সেঞ্চুরি ছাড়াই চারশো! ব্যাটে-বলে এক অন্যরকম দিন ইংল্যান্ডের
Published: 30th, May 2025 GMT
বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনের মাঠে যেন ক্রিকেটের বইয়ে এক নতুন অধ্যায় যুক্ত করল ইংল্যান্ড। বৃহস্পতিবারের (২৯ মে) ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এমন এক নজির গড়েছে তারা, যা শুনলে যে কেউ চোখ কপালে তুলবেন। তাদের একজন ব্যাটারও শতক হাঁকাতে পারেননি। অথচ দলীয় স্কোর গিয়ে ঠেকেছে ৪০০ তে! আর তার সঙ্গে যোগ হয়েছে বোলিংয়ে বিধ্বংসী পারফরম্যান্স। ফলাফল, ২৩৮ রানের দুর্দান্ত জয় এবং সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়া।
টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে আমন্ত্রণ জানান ক্যারিবীয় অধিনায়ক শাই হোপ। প্রথম দশ ওভারেই স্পষ্ট হয়ে যায় এই সিদ্ধান্ত বড় ভুল হতে চলেছে। ইংলিশ ইনিংসের ভিত্তিপ্রস্তর রাখেন জেমি স্মিথ ও বেন ডাকেট। তাদের ঝড়ো সূচনা এনে দেয় ৭ ওভারে ৬৪ রানের জুটি। ডাকেট খেলেন ৪৮ বলে ৬০ রানের স্বচ্ছন্দ এক ইনিংস।
এরপর শুরু হয় মিডল-অর্ডারের সম্মিলিত কনসার্ট। জো রুটের দায়িত্বশীল ৫৭, অধিনায়ক হ্যারি ব্রুকের অনুপ্রেরণাদায়ী ৫৮ এবং জ্যাকব বেথেলের বিস্ফোরক ৮২ রানের ইনিংস এই রান পাহাড়ের মূল ভিত্তি। বেথেল মাত্র ৫৩ বলে এই ইনিংসে হাঁকান ৮টি চার ও ৫টি ছক্কা। পাশে ছিলেন উইল জ্যাকস, যিনি ২৪ বলে যোগ করেন মূল্যবান ৩৯ রান।
আরো পড়ুন:
আইপিএলে ইতিহাস গড়া ছয় বলে ছয় ছক্কা
৬৪ বছর বয়সে অভিষেক, ইতিহাস গড়লেন জোয়ানা চাইল্ড
শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে উঠে ৪০০ রান। এটি একটি এমন ইনিংস, যেখানে চারজন হাফ-সেঞ্চুরি পেলেও কারো ব্যাট ছুঁতে পারেনি শতকের মাইলফলক। এটাই ছিল ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম ঘটনা যেখানে কোনো সেঞ্চুরি ছাড়া ৪০০ রান করেছে কোনো দল।
এই রান তাড়া করতে নেমে ক্যারিবীয় ব্যাটাররা যেন ছায়া হয়ে ছিলেন নিজেদেরই। একে একে ফিরেছেন প্রায় সবাই। সবচেয়ে লজ্জার পরিসংখ্যান সর্বোচ্চ স্কোর এসেছে ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান জাইডেন সিলসের ব্যাট থেকে (২৯ রান)। অধিনায়ক হোপ ২৫ ও কিসি কার্টি ২২ রান করলেও তা কেবল পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত মাত্র ২৬.
সাকিব মাহমুদ ও জেমি ওভার্টনের আগুনঝরা স্পেলে তুলে নেন ৩টি করে উইকেট। আদিল রশিদ নেন ২টি উইকেট। পুরো ইনিংসজুড়ে ইংল্যান্ডের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রতিরোধের সুযোগই পায়নি সফরকারীরা।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে ১ জুন, কার্ডিফে। প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের এমন তাণ্ডবের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ক ট র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
খারাপ স্মৃতি না ভেবে ভালো স্মৃতি ভাবার পরামর্শ কাউন্সেলিংয়ে
যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ট্রমা (মানসিক আঘাত) কাটিয়ে উঠতে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাউন্সেলিং করাচ্ছে। অন্যদিকে বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধপত্র। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা কাউন্সেলিং আর চিকিৎসাসেবা নিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ক্যাম্পাসে যাচ্ছেন।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের পাশাপাশি কিছু উৎসুক লোকজন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভেতরে যাচ্ছেন। উৎসুক লোকজন মূলত বিমান বিধ্বস্তের জায়গা দেখছেন। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের কাছাকাছি এলাকার শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসটিতে আসছেন। তবে গণমাধ্যমকর্মীদের আজ ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
দুপুর ১২টার দিকে কথা হয় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মোমিনুল ইসলামের সঙ্গে। সে কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাসে আসার কারণ জানতে চাইলে মোমিনুল প্রথম আলোকে বলে, ‘আজকে শিক্ষকেরা আমাদের ডেকেছেন। জানতে চেয়েছেন, বিমান বিধ্বস্তের পর আমাদের কারও কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না? বিশেষভাবে মানসিক কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না? হয়ে থাকলে কাউন্সেলিং নিতে বলেছেন।’
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ফটক