বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ড. আনিসুজ্জামানের বৈঠক আজ
Published: 29th, May 2025 GMT
পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ১১টায় আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী ড.
বিনিয়োগকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে গত ২০ মে বিএসইসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েরেছ।
আরো পড়ুন:
৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ ৪৪ কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিএসইসি
সিএসইর শরিয়াহ সূচক সমন্বয়
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিএসইসি’র সাথে সাথে বর্তমান সরকারও দেশের পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়ন ও সংস্কারের বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক। পুঁজিবাজারের অংশীজনদের মতামত এবং তাদের সাথে নিয়েই বাজারের টেকসই উন্নয়ন ও সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব বলে বিএসইসি মনে করে। সংস্কারের চলমান প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দেশের পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত, অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় একটি স্বচ্ছ ও সমৃদ্ধ পুঁজিবাজার গড়ে তুলতে বিএসইসি বদ্ধ পরিকর। সাধারণ বিনিয়োগকারী দেশের পুঁজিবাজারের প্রাণ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, দেশের পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে বিএসইসি’র উদ্যোগে পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে আগামী ২৯ মে বেলা ১১টায় একটি মতবিনিময় সভা আয়োজিত হবে। অনুষ্ঠিতব্য উক্ত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। এছাড়াও বিএসইসি’র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ উক্ত সভায় উপস্থিত থাকবেন। উক্ত সভায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী ও বিএসইসি’র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করবেন।
সেখানে আরো উল্লেখ করা হয়, উক্ত মতবিনিময় সভায় পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ একান্ত কাম্য। মতবিনিময় সভাটিতে বিনিয়োগকারীদের সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। তবে মতবিনিময় সভাটি সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পাদনের নিমিত্ত বিনিয়োগকারীদের সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক-কে সভায় অংশগ্রহণের সম্মতি প্রকাশ করে তাদের নাম-পরিচয় ও যোগাযোগের ফোন নম্বরসহ বিস্তারিত উল্লেখ করে সংগঠনের প্যাডে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বরাবর কমিশনের দাপ্তরিক ইমেইল ঠিকানায় ([email protected]) পত্র প্রেরণের অনুরোধ করা যাচ্ছে।
ঢাকা/এনটি/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে বড়-মাঝারি বিনিয়োগকারী বেড়েছে : বিএসইসি
পুঁজিবাজার থেকে সাম্প্রতিক সময়ে বিনিয়োগকারী বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও পরিসংখ্যানে এর বিপরীত চিত্রই উঠে এসেছে। ২০২৪ সালের ৩০ জুনের তুলনায় ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে অতি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কিছুটা কমলেও বড় ও মাঝারি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা নয় বরং তাদের বিনিয়োগক্ষমতার ধরণ ও মান বদলেছে। তাই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কিংবা বিনিয়োগ কমছে এমন তথ্য সম্পূর্ণ সত্য নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিএসইসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা অথবা বিও হিসাবের সংখ্যা কিংবা বিনিয়োগ কমছে এমন বক্তব্য সাম্প্রতিক সময়ে পরিলক্ষিত হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি মূলত সম্পূর্ণ সত্য নয়। মূলত বিগত বছরের তুলনায় পুঁজিবাজারে বৃহৎ বিনিয়োগকারীর (৫০ কোটি হতে ৫০০ কোটি টাকা এবং তদুর্ধ্ব পোর্টফোলিও ভ্যালুসম্পন্ন) সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরো পড়ুন:
পুঁজিবাজারে টানা ৩ কার্যদিবস সূচকের পতন
বিএসইসি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করছে: ডিবিএ সভাপতি
পাশাপাশি বিগত বছরের তুলনায় মাঝারি বিনিয়োগকারীর (৫০ লাখের ঊর্ধ্বে ও ৫০ কোটি টাকার নিম্নের পোর্টফোলিও ভ্যালুসম্পন্ন) সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে বিগত বছরের তুলনায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর (১ লাখের ঊর্ধ্বে ও ৫০ লাখের টাকার নিম্নের পোর্টফোলিও ভ্যালুসম্পন্ন) সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে বিগত বছরের তুলনায় অতি ক্ষুদ্রবিনিয়োগকারীর (১ লাখ টাকার নিম্নের পোর্টফোলিও ভ্যালুসম্পন্ন) সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। অর্থ্যাৎ অতি ক্ষুদ্রবিনিয়োগকারীর (১ লাখ টাকার নিম্নের পোর্টফোলিও ভ্যালুসম্পন্ন) সংখ্যা ব্যতীত অন্য সকল ক্ষেত্রেই উন্নতি হয়েছে।
পোর্টফোলিও ভ্যালু ৫০ কোটি টাকার বেশি এমন বৃহৎ বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ২০২৫ সালের জুনে দাঁড়িয়েছে ৭৩৩ জন, যা আগের বছর ছিল ৬৯৬। আর ৫০০ কোটির ঊর্ধ্বে পোর্টফোলিওধারীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭০, যা আগের বছর ছিল ৬৮।
মাঝারি বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ৫০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ রয়েছে এমন মাঝারি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ২০২৫ সালে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ২২৫ জন, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১ হাজার ৩১৮ জন বেশি।
তবে বিপরীত চিত্র রয়েছে ১ লাখ টাকার নিচে বিনিয়োগ রয়েছে এমন অতি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। তাদের সংখ্যা ২০২৪ সালের ৯ লাখ ১৬ হাজার ১৫৭ থেকে কমে ২০২৫ সালে দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৩১ হাজার ৭৪৮ জন। অর্থাৎ প্রায় ৮৫ হাজার বিনিয়োগকারী ১ লাখ টাকার নিচের পোর্টফোলিও থেকে সরে এসেছেন বা বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছেন।
ঢাকা/এনটি/বকুল