সিদ্ধিরগঞ্জে শিশু ধর্ষণ চেষ্টার মামলার আসামি গ্রেপ্তার
Published: 26th, May 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে ৬ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার মামলার আসামি মাসুদ (৩৫) কে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
সোমবার (২৬ মে) রাত আনুমানিক ২টায় রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১ অপস্ অফিসার মো. গোলাম মোর্শেদ।
গ্রেপ্তারকৃ মাসুদ কুমিল্লার লাকসাম থানার পাশাপুর গ্রামের মাওলানা আব্দুল মান্নানের ছেলে। সে বর্তমানে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পাইনাদি নতুন মহল্লায় বসবাস করত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদিনী একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। তার বড় ও ছোট দুই মেয়ে মহিলা মাদ্রাসার বোর্ডিংয়ে থেকে পড়ালেখা করত। সম্প্রতি বড় মেয়ে অসুস্থ হওয়ায় তিনি দুই মেয়েকে বাসায় নিয়ে আসেন।
গত ১৮ মে দুপুর অনুমান ৩টায় তিনি দুই মেয়েকে ভাড়া বাসায় রেখে গার্মেন্টসে চলে যান। ওই সময় তার ৬ বছর বয়সী ছোট মেয়েটি বাসার বাইরে খেলতে গেলে পাইনাদি নতুন মহল্লায় অবস্থিত মহিউদ্দিন আল মামুন এবং কামরুজ্জামান এর যৌথ মালিকানাধীন বিল্ডিংয়ের দারোয়ান মাসুদ (৩৫) শিশুটির মুখ চেপে ধরে তার গার্ডরুমে নিয়ে যায়।
সেখানে মাসুদের বিরুদ্ধে শিশুটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক প্যান্ট খুলে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে।
শিশুটির কান্নাকাটি শুরু করলে এবং মাকে সব বলে দেবে জানালে অভিযুক্ত মাসুদ শিশুটিকে গার্ডরুমে রেখেই পালিয়ে যায়। সুযোগ পেয়ে শিশুটি নিজেও গার্ডরুম থেকে বেরিয়ে আসে।
মা গার্মেন্টস থেকে বাসায় ফেরার পর মেয়েটি কান্না করে সব ঘটনা জানায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী শিশুর মা বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণের চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি রুজু হওয়ার পর থেকেই মামলার একমাত্র এজাহারভুক্ত আসামি মাসুদকে গ্রেপ্তারের জন্য র্যাব-১১ ও র্যাব-৪ যৌথভাবে গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহ শুরু করে।
পরবর্তীতে র্যাবের এই যৌথ আভিযানিক দল নিজস্ব গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি ফেরত পেলেন নোবিপ্রবিতে ৭ শিক্ষক-কর্মকর্তা
তুচ্ছ কারণে চাকরিচ্যুত দুই শিক্ষক ও পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরি ফিরিয়ে দিয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) প্রশাসন।
সোমবার (২৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৫তম রিজেন্ট বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চাকরিতে পুনর্বহাল হওয়া শিক্ষকরা হলেন- ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রশিদুল ইসলাম ও শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক মো. মোকাররম হোসেন।
আরো পড়ুন:
বরখাস্ত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের যবিপ্রবিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ‘নাকাল’ কুবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
কর্মকর্তা-কর্মচারী হলেন, সেকশন অফিসার (অস্থায়ী) ইব্রাহীম খলিল, এফটিএনএস বিভাগের ল্যাব টেকনিশিয়ান মাহিন হোসেন, নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল মান্নান, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন এবং মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন প্রশাসনিক জটিলতা ও রাজনৈতিক বিরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এসব শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। অনেক সময় তুচ্ছ কারণ বা যথাযথ তদন্ত ছাড়াই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর চাকরি ফেরত চেয়ে আবেদন করেন তারা।
চাকরি ফিরে পাওয়া কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল বলেন, “লঘু কারণ দেখিয়ে আমাকে বরখাস্ত করা হয়। আমি তখন যেসব দায়িত্বে ছিলাম, সততার সঙ্গে পালন করেছি। লোকবল কম থাকায় কিছু কাজ করতে সময় লাগত, কিন্তু তা সংখ্যায় খুবই কম। এজন্য আমাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তীতে আমি আইনজীবীর মাধ্যমে রিট করি। বর্তমান প্রশাসন আমার চাকরি ফিরিয়ে দিয়েছে। তবে বরখাস্ত হওয়া সময়কে লঘুদণ্ড হিসেবে বিবেচনায় রেখেছেন।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, “পূর্ববর্তী সময়ে তারা যোগ্যতা দিয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। তাদের চাকরিতেও যুক্ত করানো হয়। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়া তাদের নিয়োগ স্থগিত এবং বরখাস্ত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তাদের পাঠানো লিগ্যাল নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত কমিটি ও রিভিউ কমিটির সুপারিশ এবং যথাযথ আইন মেনে রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিয়োগ স্থগিতকরণের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “একজন প্রভাষকের সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটে। তার চাকরি ফিরিয়ে দিলেও তিনি প্রভাষক পদে জয়েন করেননি। সহকারী অধ্যাপক পদে পরীক্ষা দিয়ে নিয়োগ পান। এ থেকে বোঝা যায়, প্রকৃতপক্ষে যোগ্য ছিলেন।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী