এবারের পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ দলের প্রাপ্তি কী?

মাঠের বাইরের কোনো প্রাপ্তির কথা যদি বলেন, তাহলে শেষ টি–টোয়েন্টির আগে পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির আমন্ত্রণে পাঞ্জাবের গভর্নর হাউসে যাওয়া–খাওয়া, উপহার হিসেবে স্মারক নেওয়া এবং প্রেসিডেন্টের মুখে বাংলাদেশ নিয়ে কিছু প্রশাংসাবাণী শোনা।

আর মাঠ থেকে প্রাপ্তি! লাহোরে গত রাতে নিয়মরক্ষার শেষ ম্যাচে ১৯৬ রান করতে পারা, যা টি–টোয়েন্টি পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ।

ব্যস, এটুকুই। লক্ষ্যটা বড় হলেও মোহাম্মদ হারিসের সেঞ্চুরিতে ১৬ বল আর ৭ উইকেট বাকি রেখেই ম্যাচটা জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। আগের দুই ম্যাচে ৩৭ ও ৫৭ রানে জেতা আগা সালমানের দল এই ম্যাচ জিতে ধবলধোলাইয়ের তেতো স্বাদ দিয়েছে বাংলাদেশকে। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এটিই সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়।

বাংলাদেশের ইনিংসের শেষ দিকে পাকিস্তানের বোলাররা দারুণ বোলিং করেছেন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ধবলধোলাইয়ের শঙ্কা, সম্মান বাঁচানোর মিশনে বাংলাদেশ

একদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নেতৃত্ব পরিবর্তনের উত্তেজনা, অন্যদিকে মাঠে টানা দুই টি-টোয়েন্টিতে হারের হতাশা। সব মিলিয়ে অস্থির সময় পার করছে দেশের ক্রিকেট। এমন এক সময়েই আজ রোববার পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি খেলতে নামছে বাংলাদেশ। লক্ষ্য একটাই, ধবলধোলাই এড়ানো।

নতুন বিসিবি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তিনি দায়িত্ব নেয়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায়ই সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ দল। স্বাভাবিকভাবেই এত অল্প সময়ে মাঠের পারফরম্যান্সে তার প্রভাব পড়ার সুযোগ ছিল না। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পর দুই দিন যেতে না যেতেই ভক্তদের প্রত্যাশার ভার তার কাঁধে।

পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে হারলেই তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হবে বাংলাদেশ। আরব আমিরাতের মতো দলের কাছেও হারের পর পাকিস্তানের কাছে ধবলধোলাই হলে তা হবে লিটন দাসদের জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা।

দলের দুরবস্থার মূল কারণ ব্যাটিং। প্রথম দুই ম্যাচে ভালো সূচনা করেও মাঝপথে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। দুই ম্যাচেই পাকিস্তান আগে ব্যাট করে ২০১ রানের বড় পুঁজি গড়লেও জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে অলআউট হয় ১৬৪ রানে এবং দ্বিতীয়টিতে ১৪৪ রানে।

পাকিস্তানের ব্যাটারদের আক্রমণাত্মক মেজাজ বিপাকে ফেলেছে সফরকারীদের। তবে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে বাংলাদেশের বোলাররা, বিশেষ করে ডেথ ওভারে। দুই ম্যাচেই শেষ দিকে পাকিস্তানকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছেন তারা। কিন্তু ব্যাটিংয়ে আগ্রাসনের অভাব স্পষ্ট। ব্যাটাররা বারবার ছন্দপতনের শিকার হয়েছেন, রান তাড়ায় চাপ নিতে পারেননি। এ অবস্থায় কেউ কেউ মনে করছেন, টার্গেট ডিফেন্ড করাই হতে পারে বাংলাদেশের জন্য বেশি উপযোগী কৌশল।

আইসিসির সর্বশেষ র‍্যাংকিং বলছে, টি-টোয়েন্টিতেও ১০ নম্বরে নেমে গেছে বাংলাদেশ। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই সম্মান বাঁচাতে হলেও আজ জয়ের বিকল্প নেই লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। আজকের ম্যাচের পারফরম্যান্সেই জানা যাবে, শেষ পর্যন্ত ধবলধোলাই এড়াতে পারে কি না বাংলাদেশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিনা উইকেটে পঞ্চাশ পেরিয়ে বাংলাদেশ
  • খালেদের অভিষেক, টসে হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
  • হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর আশায় ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
  • ধবলধোলাইয়ের শঙ্কা, সম্মান বাঁচানোর মিশনে বাংলাদেশ
  • ধারাবাহিকতার ছিটেফোঁটাও নেই, ধবলধোলাই এড়ানো সম্ভব