আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে ছিলেন না সৌম্য সরকার। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতেও একাদশে জায়গা হলো না এই অলরাউন্ডারের। ইনজুরির কারণেই পুরো সিরিজ বেঞ্চে বসে কাটাচ্ছেন সৌম্য। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বুধবার (২১ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানিয়েছে, ক্রমাগত ব্যাক পেইনের কারণে শারজাহতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তৃতীয় এবং শেষ  টি -টোয়েন্টিতেও থাকছেন না সৌম্য।

জাতীয় দলের ফিজিও বায়জেদুল ইসলাম খান সৌম্য সরকারের ইনজুরির সম্পর্কে আপডেট জানিয়েছেন। তার ভাষ্যমতে, বিগত সাত দিন ধরে পিঠের ডানদিকের ব্যথায় ভুগছিলেন সৌম্য।

বায়জেদুল বলেন, ‘‘তৃতীয় ম্যাচের আগে সৌম্যের একটি টেস্ট করা হয়েছিল। তাতে তাকে তৃতীয় ম্যাচের জন্যেও ফিট মনে হয়নি। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে আসার আগে তার পুরোপুরি সুস্থ হওয়া প্রয়োজন।

ঢাকা/রিয়াদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় চসিকের ‘হেলথ কার্ড’ চালু

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) পরিচালিত পাঁচটি বিদ্যালয়ে ‘স্টুডেন্ট হেলথ কার্ড’ চালু করা হয়েছে। স্কুল পর্যায়ে এ কার্যক্রম দেশে প্রথম বলে দাবি করেছে চসিক কর্তৃপক্ষ। গতকাল বুধবার নগরের কাপাসগোলা সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। হেলথ কার্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, টিকাদান এবং স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করা হবে।

হেলথ কার্ড চালু করা অন্য চার প্রতিষ্ঠান হলো– পাথরঘাটা সিটি করপোরেশন বালক উচ্চ বিদ্যালয়, গুলএজার বেগম সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়, ইমারাতুন্নেসা সিটি করপোরেশন কিন্ডারগার্টেন ও পাঁচলাইশ কিন্ডারগার্টেন।

চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, পরীক্ষামূলক পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীকে এ কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে। পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সফল হলে ধীরে ধীরে অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও এর আওতায় আনা হবে।

অনুষ্ঠানে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, শিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষা শুধু অভিভাবকদের নয়, বরং প্রতিষ্ঠান ও সিটি করপোরেশনেরও দায়িত্ব। হেলথ কার্ডের মাধ্যমে শিশুদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, টিকাদান এবং চিকিৎসা-সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে একটি সুস্থ প্রজন্ম গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, স্টুডেন্টস হেলথ কার্ডে শিক্ষার্থীর পরিচিতিমূলক তথ্য– জন্মতারিখ, বিদ্যালয়ের নাম, শ্রেণি, অভিভাবকের নাম ও যোগাযোগ ঠিকানা সংরক্ষণ করা হবে। পাশাপাশি ৫ থেকে ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত মোট ১৪ বার স্বাস্থ্য পরীক্ষার রেকর্ড সংরক্ষণ করা যাবে। পরীক্ষায় ওজন, উচ্চতা, দাঁতের অবস্থা, চোখ-কান, ত্বক-চুলের স্বাস্থ্য, রক্তচাপ এবং হিমোগ্লোবিনের তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে। কার্ডের একটি পৃথক অংশে টিকাদান-সংক্রান্ত তথ্য থাকবে, যাতে বিসিজি, পোলিও, হেপাটাইটিস-বি, এমআর, পেন্টাভ্যালেন্ট, টাইফয়েড, ইনফ্লুয়েঞ্জা, র‌্যাবিসসহ গুরুত্বপূর্ণ টিকার রেকর্ড সংরক্ষিত থাকবে।

সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইমাম হোসেন রানা বলেন, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একটি টিমকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যগত এসব তথ্য সংরক্ষণে সহায়তা করবেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা ধরা পড়লে তারা সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠাবেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। মুখ্য আলোচক ছিলেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী। বক্তব্য দেন চট্টগ্রামের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইলিয়াছ উদ্দিন আহম্মদ ও চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ