লড়াইয়ের ষাঁড় পালনে বছরে খরচ প্রায় ৬ লাখ
Published: 10th, June 2025 GMT
লড়াইয়ের মাঠ কাঁপাতে শখের ষাঁড় পোষেণ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কনকপুর ইউনিয়নের আব্দা গ্রামের আবু সুফিয়ান কমরু মিয়া। ষাঁড়ের প্রতি তীব্র আকর্ষণ থেকে নিজেই চারটি ষাঁড় লালন-পালন করছেন। এ কাজে বছরে তাঁর ব্যয় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আব্দা গ্রামের বাসিন্দা কমরু মিয়া ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রবাসে ছিলেন। দেশে ফিরে ধানের আড়তসহ পরিবহন ব্যবসায় যুক্ত হন। এরই মাঝে ষাঁড়ের লড়াইয়ের শখ তাঁকে পেয়ে বসে। ৯০ দশকের শুরু থেকে ব্যবসয়িক কাজ শেষে ষাঁড়ের লড়াই করানো ও দেখার শখে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেড়াতে শুরু করেন তিনি।
বর্তমানে তিনি শখের বশে ৮ লাখ টাকা দামের বাহুবলি নামক ষাঁড়ের সঙ্গে সাড়ে ৩ লাখ টাকা দামের লাল বাচ্চাসহ আরও দুটি ষাঁড়ের পরিচচর্যা করে চলেছেন। কমরু মিয়া জানান, বাহুবলি নামক ষাঁড়টি ৮ লাখ টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে। কেনার পর থেকে সিলেট বিভাগের বিশ্বনাথ, ওসমানীনগর, ছাতকের মাটিয়ান, জগন্নাথপুরের বলাউড়াসহ বিভিন্ন স্থানে লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করছেন। এখন পর্যন্ত হারেনি বাহুবলি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিজয়ী হলে চ্যাম্পিয়ন সনদপত্র ও ক্রেস্টের সঙ্গে বাহাবা কুড়ানো যায়। প্রতি বছর ব্যবসার লাভের একটি অংশ মেয়েদের পড়ালেখা, সংসারের ব্যয় নির্বাহের পর এর একটি অংশ ষাঁড়গুলোর জন্য খরচ হয়। বছর চুক্তি একজন মজুর নিয়োগ দিয়ে সেগুলোর পরিচর্যা করছেন। প্রতিদিন খইল, ভুসি, খড়, ঘাসসহ বিভিন্ন ধরনের দানাদার খাবার খাওয়াতে হয় এদের। সব মিলিয়ে বছরে খরচ ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা। তিনি জানান, নিজে চার মেয়েকে যেভাবে লালন-পালন করেন তেমন যত্নেই রেখেছেন ষাঁড় চারটিকে।
কমরু মিয়া জানান, ষাঁড়ের লড়াইয়ের শখ কীভাবে তাঁকে পেয়ে বসল তা বুঝতে পারেননি। লড়াই দেখতে দেখতেই হয়তো এ শখ পেয়ে বসেছে। ষাঁড়ের লড়াইয়ের কোনো অনুষ্ঠান ছাড়া ষাড়গুলোকে গোয়ালঘর থেকে তেমন বের করা হয় না।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গর
এছাড়াও পড়ুন:
বাঁশখালীতে পরিত্যক্ত ভবনে মিলল যুবকের লাশ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে মো. মামুন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর বাজার এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো. মামুন উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, পরিত্যক্ত ভবনে লাশটি দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত যুবকের শরীরে আঘাতের একাধিক ফোলা চিহ্ন রয়েছে। তবে তা কীসের আঘাত সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।