পোল্যান্ডে পড়াশোনায় বোলোগ্না: স্কলারশিপ, সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ, পারমানেন্ট রেসিডেন্সের সুযোগ
Published: 11th, June 2025 GMT
উচ্চশিক্ষায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর মধ্যে অ্যনতম পোল্যান্ড। পোল্যান্ডের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় পরিচালিত শিক্ষা কার্যক্রমের নাম বোলোগ্না। এটি পুরো ইউরোপে মেনে চলা হয়। এর ফলে এখানকার ডিগ্রিগুলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পায়। শুধু ইউরোপেই নয়, এর বাইরে বিশ্বের যেকোনো চাকরির বাজারে গ্রহণযোগ্যতা আছে পোলিশ ডিগ্রির। পোল্যান্ডে পড়াশোনার খরচ, স্কলারশিপসহ ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আবেদনের পূর্বশর্ত*আন্ডারগ্রাজুয়েশনে ভর্তির জন্য একাডেমিক শিক্ষা কার্যক্রমে ১২ বছর অতিবাহিত করতে হবে। এখানে প্রতিটি চূড়ান্ত পরীক্ষায় সর্বনিম্ন ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। জিপিএ (গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ) পদ্ধতিতে প্রোগ্রাম অনুসারে ন্যূনতম গ্রেডের প্রয়োজনীয়তা ভিন্ন হয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে জিপিএ ২ দশমিক ৫ চাওয়া হয়ে থাকে।
*ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার জন্য আইইএলটিএসে প্রতিটি ব্যান্ডে ৫ দশমিক ৫–সহ সামগ্রিক স্কোর ৬ থাকতে হয়।
*মাস্টার্সের জন্য ৩ থেকে ৪ বছরের স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে, যেখানে কোনো পরীক্ষায় ৬০ শতাংশের নিচে পাওয়া যাবে না। আইইটিএলএসে প্রতিটি ব্যান্ড স্কোর অবশ্যই ৬ দশমিক ৫ বা তার ওপরে থাকতে হবে।
*এ ছাড়া ডিজাইন, মেডিকেল বা প্রকৌশলের মতো প্রোগ্রামগুলোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত যোগ্যতা পূরণের প্রয়োজন হতে পারে।
সেরা বিষয়গুলো—মেডিসিন, মনোবিজ্ঞান, কম্পিউটার সায়েন্স, আইন, ব্যবসা ব্যবস্থাপনা, ইঞ্জিনিয়ারিং, কলা, নকশা ও স্থাপত্য।
আবেদনের সময়—আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সাধারণত দুটি ভিন্ন মৌসুমে পোল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তির আবেদন শুরু করতে পারেন। একটি সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরে, অন্যটি ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে। প্রতিটি মৌসুমেরই রয়েছে নির্দিষ্ট সময়সীমা, যা বিশ্ববিদ্যালয় অনুসারে পরিবর্তিত হয়।
প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব অনলাইন পোর্টালে ভর্তির আবেদন গ্রহণ করে থাকে। পোর্টালের নিবন্ধনের পর আবেদনপ্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময়ই ভর্তির প্রয়োজনীয় নথিপত্রগুলো আপলোড করতে হয়। সব তথ্য দেওয়া শেষে সাবমিট করার পর সম্পূর্ণ আবেদনপত্র ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে হয়। অতঃপর তাতে আবেদনকারীকে স্বহস্তে সই করে দূতাবাসে জমাদানের জন্য অন্যান্য কাগজপত্রের সঙ্গে প্রস্তুত রাখতে হয়।
ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র—*ইউনিভার্সিটির পোর্টালে জমা দেওয়া আবেদনপত্র
*নোটারাইজড মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট
*স্নাতক প্রোগ্রাম ডিপ্লোমা
*৪টি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
*পাসপোর্ট
*ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণ; মিডিয়াম অব ইনস্ট্রাকশন (এমওআই) ইংরেজি হলে আলাদা প্রমাণের প্রয়োজন নেই
*মেডিকেল সার্টিফিকেট
*ভর্তি ফি প্রদানের রশিদ; সাধারণত ৪৪ থেকে ১৮৪ ইউরো বা ৫ হাজার ৮২৬ থেকে ২৪ হাজার ৩৬২ টাকার (১ ইউরো সমান ১৩২ দশমিক ৪০ টাকা) মধ্যে হয়ে থাকে।
*একটি একাডেমিক রেফারেন্স ও একটি ব্যক্তিগত রেফারেন্স লেটার
*মোটিভেশন লেটার
*পোর্টফোলিও বা সিভি
*পোল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন
ছবি এআই জেনারেটেড.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য ভর ত র দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
বেগম রোকেয়া পদকের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান
প্রতি বছরের মতো এবারো মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আগামী ৯ ডিসেম্বর ‘বেগম রোকেয়া দিবস’ উপলক্ষে দেশব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজনের পাশাপাশি ‘বেগম রোকেয়া পদক’ প্রদান করবে। এ জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই পদক প্রদানের লক্ষ্য- সমাজে নারীর মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদান।
পদকপ্রাপ্তির ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে- নারী শিক্ষা, নারী অধিকার, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণ, পল্লী উন্নয়ন, সরকার নির্ধারিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র।
আরো পড়ুন:
খুবিতে ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৪ শিক্ষক
মানুষ যতটুকু চেষ্টা করবে ততটুকুই সে অর্জন করবে: ইবি উপাচার্য
এসব ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় পাঁচজন বাংলাদেশি নারীকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদক প্রদান করা হবে।
এ বছর পদকপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেবেন অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।
আবেদনের নিয়মাবলি
আগ্রহীদের নির্ধারিত ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় তথ্যসহ এক সেট হার্ডকপি ও সফটকপি (Nikosh ফন্টে প্রস্তুতকৃত) জমা দিতে হবে। সফটকপি ই-মেইল করতে হবে [email protected] ঠিকানায়। আবেদনের শেষ সময় আগামী ২০ জুন। প্রেরণস্থল: শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন শাখা।
আবেদন যথাসময়ে প্রেরণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।
ঢাকা/হাসান/মেহেদী