বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপের কারণে অব্যাহত বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট অঞ্চলে বাড়ছে নদী ও হাওরের পানি। গত দুইদিন ধরে অব্যাহত বৃষ্টির পর আগামী তিনদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থায় সিলেটে বন্যার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বৃহস্পতি ও শুক্রবার ধরে সিলেটের সবকটি নদী ও হাওরাঞ্চলে পানি বাড়ছে।

এদিকে ধলাই নদীর পানিবৃদ্ধির কারণে কোম্পনাীগঞ্জের পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর এলাকা ভেসে গেছে। শুক্রবার দেখা গেছে, সেখানকার অস্থায়ী স্থাপনা সরানোর চেষ্টা করছেন শ্রমিকরা। একইভাবে ডাউকির পানি বৃদ্ধির কারণে জাফলং পর্যটনকেন্দ্রও ভেসে গেছে।

আহবাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ৮৭.

৪ মিলিটার ও শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২৮.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া সুরমা ও কুশিয়ারা নদী ছাড়াও ধলাই, সারি, গোয়াইন, পিয়াইনসহ অন্যান্য নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রত্যেক নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে দুইদিনের মধ্যে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করবে। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রত্যেকটি পয়েন্টে ২০ থেকে ৯০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানান, বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে পানি বাড়ছে। সারি, গোয়াইন ও ধলাই নদীর পানি বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান শুক্রবার সমকালকে জানান, সিলেটসহ বিভিন্ন এলাকায় আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নদ র প ন শ ক রব র

এছাড়াও পড়ুন:

বর্ষায় রূপ মেলেছে সিলেটের, এখনই সময় বেড়ানোর

প্রতি বর্ষায় সিলেটের প্রকৃতি নিজের রূপ আর স্নিগ্ধতা মেলে ধরে। নান্দনিক সৌন্দর্যের টানে তাই পর্যটকেরাও বর্ষায় ছুটে আসেন। তবে এবার বৃষ্টির মৌসুম শুরু হতে না-হতেই পাহাড়ি ঢল আর ভারী বৃষ্টিতে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। পর্যটনকেন্দ্রগুলোও হয়ে পড়ে পানিবন্দী।

হঠাৎ পর্যটকবান্ধবহীন এমন পরিস্থিতিতে ঘটে ছন্দপতন। তবে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কাকতালীয়ভাবে পানি কমতে শুরু করে। পর্যটনকেন্দ্রগুলোও আবার হয়ে ওঠে মুখর। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসুরা সিলেটে ছুটে আসছেন প্রকৃতির রূপ আর স্নিগ্ধতা উপভোগ করতে।

পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সিলেটের জনপ্রিয় সব কটি পর্যটনকেন্দ্রই পানিকেন্দ্রিক। তাই বর্ষা মৌসুমেই এসব পর্যটনকেন্দ্র ঘিরে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের ভিড় বেশি থাকে। এবার ঈদের ছুটিতেও প্রতিটি স্পটে প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক আসছেন। যেহেতু এখনো পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি চলছে, তাই আগামী শনিবার পর্যন্ত পর্যটকদের এমন উপচে পড়া ভিড় থাকবে। এবারের ছুটিতে সিলেটে লাখো পর্যটক হবেন বলে ব্যবসায়ীরা ধারণা করছেন।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আকস্মিক পানি চলে আসায় পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা আশঙ্কায় ছিলেন, এবারের ঈদের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক আসবেন না। তবে দ্রুত পানি নেমে যাওয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এ অবস্থায় প্রচুর পর্যটক আসছেন। ঈদের আরও যে কয়েক দিন ছুটি আছে, একই অবস্থা থাকবে।

পর্যটকেরা ঈদের ছুটিতে ঘুরতে যান সিলেটের গোয়াইনঘাটের রাতারগুলে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেটে প্রশাসনের ভূমিকা চাই
  • ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর সোনারগাঁয়ের পর্যটনকেন্দ্র
  • উৎমাছড়ায় পর্যটকদের যেতে বাধা, ভিডিও ভাইরাল
  • মাদক গ্রহণে নিষেধ করা হয়েছিল, উৎমাছড়ায় যেতে নয়—বৈঠকে দাবি
  • বর্ষায় রূপ মেলেছে সিলেটের, এখনই সময় বেড়ানোর
  • ঘুরে আসুন আলুটিলার ‘রহস্যময়’ গুহা, যেভাবে যাবেন
  • পাহাড়ের কোলে স্নিগ্ধ রিসাং
  • জাফলংয়ে পর্যটকদের সঙ্গে স্থানীয়দের হাতাহাতি, উৎমাছড়া পর্যটনকেন্দ্রে যেতে বাধা