ট্রাম্পের শুল্কনীতি করোনা মহামারির চেয়েও বিপজ্জনক: আইএমএফ
Published: 7th, June 2025 GMT
বিশ্ব অর্থনীতি অনিশ্চয়তার দিকে এগোচ্ছে এবং এই পরিবর্তনের মূল কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগ্রাসী শুল্কনীতি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গীতা গোপীনাথ এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ পরিস্থিতিকে ‘জমাট কুয়াশার মধ্যে পথচলা’ বলে অভিহিত করেছেন।
গীতার মতে, বর্তমান পরিস্থিতি মহামারি–পরবর্তী পুনরুদ্ধারের চেয়ে জটিল ও বিপজ্জনক। কোভিড-১৯ সংকটকালে বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সমন্বিতভাবে সুদের হার কমানো এবং আর্থিক প্রণোদনার মাধ্যমে অর্থনীতিতে প্রাণসঞ্চারের চেষ্টা করেছে। কিন্তু এখন বাণিজ্যযুদ্ধের হুমকিতে তেমন কোনো সমন্বিত পদক্ষেপ সম্ভব হচ্ছে না। খবর রয়টার্স।
গীতা বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন যেভাবে একতরফা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তার ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো যথাযথভাবে নীতিনির্ধারণ করা নিয়ে দ্বিধান্বিত হয়ে পড়েছে। তাদের পরিস্থিতি বেশ গুরুতর। গীতার ভাষায়, শুধু সুদের হার কমিয়ে অভ্যন্তরীণ চাহিদায় গতি আনার সুযোগ তাদের নেই। কারণ, মুদ্রার স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে উচ্চ সুদের হার ধরে রাখতে হচ্ছে। ফেডারেল রিজার্ভ যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার তুলনামূলকভাবে উচ্চপর্যায়েই রেখেছে। ফলে অনেক দেশই সুদ না কমাতে কিংবা উল্টো বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে।
ফলে একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতি ও চাহিদা সংকট—দুই বিপরীতমুখী চাপের মধ্যে পড়ে গেছে অর্থনীতি। যার প্রভাব শুধু বাজার নয়, বৃহত্তর সমাজ ও কর্মসংস্থানের ওপরও পড়ছে বলে মন্তব্য করেন গীতা গোপীনাথ।
ট্রাম্প প্রশাসনের একতরফা পদক্ষেপের কারণে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কঠিন হয়ে উঠছে। চীনের মতো দেশ ইতিমধ্যে পাল্টা শুল্ক বসিয়েছে মার্কিন পণ্যে। ভারতও রাশিয়া থেকে অস্ত্র কেনা নিয়ে চাপে রয়েছে। এই দ্বিপক্ষীয় চাপ ও উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢেলে দিচ্ছে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা।
বিশ্ব অর্থনীতির এই জটিল মুহূর্তে গীতা গোপীনাথ মনে করেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে প্রতিনিয়ত নীতিগত রূপরেখা পাল্টাতে হচ্ছে। একদিকে ঘরোয়া চাহিদা, অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের আস্থা—উভয়ের ভারসাম্য বজায় রাখতে গিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ আরও দুরূহ হয়ে উঠছে।
একই আশঙ্কার সুর শোনা গেছে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার (ওইসিডি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে। তাতে বলা হয়েছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর বাজার থেকে বিনিয়োগকারীরা ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। ফলে এসব দেশের প্রবৃদ্ধিতে দীর্ঘ মেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণের খরচ এখনো সাম্প্রতিক অতীতের সর্বোচ্চ স্তরের কাছাকাছি। ফলে উচ্চ শুল্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদা কমে যাওয়ার ধাক্কা সরাসরি উদীয়মান অর্থনীতির গায়ে লাগছে—এমনটাই মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের সংবাদে বলা হয়েছে, ফরাসি বিনিয়োগ ব্যাংক ন্যাটিক্সিসের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান অর্থনীতিবিদ আলিশিয়া গার্সিয়া হেরেরো বলেন, সাধারণভাবে ডলারের মান কমলে উদীয়মান দেশগুলোর রপ্তানি আয় কমে যায়; ঋণ সংগ্রহের খরচও কমে যায়। কিন্তু এখন হচ্ছে উল্টোটা, রপ্তানি কমছে আবার ঋণের খরচ কমছে না; সেই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সরকারি বন্ডের সুদ এখনো অনেক বেশি।
গীতা গোপীনাথ বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতির সহনশীলতা বা স্থিতি এখন অনেকটাই নির্ভর করছে ব্যাংকের বাইরের আর্থিক প্রবাহের ওপর। তার ওপর নতুন করে ক্রিপ্টোমুদ্রার গুরুত্ব বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকি আরও বাড়ছে।
সব মিলিয়ে গীতা গোপীনাথের সতর্কবার্তা কেবল অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ নয়, বরং ভবিষ্যৎ ঝুঁকির বাস্তবভিত্তিক পূর্বাভাস বলেই ধারণা করা হচ্ছে। শিগগিরই শুল্ক–যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা দেশগুলো।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নবায়নযোগ্য জ্বালানির যুগ কড়া নাড়ছে দরজায়
জ্বালানিশক্তির হাত ধরেই মানবসভ্যতা এগিয়ে চলেছে। আগুনের ব্যবহার আয়ত্ত করা থেকে শুরু করে বাষ্পশক্তির ব্যবহার, পরমাণু বিভাজনের মতো মাইলফলক অর্জন—সবই জ্বালানিশক্তির অবদান।
আজ আমরা এক নতুন যুগের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের সামনে উঁকি দিচ্ছে নবায়নযোগ্য জ্বালানির এক অপার সম্ভাবনা।
গত বছর নতুন করে যে বিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে, তার প্রায় সবটাই এসেছে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ দুই ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে যা জীবাশ্ম জ্বালানির চেয়ে ৮০০ বিলিয়ন ডলার বেশি।
সৌর ও বায়ুশক্তি এখন পৃথিবীর সবচেয়ে সাশ্রয়ী বিদ্যুতের উৎস, নবায়নযোগ্য খাতে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন কর্মসংস্থান, ত্বরান্বিত হচ্ছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন। অথচ জীবাশ্ম জ্বালানির জন্য এখনো অনেক বেশি ভর্তুকি দেওয়া হয়।
যেসব দেশ জীবাশ্ম জ্বালানি আঁকড়ে ধরে আছে, তারা তাদের অর্থনীতিকে সুরক্ষা তো দিচ্ছেই না; বরং ক্ষতিগ্রস্ত করছে। কারণ, তারা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সক্ষমতা হারাচ্ছে এবং একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সুযোগ থেকে নিজেদের বঞ্চিত করছে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর নির্ভরতা বাড়ানো মানে জ্বালানি সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। জীবাশ্ম জ্বালানির বাজারমূল্য অনিশ্চিত, এর সরবরাহে বিঘ্ন ঘটা এবং কিংবা ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার কবলেও পড়তে হতে পারে, যেমনটি আমরা দেখেছি রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেনে আগ্রাসনের সময়; কিন্তু সূর্যালোকের বেলায় মূল্যবৃদ্ধির কোনো আশঙ্কা নেই, বাতাসের ওপরও কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যায় না এবং প্রায় প্রতিটি দেশেই এত নবায়নযোগ্য সম্পদ আছে যে প্রত্যেকেই চাইলে জ্বালানিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে।
সর্বোপরি নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করে। বিদ্যুৎ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত লাখোকোটি মানুষের কাছে দ্রুত, সাশ্রয়ী ও টেকসই বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি। বিশেষত অফ-গ্রিড ও ছোট ছোট সৌরবিদ্যুৎ প্যানেলগুলো এ ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা রাখতে পারে।
সব মিলিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা এ মুহূর্তে অপ্রতিরোধ্য; কিন্তু এই রূপান্তর এখনো যথেষ্ট গতিশীল বা সবার জন্য সহজলভ্যও নয়। উন্নয়নশীল দেশগুলো এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে।
২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীর সব ডেটা সেন্টারগুলোর সম্মিলিত বিদ্যুৎ খরচ পুরো জাপানের বর্তমান বিদ্যুৎ খরচের সমান হবে। কোম্পানিগুলোর উচিত এ ডেটা সেন্টারগুলোর পরিচালনায় নবায়নযোগ্য উৎস কাজে লাগানোর অঙ্গীকার করা।জ্বালানি খাতে এখনো জীবাশ্ম জ্বালানির আধিপত্য বিরাজ করছে, এবং কার্বন নিঃসরণ এখনো তার ঊর্ধ্বগতি বজায় রেখেছে। অথচ জলবায়ু–সংকটের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিণতি এড়াতে চাইলে এগুলো হ্রাস করা ছাড়া উপায় নেই। এই সংকট থেকে মুক্তি পেতে আমাদের ছয়টি ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
প্রথমত, রাষ্ট্রগুলোকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি–নির্ভর ভবিষ্যতের প্রতি পুরোপুরি অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে, প্রতিটি দেশ নতুন জাতীয় জলবায়ু পরিকল্পনা জমা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (এনডিসি) নামে পরিচিত।
এনডিসিতে পরবর্তী দশকের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হবে। এ পরিকল্পনাগুলো অবশ্যই বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখার লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। যেখানে সব ধরনের কার্বন নিঃসরণ ও সব খাতকে পর্যালোচনায় রাখতে হবে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুস্পষ্ট রূপরেখা হাজির করতে হবে।
জি–২০ দেশগুলো, যারা বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণের প্রায় ৮০ শতাংশের জন্য দায়ী, তাদেরই এর গুরুদায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হবে।
দ্বিতীয়ত, আমাদের জ্বালানিব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী করে। আধুনিক গ্রিড ও স্টোরেজ ছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি তার পূর্ণ সম্ভাবনা বিকশিত করতে পারবে না; কিন্তু নবায়নযোগ্য উৎসে বিনিয়োগ করা প্রতি ডলারের মধ্যে মাত্র ৬০ সেন্ট ব্যয় হয় গ্রিড ও স্টোরেজ বাবদ। এ অনুপাতটিকে ১/১-এ উন্নীত করতে হবে।
তৃতীয়ত, রাষ্ট্রগুলোকে অবশ্যই বিশ্বের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা নবায়নযোগ্য উৎস থেকে মেটানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকেও নিজ নিজ ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসতে হবে।
২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীর সব ডেটা সেন্টারগুলোর সম্মিলিত বিদ্যুৎ খরচ পুরো জাপানের বর্তমান বিদ্যুৎ খরচের সমান হবে। কোম্পানিগুলোর উচিত এ ডেটা সেন্টারগুলোর পরিচালনায় নবায়নযোগ্য উৎস কাজে লাগানোর অঙ্গীকার করা।
চতুর্থত, আমাদের জ্বালানি রূপান্তরে ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে। এর অর্থ হলো জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি–নির্ভর আগামীর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণে সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করা; এবং সেই সঙ্গে জরুরি খনিজ সরবরাহ-শৃঙ্খল সংস্কার করা।
এ মুহূর্তে এগুলো অধিকার হরণ ও পরিবেশ ধ্বংসের কারণে জর্জরিত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো মূল্য-শৃঙ্খলের তলানিতে বন্দী হয়ে আছে। অবশ্যই এর অবসান ঘটাতে হবে।
পঞ্চমত, আমাদের বাণিজ্যকে জ্বালানি রূপান্তরের সহায়ক হাতিয়ার হিসাবে কাজে লাগাতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি সরবরাহের শৃঙ্খলটি অত্যন্ত কেন্দ্রীভূত এবং এ মুহূর্তে বৈশ্বিক বাণিজ্য আর এককেন্দ্রিক থাকছে না। নতুন জ্বালানিব্যবস্থার যুগের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দেশগুলোর উচিত সরবরাহে বৈচিত্র্য আনতে কাজ করা, নবায়নযোগ্য উৎসের পণ্যে শুল্ক কমানো এবং বিনিয়োগ চুক্তি আধুনিকীকরণ করা যাতে তারা এই রূপান্তরকে এগিয়ে নিতে পারে।
ষষ্ঠত ও শেষত, আমাদের উচিত উন্নয়নশীল দেশগুলোর দিকে বিনিয়োগ প্রবাহ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া। আফ্রিকা গত বছর নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগের মাত্র ২ শতাংশ পেয়েছে, যদিও বিশ্বের সেরা সৌর শক্তির ৬০ শতাংশ উৎস এ মহাদেশে রয়েছে। আমাদের কিছু আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে—যাতে ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোর বাজেটে টান না পড়ে এবং বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংকগুলো যাতে তাদের ঋণদান ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে পারে এবং অনেক বেশি বেসরকারি অর্থায়ন নিশ্চিত করতে পারে।
আমাদের ক্রেডিট রেটিং এজেন্সিগুলো ও বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি মূল্যায়ন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করতে হবে, যাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রতিশ্রুতি, জলবায়ু সংকটের ক্ষতিপূরণ এবং জীবাশ্ম জ্বালানি সম্পদ বিকল হয়ে পড়ার ঝুঁকির আর্থিক ক্ষতি নিরূপণ করা সম্ভব হয়।
এক নতুন জ্বালানি সম্ভাবনার যুগ আমাদের হাতছানি দিচ্ছে—এমন এক যুগ যেখানে সাশ্রয়ী, নবায়নযোগ্য, প্রাচুর্যময় জ্বালানি এক অর্থনৈতিক সম্ভাবনাময় সমৃদ্ধিশালী পৃথিবীকে শক্তি জোগাবে, যেখানে রাষ্ট্রগুলোর জ্বালানি স্বয়ংসম্পূর্ণতার নিশ্চয়তা থাকবে এবং বিদ্যুৎসেবা থাকবে সব নাগরিকের হাতের মুঠোয়।
ঠিক এ মুহূর্ত আমরা চাইলেই বৈশ্বিকভাবে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে পারি। আসুন, আমরা এই সুযোগকে কাজে লাগাই।
আন্তোনিও গুতেরেস জাতিসংঘের মহাসচিব