পুঁজিবাজারে ইলেকট্রনিক সিকিউরিটিজ ট্রেডিং, বিতরণ, হস্তান্তর এবং সেটেলমেন্ট প্রক্রিয়ার কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত করার দা‌বি জা‌নি‌য়ে‌ছে পুঁজিবাজারের স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।

প্রতিষ্ঠানটিকে স্টক এক্সচেঞ্জে তা‌লিকাভু‌ক্তির জন‌্য প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পুঁজিবাজার উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ড.

আনিসুজ্জামান চৌধুরীর হস্তক্ষেপ চেয়েছে সংগঠন‌টি।

মঙ্গলবার (২৭ মে) সংঠ‌নের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল গ‌নি স্বাক্ষ‌রিত সংবাদ বিজ্ঞ‌প্তি‌তে এই তথ‌্য জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

আরো পড়ুন:

টানা ৩ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে পতন, বেড়েছে লেনদেন

বিডি সার্ভিসেসের ৯ মাসে লোকসান বেড়েছে ৩৪ শতাংশ

‌ডি‌বিএ জা‌নি‌য়ে‌ছে, সোমবার (২৬ মে) ডিবিএর পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বরাবর তার কার্যালয়ে দাখিল করা হয়। একই চিঠির কপি যথাক্রমে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যানকে প্রদান করা হয়।

চিঠিতে ডিবিএর পক্ষ থেকে বলা হয়ে‌ছে, সিডিবিএল ২০ আগষ্ট ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কারিগরি সহায়তায় এবং জাতীয়করণকৃত বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ (এনসিবি), ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ (পিসিবি) বিদেশি ব্যাংক, মার্চেন্ট ব্যাংক, পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানি, বীমা কোম্পানি, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের অর্থায়নে গঠিত হয়। তাই স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার হিসেবে এই প্রতিষ্ঠানগুলো সিডিবিএলর মালিকানায় রয়েছে।

সিডিবিএল গঠনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল, প্রথমত: পেপার সিস্টেম থেকে ইলেকট্রনিক সিস্টেমে রূপান্তরিত করে বাংলাদেশের সিকিউরিটিজ মার্কেটকে আধুনিকীকরণ এবং সুবিন্যস্ত করে এর দক্ষতা বৃদ্ধি, ঝুঁকি হ্রাস এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করা। দ্বিতীয়ত: কোনপ্রকার মুনাফালোভী উদ্দেশ্য ও মনোভাব ব্যতিরেকে স্টেকহোল্ডারদের সুবিধার জন্য কাজ করা এবং তৃতীয়ত: সিডিবিএলকে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত করে বৃহত্তর জনসাধারণের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা।

ডিবিএ আরো জানায়, প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পার হয়ে গেলেও সিডিবিএল এখন পর্যন্ত স্টক এক্সচেঞ্জের অতালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এটি তার প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ও প্রত্যাশা থেকে বিচ্যুৎ। যদিও সিডিবিএল-এর আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আসে ইস্যুয়ার কোম্পানি, স্টক ব্রোকার, স্টক ডিলার, কাস্টোডিয়ান, বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অংশীজনদের কাছ থেকে।

এমতাবস্থায়, সিডিবিএল যাতে তার প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে আরো কার্যকর অবদান রাখতে পারে এবং পুঁজিবাজারের অংশীজনদের কাছ থেকে প্রাপ্ত মুনাফার অংশ ভাগ করে নিতে পারে, সে জন্যে অবিলম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে এর তালিকাভুক্তি নিশ্চিত করতে ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত পুঁজিবাজার উন্নয়ন কমিটি, বিএসইসি ও ডিএসই’র হস্তক্ষেপ ও নির্দেশনা চেয়েছে ডিবিএ।

ঢাকা/এনটি/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ড ব এল

এছাড়াও পড়ুন:

৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ

‎পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আরো পড়ুন:

সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা

পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা

‎গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

‎সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি। 

এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

‎ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
  • সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা
  • ২২ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দেবে বিএসইসি
  • পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা
  • বিএসইসির তদন্তের মুখে ভ্যানগার্ড ও ক্যাপিটেক অ্যাসেট
  • দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে পুঁজিবাজার ও বন্ডকে ব্যবহারের প্রস্তাব
  • ৫ কোম্পানির শেয়ার কারসাজি: ৩ জনকে দেড় কোটি টাকা অর্থদণ্ড