চট্টগ্রাম স্টেশনে রেলের টিকিট কালোবাজারি, দুদকের অভিযানে মিলল সত্যতা
Published: 28th, May 2025 GMT
চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে টিকিট কালোবাজারির সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার দুপুরে চালানো অভিযানে বাড়তি টাকায় ট্রেনের টিকিট বিক্রির বিষয়টি ধরা পড়ে। তবে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপকের দাবি, অভিযোগটি সত্য নয়।
অভিযানে রেলের বুকিং সহকারী, নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বাড়তি দামে টিকিট বিক্রির অভিযোগ পায় দুদক। তাঁদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া দুদকের সহকারী পরিচালক সায়েদ আলম। তিনি বলেন, রেলের তিন কর্মী ১৯০ টাকার টিকিট বিক্রি করছিলেন ৩০০ টাকায়। টিকিট সংগ্রহ করেননি এমন যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি করছিলেন। এসব টিকিট তাঁদের হাতে থাকার কথা নয়।
দুদকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে যাত্রীদের সেবা প্রদানে হয়রানি, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান পরিচালনার সময় দুদকের অভিযান দলের সদস্যরা ছদ্মবেশে টিকিট সংগ্রহের চেষ্টা করলে অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন। স্টেশনে দায়িত্বরত আরএনবির সদস্যরা বুকিং সহকারীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে টিকিট কালোবাজারির কাজগুলো করেন। অভিযানে এ–সংক্রান্ত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিগুলো পরিদর্শন করে দেখা যায়, পরিদর্শনের সময় অতিরিক্ত টাকা আদায় করে যাত্রীদের টিকিট ছাড়াই বগিতে অবস্থান করার সুযোগ দেওয়া হয়।
অভিযানে পাওয়া নানা অনিয়মের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করে কমিশনে প্রতিবেদন দেওয়া হবে বলে জানান সহকারী পরিচালক সায়েদ আলম।
দুদকের অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক আবু বক্কর সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, বাড়তি দামে ও কালোবাজারে টিকিট বিক্রির অভিযোগ সত্য নয়। দুদকের সদস্যরা কাউন্টারে সব তদারকি করে দেখছেন, কিছুই পাননি। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে বেশি দামে টিকিট জোগাড় করে দেওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করেছেন। কিন্তু কেউ বেশি দামে টিকিট বিক্রি করেননি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট রাত ৮টায় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সন্ধ্যা ৭টার পর প্রবেশের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সচেতনতামূলক প্রচারণা কার্যক্রম চালাবে।
পাশাপাশি উদ্যানের ভেতরে নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিরাপত্তা প্রহরী বাড়ানো, উদ্যানকে সিসি ক্যামেরার আওতাধীন রাখা এবং ক্যাম্পাস-সংলগ্ন উদ্যানের গেটগুলো রাত ৮টার পর বন্ধ রাখার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গঠিত উপকমিটির আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (রাজনৈতিক) ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. বজলুর রহমান, আনসার ও ভিডিপির প্রতিনিধি ফেরদৌস আহাম্মদ এবং শাহবাগ থানার ওসি মো. খালিদ মনসুর উপস্থিত ছিলেন।
সভায় নেওয়া অন্য সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে– কালীমন্দিরে প্রবেশের জন্য বিকল্প গেটের ব্যবস্থা করা, নির্দিষ্ট সময় পরপর অভিযান চালানো, উদ্যানের ভেতরে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ।