টাঙ্গাইলে ট্রেন ও বাসের ছাদ থেকে পড়ে ২ জন নিহত
Published: 6th, June 2025 GMT
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় অজ্ঞাত ট্রেনের ছাদ থেকে ছিটকে পড়ে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এছাড়া উপজেলার নাগবাড়ীতে বাসের ছাদ থেকে পড়ে একজন নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (৬ জুন) বেলা ১১টার কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার ইন্নিবাড়ী এলাকায় ট্রেনে ও উপজেলার নাগবাড়ী এলাকায় বাসের ছাদ থেকে পড়ে তাদের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, সকালে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী একটি ট্রেনের ছাদে বসে মানুষ বাড়ি ফিরছিল। ট্রেনটি এলেঙ্গা পৌরসভার ইন্নিবাড়ী এলাকায় পৌঁছালে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে এক ব্যক্তি রাস্তার পাশে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। তবে এ ঘটনায় ট্রেন থামেনি। নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
আরো পড়ুন:
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ২ ট্রাকের সংঘর্ষ, আহত ১০
গাজীপুরে মহাসড়কে যানজট
একই উপজেলার নাগবাড়ী এলাকায় পাবনাগামী বাসের ছাদ থেকে পড়ে রানা নামে এক যাত্রী মারা যায়।
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন জানান, বাসটি সখীপুর হয়ে কালিহাতী দিয়ে পাবনায় যাচ্ছিল। পথে ওই ব্যক্তি শরীর খারাপ লাগলে বাসের ছাদে উঠে বসেন। সেখান থেকে পড়ে গিয়ে তিনি মারা যান।
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মানুষ গ্রামে যাচ্ছে। এতে বাসে বা ট্রেনে স্থান সংকুলন না হওয়ায় অনেকে ঝুঁকি নিয়ে বাসের বা ট্রেনের ছাদে চড়ে বসেন।
ঢাকা/কাওছার/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন ন হত উপজ ল র এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
আরো পড়ুন:
নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের
কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের
শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।”
শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।
মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।
তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি। ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।
ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ