বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর শুরু থেকেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সমকালকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে (আইসিসি) দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটে একটি কার্যকর পরিবর্তন আনতে চান।

বুলবুল বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় কোচিং কোর্সের লেভেল ওয়ান, টু ও থ্রি করার পর ভিক্টোরিয়ার ইনস্টিটিউট অব স্পোর্টস থেকে সম্পন্ন করেছি বেসিক প্রিন্সিপাল অব কোচিং। এরপর এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলে সাড়ে আট বছর ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিসেবে কাজ করেছি। সেখানে আমার কাজ ছিল বোর্ড কীভাবে পরিচালিত হয়, সেই প্রোগ্রামগুলো বাস্তবায়ন করা।’

আইসিসির অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। তিনি জানান, ‘আইসিসিতে আমার কাজ ছিল গবেষণাভিত্তিক। কৌশল কী হওয়া উচিত, সহযোগী দেশগুলোতে কীভাবে বাস্তবায়ন করব, সেটা ছিল মূল দায়িত্ব। আফগানিস্তান যেমন সহযোগী দেশ থেকে পূর্ণ সদস্য হয়েছে আমার হাত ধরেই। এছাড়া নেপাল, ওমান, হংকং, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ ২০টি দেশের সঙ্গে কাজ করেছি। এই অভিজ্ঞতার একটি প্যাকেজ বাংলাদেশকে উপহার দিতে চাই।’

এই ‘প্যাকেজ’ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানাতে গিয়ে বুলবুল বলেন, ‘শনিবার সাড়ে চার ঘণ্টা জরুরি সভা করেছি। আমি নিজেই প্রেজেন্টেশন দিয়েছি। নাম দিয়েছি ‘ট্রিপল সেঞ্চুরি’, শতভাগ সততা, শতভাগ পারফরম্যান্স এবং শতভাগ লক্ষ্য পূরণ। এই তিনটি ভিত্তির ওপর ভিত্তি করেই চারটি প্রোগ্রাম চালু করব। এর মাধ্যমে সুযোগ-সুবিধা, ইন্টিগ্রেটি, হাই পারফরম্যান্স ও বোর্ডের কার্যক্রম এক ছাতার নিচে আনা হবে। আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি।’

উল্লেখ্য, ফারুক আহমেদকে অপসারণের পর বিসিবির ১৭তম সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান আমিনুল ইসলাম বুলবুল। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ঘোষণা অনুযায়ী, সাবেক এই ক্রিকেটার এখন দেশের ক্রিকেট প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদে। খেলোয়াড়ি জীবনে যিনি দেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক ছিলেন, সেই বুলবুল এবার দায়িত্ব নিচ্ছেন দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়ার নেতৃত্বে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ধবলধোলাইয়ের শঙ্কা, সম্মান বাঁচানোর মিশনে বাংলাদেশ

একদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নেতৃত্ব পরিবর্তনের উত্তেজনা, অন্যদিকে মাঠে টানা দুই টি-টোয়েন্টিতে হারের হতাশা। সব মিলিয়ে অস্থির সময় পার করছে দেশের ক্রিকেট। এমন এক সময়েই আজ রোববার পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি খেলতে নামছে বাংলাদেশ। লক্ষ্য একটাই, ধবলধোলাই এড়ানো।

নতুন বিসিবি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তিনি দায়িত্ব নেয়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায়ই সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ দল। স্বাভাবিকভাবেই এত অল্প সময়ে মাঠের পারফরম্যান্সে তার প্রভাব পড়ার সুযোগ ছিল না। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পর দুই দিন যেতে না যেতেই ভক্তদের প্রত্যাশার ভার তার কাঁধে।

পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে হারলেই তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হবে বাংলাদেশ। আরব আমিরাতের মতো দলের কাছেও হারের পর পাকিস্তানের কাছে ধবলধোলাই হলে তা হবে লিটন দাসদের জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা।

দলের দুরবস্থার মূল কারণ ব্যাটিং। প্রথম দুই ম্যাচে ভালো সূচনা করেও মাঝপথে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। দুই ম্যাচেই পাকিস্তান আগে ব্যাট করে ২০১ রানের বড় পুঁজি গড়লেও জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে অলআউট হয় ১৬৪ রানে এবং দ্বিতীয়টিতে ১৪৪ রানে।

পাকিস্তানের ব্যাটারদের আক্রমণাত্মক মেজাজ বিপাকে ফেলেছে সফরকারীদের। তবে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে বাংলাদেশের বোলাররা, বিশেষ করে ডেথ ওভারে। দুই ম্যাচেই শেষ দিকে পাকিস্তানকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছেন তারা। কিন্তু ব্যাটিংয়ে আগ্রাসনের অভাব স্পষ্ট। ব্যাটাররা বারবার ছন্দপতনের শিকার হয়েছেন, রান তাড়ায় চাপ নিতে পারেননি। এ অবস্থায় কেউ কেউ মনে করছেন, টার্গেট ডিফেন্ড করাই হতে পারে বাংলাদেশের জন্য বেশি উপযোগী কৌশল।

আইসিসির সর্বশেষ র‍্যাংকিং বলছে, টি-টোয়েন্টিতেও ১০ নম্বরে নেমে গেছে বাংলাদেশ। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই সম্মান বাঁচাতে হলেও আজ জয়ের বিকল্প নেই লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। আজকের ম্যাচের পারফরম্যান্সেই জানা যাবে, শেষ পর্যন্ত ধবলধোলাই এড়াতে পারে কি না বাংলাদেশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শাকিবের ‘তাণ্ডব’-এ কি নিশো থাকছেন
  • চিকিৎসকদের আয়োজনে সিডনি মাতিয়ে দিল মাইলস
  • ‘সর্বাঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দেব কোথা’
  • ইন্টারনেট ছাড়াই চলবে গুগলের এআই অ্যাপ
  • ‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, এখন উজ্জীবিত হওয়ার সময়’
  • সক্ষমতা বাড়াতে স্মার্ট ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট
  • তৃণমূলে ছড়িয়ে পড়বে ক্রিকেট, আসছে আঞ্চলিক সংস্থাও
  • ধবলধোলাইয়ের শঙ্কা, সম্মান বাঁচানোর মিশনে বাংলাদেশ