নাশকতা মামলায় বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার সাংবাদিক ফিরোজ কামাল ফারুককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৯ মে) রাত ৩টার দিকে উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের কাথম গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ফিরোজ কামাল ফারুক দৈনিক কালের কণ্ঠ ও দৈনিক ভোরের দর্পণ পত্রিকার নন্দীগ্রাম প্রতিনিধি। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক।

নন্দীগ্রাম থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম ব‌লেন, ফিরোজ কামাল ফারুক দীর্ঘদিন ধরে ভারত ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকায় অবস্থান করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভাটগ্রাম ইউনিয়নের কাথম গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে।”

আরো পড়ুন:

সাভারে চিত্র সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ

গণমাধ্যম: প্রান্তজনের কথা শুনুন

ঢাকা/এনাম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

মেগা প্রজেক্টে মানহীন নির্মাণসামগ্রী

দেশের বৃহৎ হাওর অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে চলমান উড়াল সড়ক প্রকল্প। গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পের আওতায় তাহিরপুরের মাহরাম নদীর উৎসমুখে নির্মাণ করা হচ্ছে সেতু। অভিযোগ উঠেছে, এ কাজে ব্যবহার হচ্ছে মাটিমিশ্রিত বালু ও পাথরের মতো মানহীন নির্মাণসামগ্রী।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মাধ্যমে হাওর এলাকায় উড়াল সড়ক প্রকল্পের আওতায় ওই এলাকায় দুটি সেতু ও ছয় কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৯ কোটি ৩৫ লাখ ৩৫ হাজার ৩৫ টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২৬ সালের মে মাসে শেষ হওয়ার কথা। প্রকল্পের এই অংশে দুটি সেতু হচ্ছে। একটি মানিগাঁও বিদ্যালয়ের সামনে ১০৫ মিটার। অন্যটি মাহরাম নদীর ওপর নির্মিতব্য ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু।
রোববার প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কিছু চুনাপাথর নদীতে রেখে অবৈধ ক্রাশার মেশিন দিয়ে ভাঙছেন স্থানীয়রা। নদীর অনেক জায়গায় স্তূপ করে রাখা হয়েছে পাথর। কয়েকটি স্তূপের সঙ্গে রয়েছে মাটি। একটি এক্সক্যাভেটর মেশিন দিয়ে নদী থেকে বালু তুলে গাড়িতে রাখা হচ্ছে। সেখান থেকে অপরিচ্ছন্ন পাথর-বালু নেওয়া হচ্ছে ১০৫ মিটার সেতু ও সড়কের কাজে ব্যবহারের জন্য।
স্থানীয়রা বলছেন, নদীতে প্রচুর পরিমাণে বালু থাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেগুলো কাজে লাগাচ্ছে। পাশের নদী যাদুকাটা গেল বছর পর্যন্ত ইজারা থাকলেও পহেলা বৈশাখ থেকে উচ্চ আদালতের নির্দেশে বন্ধ রয়েছে। তবে মাহরাম নদীতে বালু তোলা চলছে। এমন চক্রের সঙ্গে যোগসাজশে প্রকল্পের কাজের জন্য মাটিমিশ্রিত বালু ও পাথর ব্যবহার করছেন দায়িত্বশীলরা।
যাদুকাটা নদীর উৎসমুখ থেকে উৎপত্তি হয়েছে মাহরাম নদীর। গত কয়েক বছর যাদুকাটা নদী ইজারা হলেও মাহরাম নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধ ছিল। এতে নদীর উৎসমুখ থেকে কয়েক কিলোমিটারজুড়ে প্রচুর পরিমাণে বালু জমেছে। কয়েকটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাহরাম নদীর এই বালু ব্যবহার করা হচ্ছে সেতুর কাজে। 
মানিগাঁওয়ের বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন বলেন, শুরু থেকে মাটি ও বালুমিশ্রিত পাথর দিয়ে কাজ চলছে। এলাকাবাসী অনেকবার এসে বাধা দিয়েছেন। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী যুক্ত থাকায় ঠিকাদারের লোকজন স্থানীয়দের কথা আমলে নিচ্ছেন না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. সমির হোসেন বলেন, এলাকার কিছু লোক এসব অভিযোগ করছে। তাদের এসব অভিযোগ সত্য নয়। বালু আগেই মজুত করে রাখা হয়েছিল।
সুনামগঞ্জের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয়দের মাঝে দ্বন্দ্বের কারণে এ ধরনের অভিযোগ উঠেছে। বালু ও পাথর পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ