পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ গতকাল বুধবার বলেছেন, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে জরুরি আলোচনার জন্য সৌদি আরব একটি ‘নিরপেক্ষ’ ভেন্যু হতে পারে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তিনি পিএমএল-এনের প্রধান নওয়াজ শরিফের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে টিভি চ্যানেলের কয়েকজন সংবাদ উপস্থাপকের সঙ্গে আলাপকালে শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘কাশ্মীর, পানি, বাণিজ্য ও সন্ত্রাসবাদ—এই চারটি বিষয়ই ভারত-পাকিস্তান সংলাপের মূল আলোচ্য বিষয় হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সেই প্রেক্ষাপটে তৃতীয় কোনো দেশে আলোচনা হতে পারে কি না, এমন এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চীনকে নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে গ্রহণযোগ্য মনে হয় না। কারণ, ভারত কখনোই এতে রাজি হবে না।’

তবে আলোচনায় অংশ নেওয়া একজন ব্যক্তি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনকে জানান, প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন, সৌদি আরব এমন একটি তৃতীয় দেশ হতে পারে, যেখানে দুই দেশই আলোচনার জন্য একমত হতে পারে।

ভারত চায় সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে কথা বলতে, আর পাকিস্তান চায় কাশ্মীর ইস্যুকে প্রাধান্য দিতে—এমন এক প্রশ্ন করা হলে প্রধানমন্ত্রী আবারও জোর দিয়ে বলেন, ‘কাশ্মীর, পানি, বাণিজ্য ও সন্ত্রাসবাদ—এই চারটি বিষয়ই আলোচনার মূল অংশ হবে।’

সেনাপ্রধানকে ফিল্ড মার্শাল বানানো প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ বলেন, ‘সেনাপ্রধানকে ফিল্ড মার্শাল বানানোর সিদ্ধান্তটা ছিল একান্তই আমার নিজস্ব।’

নওয়াজ শরিফ সেনাপ্রধানের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে কখনো ছিলেন না—এক সাংবাদিক প্রসঙ্গটি তুলে প্রশ্ন করলে প্রধানমন্ত্রী জবাবে বলেন, ‘আমি সব সময় বড় ভাই নওয়াজ শরিফের সঙ্গে পরামর্শ করি এবং জেনারেল আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল বানানোর ক্ষেত্রেও তা–ই করেছি।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ সম্পর্কের প্রশংসা করলেন ট্রাম্প

বিশ্বের সবচেয়ে জটিল কিছু সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেছেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস। একইসঙ্গে ইউক্রেনকে স্বৈরশাসনের (রাশিয়ার পুতিন সরকার) বিরুদ্ধে সমর্থন দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

গতকাল বুধবার উইন্ডসর ক্যাসেলে আয়োজিত রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে দেওয়া বক্তৃতায় এসব কথা বলেন রাজা।

এদিকে রাজার এ বক্তব্যের জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ সম্পর্কের প্রশংসা করে বলেন, এ সম্পর্ককে ‘বিশেষ’ শব্দ দিয়ে যথাযথভাবে বোঝানো যায় না।

ট্রাম্পের রাষ্ট্রীয় এ সফর চলবে আজ বৃহস্পতিবারও। এদিন নানা অনুষ্ঠানে মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে অংশ নেবেন ব্রিটিশ রানি ক্যামিলা ও প্রিন্সেস অব ওয়েলস।

উইন্ডসর ক্যাসলে ১৬০ অতিথির জন্য আয়োজিত জাঁকজমকপূর্ণ এ ভোজসভায় রাজার বক্তৃতায় দুই দেশের গভীর বন্ধন এবং সাংস্কৃতিক, বাণিজ্যিক ও সামরিক সম্পর্ক ধরে রাখার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।

রাজা চার্লস বলেন, ‘আমাদের প্রিয় মূল্যবোধ রক্ষার জন্য আমাদের জনগণ একসঙ্গে লড়াই করেছে, প্রাণ দিয়েছে।’

ট্রাম্পের রাষ্ট্রীয় এ সফর চলবে আজ বৃহস্পতিবারও। এদিন নানা অনুষ্ঠানে মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে অংশ নেবেন ব্রিটিশ রানি ক্যামিলা ও প্রিন্সেস অব ওয়েলস।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদে পৌঁছালে তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ