আব্দুন নূর সজলের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করছেন শবনম বুবলী। রোমান্টিক-অ্যাকশন ঘরানার ‘শাপলা শালুক’ সিনেমায় দেখা যাবে তাদের। এ সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। হঠাৎ সিনেমাটির শুটিং সেটের কাছে চলে আসে বন্যহাতি। এতে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন সবাই।

শুটিং চলছে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা অরণ্যে। পাহাড়ি বনভূমিতে নির্মিত এই সিনেমার চিত্রধারণস্থল এতটাই বুনো প্রকৃতির আঁচে মোড়া যে প্রায় প্রতিদিনই হাতির আনাগোনা লেগেই থাকে। তবে গতকালের ঘটনা ছিল ভয়াবহ!

সজল বলেন, “এখানে শুটিং করছি প্রায় ৯ দিন হলো। এর মধ্যে কয়েকবার হাতি এসেছিল, তবে গতকাল যা হলো— তা একেবারেই ভীতিকর। হঠাৎ করেই ৮ থেকে ৯টি বন্যহাতি আমাদের সেটের কাছে চলে আসে। পুরো ইউনিট আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু করে। ভাগ্য ভালো, বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।”

আরো পড়ুন:

শাকিব-বীরের ছবি, ক্যাপশনে বুবলী-অপুর ঠান্ডা যুদ্ধ!

ওয়ান অ্যান্ড অনলি শাকিব খান: বুবলী

প্রথমবারের মতো নালিতাবাড়ীর লোকেশনে কাজ করছেন বুবলী। এ অভিনেত্রী বলেন, “জায়গাটা অপূর্ব। প্রকৃতির মাঝে এমন নিরিবিলি লোকেশন আগে পাইনি। দর্শকরা পর্দায় এই সবুজের মাধুর্য উপভোগ করবেন।”

সিনেমার গল্প নিয়েও রয়েছে উত্তেজনা। ‘পরাণ’ নামের এক চরিত্রে অভিনয় করছেন সজল। তিনি বলেন, “পুরো সিনেমার প্রতিটি চরিত্রই ভীষণ চ্যালেঞ্জিং। আমার চরিত্রটি একেবারেই গতানুগতিক নয়। এতে অ্যাকশন দৃশ্য রয়েছে, যার জন্য আমাকে ১০-১৫ দিন রিহার্সেল করতে হয়েছে। আমি চরিত্রটিকে ভেতর থেকে ধারণ করার চেষ্টা করছি।”

বুবলী তার চরিত্র নিয়ে বলেন, “আমি সবসময় এমন চরিত্র খুঁজি যেখানে নিজেকে নতুন করে উপস্থাপন করতে পারি। এই সিনেমার চরিত্রটি আমার জন্য একেবারে নতুন অভিজ্ঞতা। এমন ধরনের চরিত্রে আগে কখনো অভিনয় করিনি।”

নির্মাতা লাজুক জানিয়েছেন, সিনেমাটি একদিকে যেমন বাণিজ্যিক ঘরানার, তেমনি এতে রয়েছে ক্লাসিক রোমান্টিসিজম ও অ্যাকশনের সংমিশ্রণ। তার ভাষায়, “সিনেমাটি একদিকে যেমন রোমান্টিক, অন্যদিকে অ্যাকশননির্ভর। তবে নির্মাণশৈলীতে থাকবে ক্লাসিক্যাল ঘরানার ছোঁয়া।”

‘শাপলা শালুক’-এ সজল-বুবলী ছাড়াও অভিনয় করছেন সুমন আনোয়ার, আয়মান শিমলা, দিলরুবা দোয়েল, রফিকুল রুবেল, বাপ্পী প্রমুখ।

প্রকৃতির মাঝখানে বন্যতার উত্তাপ এবং শৈল্পিক অভিপ্রায়ে গড়ে উঠছে এক সিনেমার স্বপ্ন। রুপালি পর্দায় সেই স্বপ্ন কতটা প্রাণ পায়, আপাতত তারই অপেক্ষা!

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র চর ত র করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সন্ধ্যার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিক্ষার্থী প্রবেশে নিরুৎসাহিত করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

সন্ধ্যা সাতটার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিক্ষার্থীদের প্রবেশে নিরুৎসাহিত করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ জন্য সচেতনতামূলক প্রচারণা কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি উদ্যানের ভেতরে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রহরী বাড়ানো, সিসিটিভির আওতা বাড়ানো এবং ক্যাম্পাস–সংলগ্ন উদ্যানের ফটকগুলো রাত আটটার পর বন্ধ রাখার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন সদস্যদের এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ সভায় সভাপতিত্ব করেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (রাজনৈতিক) জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. বজলুর রহমান, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির প্রতিনিধি ফেরদৌস আহাম্মদ এবং শাহবাগ থানার ওসি মো. খালিদ মনসুর সভায় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনসোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দিনদুপুরে কী চলেছে ১৫ মে ২০২৫

সভায় আরও কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। সিদ্ধান্তগুলো হলো:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের সব ফটক রাত আটটার পর বন্ধ রাখার ব্যবস্থা করা। রমনা কালীমন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে মন্দিরের নিজস্ব বিকল্প ফটকের ব্যবস্থা করা। পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৭টি প্রবেশপথে দুজন করে তিন পালায় ৪২ জন সশস্ত্র নিরাপত্তা প্রহরী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও পড়ুনমাদকের ‘অভয়ারণ্য’ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, দিনে বিক্রি হতো ৪০ কেজি গাঁজা২৭ মে ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ