রাভিনা নাচছেন।” রাম লেখেন, “রাশা আগুন।” ঐন্দ্রিলা লেখেন, “সে (রাশা) ভালো নেচেছে।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
মায়ের পথ অনুসরণ করে চলচ্চিত্রে পা রেখেছেন রাশা। গত ৬ জানুয়ারি ‘আজাদ’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়েছে তার। সিনেমাটি বক্স অফিসে সাফল্য না পেলেও প্রশংসা কুড়ান ২০ বছরের রাশা। অভিনয়-নাচ নয়, গানেও পারদর্শী এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’