বুবলী-সজলের শুটিংয়ে বন্যহাতি, ভীত-সন্ত্রস্ত পুরো ইউনিট
Published: 28th, May 2025 GMT
আব্দুন নূর সজলের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করছেন শবনম বুবলী। রোমান্টিক-অ্যাকশন ঘরানার ‘শাপলা শালুক’ সিনেমায় দেখা যাবে তাদের। এ সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। হঠাৎ সিনেমাটির শুটিং সেটের কাছে চলে আসে বন্যহাতি। এতে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন সবাই।
শুটিং চলছে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা অরণ্যে। পাহাড়ি বনভূমিতে নির্মিত এই সিনেমার চিত্রধারণস্থল এতটাই বুনো প্রকৃতির আঁচে মোড়া যে প্রায় প্রতিদিনই হাতির আনাগোনা লেগেই থাকে। তবে গতকালের ঘটনা ছিল ভয়াবহ!
সজল বলেন, “এখানে শুটিং করছি প্রায় ৯ দিন হলো। এর মধ্যে কয়েকবার হাতি এসেছিল, তবে গতকাল যা হলো— তা একেবারেই ভীতিকর। হঠাৎ করেই ৮ থেকে ৯টি বন্যহাতি আমাদের সেটের কাছে চলে আসে। পুরো ইউনিট আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু করে। ভাগ্য ভালো, বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।”
আরো পড়ুন:
শাকিব-বীরের ছবি, ক্যাপশনে বুবলী-অপুর ঠান্ডা যুদ্ধ!
ওয়ান অ্যান্ড অনলি শাকিব খান: বুবলী
প্রথমবারের মতো নালিতাবাড়ীর লোকেশনে কাজ করছেন বুবলী। এ অভিনেত্রী বলেন, “জায়গাটা অপূর্ব। প্রকৃতির মাঝে এমন নিরিবিলি লোকেশন আগে পাইনি। দর্শকরা পর্দায় এই সবুজের মাধুর্য উপভোগ করবেন।”
সিনেমার গল্প নিয়েও রয়েছে উত্তেজনা। ‘পরাণ’ নামের এক চরিত্রে অভিনয় করছেন সজল। তিনি বলেন, “পুরো সিনেমার প্রতিটি চরিত্রই ভীষণ চ্যালেঞ্জিং। আমার চরিত্রটি একেবারেই গতানুগতিক নয়। এতে অ্যাকশন দৃশ্য রয়েছে, যার জন্য আমাকে ১০-১৫ দিন রিহার্সেল করতে হয়েছে। আমি চরিত্রটিকে ভেতর থেকে ধারণ করার চেষ্টা করছি।”
বুবলী তার চরিত্র নিয়ে বলেন, “আমি সবসময় এমন চরিত্র খুঁজি যেখানে নিজেকে নতুন করে উপস্থাপন করতে পারি। এই সিনেমার চরিত্রটি আমার জন্য একেবারে নতুন অভিজ্ঞতা। এমন ধরনের চরিত্রে আগে কখনো অভিনয় করিনি।”
নির্মাতা লাজুক জানিয়েছেন, সিনেমাটি একদিকে যেমন বাণিজ্যিক ঘরানার, তেমনি এতে রয়েছে ক্লাসিক রোমান্টিসিজম ও অ্যাকশনের সংমিশ্রণ। তার ভাষায়, “সিনেমাটি একদিকে যেমন রোমান্টিক, অন্যদিকে অ্যাকশননির্ভর। তবে নির্মাণশৈলীতে থাকবে ক্লাসিক্যাল ঘরানার ছোঁয়া।”
‘শাপলা শালুক’-এ সজল-বুবলী ছাড়াও অভিনয় করছেন সুমন আনোয়ার, আয়মান শিমলা, দিলরুবা দোয়েল, রফিকুল রুবেল, বাপ্পী প্রমুখ।
প্রকৃতির মাঝখানে বন্যতার উত্তাপ এবং শৈল্পিক অভিপ্রায়ে গড়ে উঠছে এক সিনেমার স্বপ্ন। রুপালি পর্দায় সেই স্বপ্ন কতটা প্রাণ পায়, আপাতত তারই অপেক্ষা!
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র চর ত র করছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
খারাপ স্মৃতি না ভেবে ভালো স্মৃতি ভাবার পরামর্শ কাউন্সেলিংয়ে
যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ট্রমা (মানসিক আঘাত) কাটিয়ে উঠতে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাউন্সেলিং করাচ্ছে। অন্যদিকে বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধপত্র। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা কাউন্সেলিং আর চিকিৎসাসেবা নিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ক্যাম্পাসে যাচ্ছেন।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের পাশাপাশি কিছু উৎসুক লোকজন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভেতরে যাচ্ছেন। উৎসুক লোকজন মূলত বিমান বিধ্বস্তের জায়গা দেখছেন। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের কাছাকাছি এলাকার শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসটিতে আসছেন। তবে গণমাধ্যমকর্মীদের আজ ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
দুপুর ১২টার দিকে কথা হয় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মোমিনুল ইসলামের সঙ্গে। সে কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাসে আসার কারণ জানতে চাইলে মোমিনুল প্রথম আলোকে বলে, ‘আজকে শিক্ষকেরা আমাদের ডেকেছেন। জানতে চেয়েছেন, বিমান বিধ্বস্তের পর আমাদের কারও কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না? বিশেষভাবে মানসিক কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না? হয়ে থাকলে কাউন্সেলিং নিতে বলেছেন।’
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ফটক