ধানমন্ডিতে দেবে গেছে রাস্তা, বিকেল থেকে যান চলাচল বন্ধ
Published: 27th, May 2025 GMT
রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা ধানমন্ডিতে একটি সড়ক দেবে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই সড়ক হয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটা থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রকৌশলীরা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, ধানমন্ডির শংকরে পদচারী-সেতুর ১৫ মিটার দক্ষিণ দিকে ৬৮ নম্বর বাড়ির সামনের সড়কটি দেবে গর্ত হয়ে গেছে। তাঁদের ধারণা, সম্প্রতি ডিপিডিসি মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুতের কাজ করার সময় ঠিকভাবে মেরামত করেনি। এ জন্য হঠাৎ রাস্তা দেবে গেছে।
সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের ধারণা, যে জায়গায় গর্ত হয়ে গেছে সেখানে ঢাকা ওয়াসার পানি সরবরাহের লাইনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখান দিয়ে অনবরত পানি বের হচ্ছে। রাস্তা ঠিক করতে হলে পানির সংযোগ আগে মেরামত করতে হবে। এ জন্য ওয়াসার কর্মকর্তারাও সেখানে গেছেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির অঞ্চল–১–এর নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জয় আজ রাত ১০টার দিকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, সড়কের যে পাশে গর্ত হয়েছে সেই পাশ হয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অন্য পাশ দিয়ে যান চলাচল করছে।
এটি মেরামত করতে কত সময় লাগবে, এমন প্রশ্নের জবাবে এই প্রকৌশলী বলেন, আগে ভেতরের পানির সংযোগ পথ ঠিক করতে হবে। এটি ঠিক করতে ওয়াসার লোকজন ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে এসেছেন। এরপর তাঁরা সড়ক মেরামত করবেন। সড়ক ঠিক করতে যেসব সামগ্রী লাগবে তার সবই তাঁরা সেখানে নিয়ে এসেছেন। যত দ্রুত সম্ভব তাঁরা সড়ক সচল করার চেষ্টা করছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ঠ ক করত
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি