ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদের আত্মহত্যার ঘটনায় দায়ীদের বিচার দাবি করে আজ মঙ্গলবার পৃথক বিবৃতি দিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। বিবৃতিতে সংগঠন দুটি এই মৃত্যুকে রাষ্ট্রীয় মদদে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড বলে উল্লেখ করেছে।

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর বিবৃতিতে বলা হয়, এক বছরের পুরোনো একটি ফেসবুক কমেন্টকে কেন্দ্র করে শাকিল আহমেদের নামে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি ফেসবুকে বেশ কয়েকবার ক্ষমা চেয়েও মবের হাত থেকে রক্ষা পাননি। শাকিল মব ভায়োলেন্স এড়ানোর জন্যই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নূজিয়া হাসিন রাশা ও সাধারণ সম্পাদক সামি আব্দুল্লাহ্ বিবৃতিতে বলেন, ‘শাকিল চিত্রকরের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত সবাইকে অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে। শাকিলের মৃত্যু আত্মহত্যা নয়, বরং রাষ্ট্রীয় মদদে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন জায়গায় রাষ্ট্রের নিষ্ক্রিয়তার পরিপ্রেক্ষিতে মব তৈরি করে নানা ট্যাগ দিয়ে ভিন্ন মত ও পথের মানুষকে হত্যাযোগ্য করে তোলা হয়েছে।’

একই দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টও। ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক এবং সাধারণ সম্পাদক আকাশ আলী এক যৌথ বিবৃতিতে শাকিলের অকালমৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তাঁকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার পেছনে থাকা মব সৃষ্টিকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।

আরও পড়ুনআত্মহত্যার আগে ফেসবুকে পোস্ট ‘আমি নাস্তিক নই, গ্রামের সবাই আমাকে নাস্তিক বলছে’৫ ঘণ্টা আগে

বিবৃতিতে ছাত্রসংগঠনটির নেতারা আরও বলেন, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের তৎপরতার ঘাটতি সুস্পষ্টভাবেই লক্ষণীয়। দেশের সর্বত্র যেকোনো ভিন্ন মতের ওপর হামলা হচ্ছে, মাজারে হামলা হচ্ছে, নারী নিপীড়ন হচ্ছে, ভিন্ন জাতিসত্তার ওপর নিপীড়ন হচ্ছে। এসব সংঘবদ্ধ সহিংসতার বিরুদ্ধে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা, বিচারহীনতাই এ ধরনের ঘটনাগুলো ঘটার প্রেক্ষাপট তৈরি করছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এনসিসি ব্যাংকের পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত

বেসরকারি খাতের এনসিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৫৪৮তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে পর্ষদ সভাটি হয়।

এনসিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নূরুন নেওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, পরিচালক ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান আমজাদুল ফেরদৌস চৌধুরী, পরিচালক ও প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তানজিনা আলী, পরিচালক সৈয়দ আসিফ নিজাম উদ্দিন, পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চাকলাদার, পরিচালক মোহাম্মদ সাজ্জাদ উন নেওয়াজ, শামিমা নেওয়াজ, মোরশেদুল আলম চাকলাদার, নাহিদ বানু, স্বতন্ত্র পরিচালক মীর সাজেদ উল বাসার এবং স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম শামসুল আরেফিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম খোরশেদ আলম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকির আনাম, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মো. মনিরুল আলম (কোম্পানি সচিব) ও মো. হাবিবুর রহমান এবং বোর্ড ডিভিশনের এসএভিপি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এনসিসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, সভায় ব্যাংকের চলমান ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও কৌশলগত পরিকল্পনা–সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি–সেপ্টেম্বর) ব্যাংকটি মুনাফা করেছে ১৭৩ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে ব্যাংকটির মুনাফা ছিল ২৭৫ কোটি টাকা। সেই হিসাবে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাংকটির মুনাফা কমেছে ১০২ কোটি টাকা। সর্বশেষ গত জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংকটি মুনাফা করে ৫৮ কোটি টাকা। গত বছরের জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে মুনাফা ২০১ কোটি টাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ