হাতকড়া পরিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে অপহরণ, মামলা করতে ভয় পাচ্ছেন ব্যবসায়ী
Published: 26th, May 2025 GMT
মানিকগঞ্জ শহরে এক ব্যবসায়ীকে হাতকড়া পরিয়ে চোখ ও মুখ বেঁধে অপহরণের পর টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার রাতে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়।
ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির নাম জাফর আলী (৪৪)। মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাঁর মোবাইল ব্যাংকিং ও ফটোকপির দোকান আছে। তাঁর বাড়ি জেলা সদরের দীঘি গ্রামে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি যাচ্ছিলেন জাফর। এ সময় তাঁর সঙ্গে সম্রাট (১৭) নামের দোকানের একজন কর্মচারী ছিল। রাত পৌনে ১১টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সামনে দিয়ে মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় পাশ থেকে চার থেকে পাঁচজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাঁকে ডাক দেয়। মোটরসাইকেলটি থামালে তারা হাতকড়া পরিয়ে জাফরকে একটি গাড়িতে তোলে। এ সময় ওই কর্মচারীকেও গাড়িতে তোলা হয়। পরে ওই ব্যবসায়ীর হাত ও চোখ-মুখ বেঁধে ফেলা হয়। দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর থানার তেতুইবাড়ী এলাকায় তাঁদের ফেলে দিয়ে যায় অপহরণকারীরা।
আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে জাফর আলীর দোকানে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জাফর বলেন, প্রায় ৮০ হাজার টাকাসহ দুটি মুঠোফোন নিয়ে নেয় অপহরণকারীরা। মুক্ত হওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়েও তিনি মোটরসাইকেল পাননি। মোটরসাইকেল খোয়া যাওয়ার বিষয়ে তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করবেন।
মামলা করবেন না কেন, জানতে চাইলে জাফর বলেন, অপহরণকারীরা তাঁকে ও তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চেনে। মামলা করলে তারা (অপহরণকারীরা) ভবিষ্যতে ক্ষতি করবে বলে হুমকি দিয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অপহরণক র র ব যবস য়
এছাড়াও পড়ুন:
জয়কে অপহরণ-হত্যাচেষ্টা ষড়যন্ত্রের মামলায় এবার খালাস পেলেন শফিক রেহমান
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় খালাস পেয়েছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান।
ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ তারিক এজাজ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় শফিক রেহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
শফিক রেহমানের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
একই মামলায় একই আপিল আদালত থেকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান খালাস পান।
একই মামলায় একই আপিল আদালত থেকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান খালাস পান।জানতে চাইলে আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর শফিক রেহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে শফিক রেহমান আত্মসমর্পণ করেন। সেদিন তিনি সাজা পরোয়ানা বাতিলের আবেদন জানান। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন।
পরে ওই মামলায় সিএমএম আদালতের দেওয়া রায় চ্যালেঞ্জ করে ২১ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিলের পাশাপাশি জামিন আবেদন করেন শফিক রেহমান। সেদিন তিনি আদালত থেকে জামিন পান।
সৈয়দ জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, ঢাকার সিএমএম আদালতের দেওয়া কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে শফিক রেহমানের করা আপিল আজ মঞ্জুর করেছেন ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত। ফলে শফিক রেহমান এ মামলা থেকে খালাস পেলেন।
২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট এ মামলায় শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন সিএমএম আদালত। অন্য তিনজন হলেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তাঁর ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
মামলায় শফিক রেহমান ও মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের সাজা স্থগিত করা হয়।
সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট রাজধানীর পল্টন থানায় এ মামলা করেছিল পুলিশ।