ম্যাচের অধিকাংশ সময় ধরে হার নিশ্চিত জেনেই খেলছিল ইন্টার মায়ামি। ৩-১ গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা দলটি যখন কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছিল না, তখন আবারও দৃশ্যপটে হাজির হলেন লিওনেল মেসি। তার অসাধারণ নৈপুণ্যেই শেষ পর্যন্ত ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নের বিপক্ষে ৩-৩ গোলে ড্র করে ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে ডেভিড বেকহ্যামের ক্লাব।

ম্যাচের শুরু থেকেই আগ্রাসী ফুটবলে আধিপত্য বিস্তার করে ফিলাডেলফিয়া। সপ্তম মিনিটেই কুইন সুলিভ্যানের গোলে এগিয়ে যায় তারা। প্রথমার্ধের অন্তিম মুহূর্তে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন টাই বারিবো। ফলে বিরতিতে যাওয়ার আগেই দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে ইন্টার মায়ামি।

দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে মাঠে নামে মায়ামি। ম্যাচের ৬০ মিনিটে নোয়াহ অ্যালেনের ক্রস থেকে হেডে বল জালে পাঠিয়ে ব্যবধান কমান তাদের অ্যালেন্দে। তবে ৭৩ মিনিটে বারিবো তার জোড়া গোল পূর্ণ করলে আবারও দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় ফিলাডেলফিয়া।

আরো পড়ুন:

মেসিদের আরও একটি হতাশাজনক হার

মেসি-রোনালদো দ্বৈরথ: অতীতের সোনালি অধ্যায়ের মূল্যায়নে মুখ খুললেন মেসি

এই অবস্থায় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতে তুলে নেন মেসি। ৮৭ মিনিটে তার নেওয়া একটি দৃষ্টিনন্দন ফ্রি কিক ঠেকাতে ব্যর্থ হন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক। শেষ বাঁশির আগ মুহূর্তে, যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে গোলমুখে বল জটলার মধ্য থেকে সেগোভিয়াকে পাস দেন মেসি। সুযোগ বুঝে বল জালে পাঠিয়ে সমতায় ফেরান সেগোভিয়া।

শেষ ৭ ম্যাচে পাঁচটি হারের পর এটি মায়ামির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ এক পয়েন্ট। ১৩ ম্যাচে তাদের মোট পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ২৩, যা তাদের ইস্টার্ন কনফারেন্সের ষষ্ঠ স্থানে রেখেছে। অন্যদিকে ১৪ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ব যবধ ন

এছাড়াও পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে যমুনায় ধর্মভিত্তিক দলসহ বিভিন্ন দলের নেতারা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পৌঁছেছেন ধর্মভিত্তিক দলসহ কয়েকটি দলের নেতারা। আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার পর থেকে এই নেতারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে আসতে থাকেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে ইতিমধ্যে যমুনায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এই বৈঠকে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির জাতীয় নির্বাহী পরিষদের মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার ও ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজির উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

নানা ক্ষোভ ও হতাশা থেকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন, এমন খবরে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই সব মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এমন পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আগ্রহে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শুরু হয়। শনিবার বৈঠক হয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের সঙ্গে।

এরই ধারাবাহিকতায় আজও বিভিন্ন দলের সঙ্গে বৈঠক করছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ ধর্মভিত্তিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের আগে বিকেল পাঁচটায় কয়েকটি দল ও সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি।

ওই বৈঠকে অংশগ্রহণকারী নেতারা হলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সেক্রেটারি সাইফুল হক, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়কারী টিপু বিশ্বাস, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান মঞ্জু, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ