চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ ‘সন্ত্রাসী’ ঢাকাইয়া আকবরের মৃত্যু
Published: 25th, May 2025 GMT
চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন ‘সন্ত্রাসী’ আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবর মারা গেছেন। আজ রোববার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে গত শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুলিবিদ্ধ সন্ত্রাসী ঢাকাইয়া আকবরের মৃত্যু হয়েছে। আকবর নগরের বায়েজিদ এলাকার মঞ্জু মিয়ার ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির ১০টি মামলা রয়েছে।
শুক্রবার রাতে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া অবস্থায় আকবরকে গুলি করা হয়। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে আসা আকবরের স্বজনেরা অভিযোগ করেন, ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ তাঁর লোকজন দিয়ে আকবরকে গুলি করেছেন।
আকবর তাঁর ফেসবুক পেজে সাজ্জাদ ও তাঁর স্ত্রী তামান্না শারমিনকে কটূক্তি করে ভিডিও দিতেন। একই সঙ্গে সাজ্জাদের স্ত্রীর বিরুদ্ধেও আকবরকে হুমকি দিয়ে ভিডিও দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
গত ১৫ মার্চ ঢাকার একটি শপিং মল থেকে গ্রেপ্তার হন সন্ত্রাসী সাজ্জাদ। এরপর ২৯ মার্চ নগরের বাকলিয়া এক্সেস রোডে একটি প্রাইভেট কারকে লক্ষ্য করে গুলি করলে দুজন নিহত হন। সন্ত্রাসী সারোয়ার হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি করেছিলেন সাজ্জাদের অনুসারীরা। কিন্তু সারোয়ার ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। পরে গ্রেপ্তার আসামিরা জবানবন্দিতে স্বীকার করেন, ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, সাজ্জাদকে ধরিয়ে দেওয়াসহ পাঁচ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁরা সরোয়ারকে গুলি করেন। সরোয়ার ও আকবর দুজনই সাজ্জাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নগর র
এছাড়াও পড়ুন:
সন্জীদা খাতুন আরও উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন
সন্জীদা খাতুন স্বপ্নলোকের সৃষ্টি করেছিলেন। বাঙালি সংস্কৃতিকে ধারণ করে আপন ঐতিহ্যে মাথা উঁচু করে বাঁচার স্বপ্ন। তাঁর তিরোধানের পরে সেই স্বপ্ন বিলীন হয়ে যাবে না। আরও উজ্জ্বল, আরও শক্তিশালী হবে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের সংগ্রাম। এমনই প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন তাঁর অনুরাগী, অনুসারী ও সুরের সঙ্গীরা।
শনিবার সন্ধ্যায় ‘বিশ্ব হতে হারিয়ে গেছে স্বপ্নলোকের চাবি’ নামে ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সংগীতজ্ঞ সন্জীদা খাতুনের প্রতি শ্রদ্ধা ও স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখা। ছায়ানট ভবনের রমেশ চন্দ্র দত্ত স্মৃতি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল পরিষদের শিল্পীদের সম্মেলক কণ্ঠের গান ‘তোমার সুরের ধারা’ পরিবেশনা দিয়ে। অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছিল গান, আবৃত্তি, স্মৃতিচারণা দিয়ে।
গানের পরে সম্মিলন পরিষদের সভাপতি লোপা আহাদ তাঁর শিক্ষক ও পথনির্দেশক সন্জীদা খাতুনের স্মৃতিচারণা করেন। তিনি বলেন, বহুগুণে গুণী মানুষ ছিলেন তিনি। একাধারে সংগীতবিশেষজ্ঞ, শিক্ষক, লেখক, সংগঠক এমন অনেক রূপে তাঁকে আমরা পেয়েছি। বাইরে থেকে তাঁকে দেখে যতটা কঠিন মনে হয়েছে, কিন্তু তার ভেতরে ছিল এক মমতাময়ী কোমল রূপ। তাঁর সান্নিধ্য যাঁরা পেয়েছেন, তাঁরা তাঁর হৃদয়ের সেই কোমলতা অনুভব করেছেন।
এরপর ‘যদি জানতেম আমার কিসের ব্যথা’ গানটি গেয়ে শোনান সুমা রানী রায়। দীপ্র নিশান্ত গেয়েছেন ‘যারে নিজে তুমি ভাসিয়ে ছিলে।’ এরপর আবার স্মৃতিচারণার পালা।
পারিবারিক বন্ধু ওসমান কায়সার চৌধুরী তাঁর শৈশবে সন্জীদা খাতুনের গান শোনা, ১৯৬৭ সালে রমনার বটমূলে ছায়ানটের প্রথম পয়লা বৈশাখের প্রভাতি অনুষ্ঠান, ছায়ানট স্কুল গঠনের কঠিন সংগ্রামের দিনগুলোর স্মৃতি তুলে ধরেন শ্রোতাদের সামনে। তিনি বলেন, তাঁর মা ছিলেন সন্জীদা খাতুনের বন্ধু। আজ ছায়ানট এত বড় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে; কিন্তু সেই আজিমপুরে অগ্রণী স্কুলের শ্রেণিকক্ষে যে ছায়ানটের যাত্রা শুরু হয়েছিল, সেই সংগঠন চালাতে যে অর্থসংকট, যে বিপুল পরিশ্রম, ত্যাগ নিষ্ঠা ছিল তাদের, তা এখন অনেকে ভাবতেই পারবেন না। তিনি বলেন, সন্জীদা খাতুনের একটি বিশেষ গুণ ছিল যে তিনি কোনো কাজ শুরু করলে তাতে লেগে থাকতেন। আজকের ছায়ানট এর একটি বড় দৃষ্টান্ত। নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে দেশের সংস্কৃতি বিকাশের জন্য এমন করে সারা জীবন কাজ করে চলার মতো দৃষ্টান্ত বিরল।
লাইসা আহমদ লিসা ‘চির সখা হে ছেড়ো না মোরে’ গানটি গেয়ে শোনান