লড়াইয়ের মাঠ কাঁপাতে শখের ষাঁড় পোষেণ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কনকপুর ইউনিয়নের আব্দা গ্রামের আবু সুফিয়ান কমরু মিয়া। ষাঁড়ের প্রতি তীব্র আকর্ষণ থেকে নিজেই চারটি ষাঁড় লালন-পালন করছেন। এ কাজে বছরে তাঁর ব্যয় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আব্দা গ্রামের বাসিন্দা কমরু মিয়া ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রবাসে ছিলেন। দেশে ফিরে ধানের আড়তসহ পরিবহন ব্যবসায় যুক্ত হন। এরই মাঝে ষাঁড়ের লড়াইয়ের শখ তাঁকে পেয়ে বসে। ৯০ দশকের শুরু থেকে ব্যবসয়িক কাজ শেষে ষাঁড়ের লড়াই করানো ও দেখার শখে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেড়াতে শুরু করেন তিনি।
বর্তমানে তিনি শখের বশে ৮ লাখ টাকা দামের বাহুবলি নামক ষাঁড়ের সঙ্গে সাড়ে ৩ লাখ টাকা দামের লাল বাচ্চাসহ আরও দুটি ষাঁড়ের পরিচচর্যা করে চলেছেন। কমরু মিয়া জানান, বাহুবলি নামক ষাঁড়টি ৮ লাখ টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে। কেনার পর থেকে সিলেট বিভাগের বিশ্বনাথ, ওসমানীনগর, ছাতকের মাটিয়ান, জগন্নাথপুরের বলাউড়াসহ বিভিন্ন স্থানে লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করছেন। এখন পর্যন্ত হারেনি বাহুবলি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিজয়ী হলে চ্যাম্পিয়ন সনদপত্র ও ক্রেস্টের সঙ্গে বাহাবা কুড়ানো যায়। প্রতি বছর ব্যবসার লাভের একটি অংশ মেয়েদের পড়ালেখা, সংসারের ব্যয় নির্বাহের পর এর একটি অংশ ষাঁড়গুলোর জন্য খরচ হয়। বছর চুক্তি একজন মজুর নিয়োগ দিয়ে সেগুলোর পরিচর্যা করছেন। প্রতিদিন খইল, ভুসি, খড়, ঘাসসহ বিভিন্ন ধরনের দানাদার খাবার খাওয়াতে হয় এদের। সব মিলিয়ে বছরে খরচ ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা। তিনি জানান, নিজে চার মেয়েকে যেভাবে লালন-পালন করেন তেমন যত্নেই রেখেছেন ষাঁড় চারটিকে।
কমরু মিয়া জানান, ষাঁড়ের লড়াইয়ের শখ কীভাবে তাঁকে পেয়ে বসল তা বুঝতে পারেননি। লড়াই দেখতে দেখতেই হয়তো এ শখ পেয়ে বসেছে। ষাঁড়ের লড়াইয়ের কোনো অনুষ্ঠান ছাড়া ষাড়গুলোকে গোয়ালঘর থেকে তেমন বের করা হয় না। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গর

এছাড়াও পড়ুন:

‘যেন ভূমিকম্প হল’ বিমান দুর্ঘটনার বর্ণনায় প্রত্যক্ষদর্শী

ভারতের আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, যখন বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল তখন তার মনে হয়েছিল, ‘যেন ভূমিকম্প হল’। খবর বিবিসি বাংলার

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ১৭ মিনিটে ভারতের আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয় উড়োজাহাজটি। এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি যুক্তরাজ্যের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল।

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি ঘরেই বসে ছিলাম, হঠাৎ প্রচন্ড একটা শব্দ হল। মনে হল যেন ভূমিকম্প হচ্ছে। আমি তখনও জানতাম না বিমান ভেঙে পড়েছে। পরে এখানে এসে জানতে পারি।’ 

‘এখানে এসে দেখি, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে আর ওখানে অনেকগুলো মৃতদেহ পড়ে আছে, বলেছেন ওই প্রত্যক্ষদর্শী।

বিজেপি বিধায়ক দর্শনা বাঘেলা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, তিনি ঘটনাস্থলের কাছেই নিজের দপ্তরে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে আমার অফিসে বসেছিলাম। সেখানেই বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে গিয়ে দেখি, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রচুর ধোঁয়া বেরোচ্ছে। ডাক্তারের হোস্টেলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় শ্রমিকদের সহায়তায় আমরা অনেককে উদ্ধার করতে পেরেছি।

এদিকে ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (ডিজিসিএ) জানিয়েছে, বিধ্বস্ত বিমানটিতে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী, ২ জন পাইলট ও ১০ জন কেবিন ক্রু। বিমানটি চালাচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাবারওয়াল। তার সঙ্গে ছিলেন ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দার। তবে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ এখনও জানা যায়নি।

পুলিশের বরাতে বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, বিধ্বস্ত বিমানে থাকা ২৪২ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ