সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত
Published: 28th, May 2025 GMT
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আজ বুধবার সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ইতিমধ্যে ঢাকাসহ উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ৬ বিভাগে ভারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সুস্পষ্ট লঘুচাপ আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে। অতি ভারি বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন ও কক্সবাজার জেলার পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া ভারি বৃষ্টির ফলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তর–পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং কাছাকাছি এলাকায় লঘুচাপটি সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
ভারি বৃষ্টির প্রভাবে দেশের উত্তর, উত্তর পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের চার বিভাগের নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, শুক্র-শনিবার ফেনী জেলার মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হতে পারে। এছাড়া কিছু জায়গায় বিপৎসীমা অতিক্রমও করতে পারে। এ সময় সিলেটের সারিগোয়াইন, সুনামগঞ্জের যাদুকাটা, হবিগঞ্জের খোয়াই, নেত্রকোনা জেলার সোমেশ্বরী নদীর পানি দ্রুত বাড়বে। বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হতে পারে এবং কিছু জায়গায় বিপৎসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা আছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ভ ম ধস ব পৎস ম সতর ক
এছাড়াও পড়ুন:
দিল্লির কথায় রাজপথ দখলের চেষ্টা করলে ১৮ কোটি জনতা ঠেকিয়ে দেবে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
বাংলাদেশে কখন নির্বাচন হবে, সে বিষয়ে দিল্লির কোনো প্রেসক্রিপশন (ব্যবস্থাপত্র) কাজ করবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেছেন, দিল্লির কথায় বাংলাদেশে কোনো দল যদি রাজপথ দখলের চেষ্টা করে, তাহলে ১৮ কোটি জনতা তাদের ঠেকিয়ে দিতে প্রস্তুত থাকবে।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক অনুষ্ঠানে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এসব কথা বলেন। এনসিপির প্রকৌশল উইংয়ের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘ভারতীয় একজন বক্তব্য দিয়েছেন, ডিসেম্বরে নাকি বাংলাদেশে নির্বাচন হতে হবে। বাংলাদেশে কখন নির্বাচন হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশের জনগণ। সে বিষয়ে দিল্লির কোনো প্রেসক্রিপশন বাংলাদেশে কাজ করবে না। আর দিল্লির কথায় বাংলাদেশে কোনো দল যদি রাজপথ দখলের চেষ্টা করে, দিল্লির কোনো প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়নে যদি কোনো দল বা ব্যক্তি বাংলাদেশে কাজ শুরু করে, তাহলে বাংলাদেশের ১৮ কোটি জনতা যেভাবে ৫ আগস্টে নেমে এসেছিল, (সেভাবে) তারা ভবিষ্যতে রাজপথে নেমে এসে দিল্লি এবং দিল্লির প্রেসক্রিপশনে যারা কাজ করছে, তাদের ঠেকিয়ে দিতে প্রস্তুত থাকবে।’
কোনো রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ না করে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন অফিসকে দলীয় অফিসে পরিণত করে সেখান থেকে তারা চট্টগ্রামের মেয়র নিল এবং ঢাকাতেও তারা এ ধরনের একটি গেজেট প্রকাশ করল। আমরা তাদের কাছে আহ্বান জানাব, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণের কাঠামোগত জায়গায় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হলো নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচন কমিশন তাদের লিটমাস টেস্ট বা পরীক্ষায় ফেল করেছে। তারা যে দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর হয়েছে, সেটা আমরা ইশরাক হোসেনের গেজেট প্রকাশের মধ্য দিয়ে দেখলাম।’
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘তারা আইন-আদালতে গিয়ে জবরদস্তি করে আমাদের বিচারালয়কে যেভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, তা–ও বাংলাদেশের ইতিহাসে লেখা থাকবে। আমরা গণ-অভ্যুত্থানের পরে কোনো বিভেদ চাই না। কিন্তু কেউ যদি গুন্ডামি-মাস্তানি করে, সন্ত্রাস করে, নগর ভবন দখল করে রাখে, নির্বাচন অফিসকে দলীয় অফিসে পরিণত করে, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন দখল করে রাখে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দখল করে রাখে, এসব গুন্ডামি আর বাংলাদেশে চলবে না৷ যদি গুন্ডামি করতে হয়, তাহলে বাংলাদেশের বাইরে গিয়ে করুন।’
অনুষ্ঠানে এনসিপির প্রকৌশল উইংয়ের কমিটি ঘোষণা করেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। এই কমিটিতে শেখ মোহাম্মদ শাহ মঈনকে সমন্বয়ক করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব নাহিদা সারোয়ার, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ আল আমিন ছাড়াও প্রকৌশল উইংয়ের নেতারা বক্তব্য দেন।