কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে জাম পাড়তে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে নাঈম (১৪) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরে উপজেলার ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের পশ্চিম পানিমাছকুটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নাঈম ওই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে এবং ফুলবাড়ী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাঈমদের বাড়ির পাশে একটি জাম গাছ আছে। শুক্রবার সেই গাছে জাম পাড়তে উঠে নাঈম। উঁচু ডাল থেকে জাম পাড়ার একপর্যায়ে পা পিছলে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয় সে। পরিবারের লোকজন আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু, পথেই তার মৃত্যু হয়।

আরো পড়ুন:

করোনায় দুজনের মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুকুরে ২ শিশুর মৃত্যু

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস ছালাম বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/সৈকত/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে সেবা চালু

জুলাই আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে কর্মচারীদের সংঘর্ষের জেরে বন্ধ হওয়ার ১৭ দিন পর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি ও বহির্বিভাগের সেবা চালু করে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার সঙ্গে প্রয়োজনে রোগী ভর্তি রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে ৪ জুন জরুরি বিভাগ ও ১২ জুন সীমিত পরিসরে আউটডোরের সেবা চালু করে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, শনিবার সকাল থেকে হাসপাতাল পুরোদমে সেবা চালু হয়েছে। রোগীদের সেবা দিতে চাই এবং চিকিৎসক-নার্সদেরও নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করতে চাই।

কর্মরত একজন চিকিৎসক বলেন, আমরা সকাল থেকে রোগীদের সেবা দেওয়া শুরু করেছি জরুরি ও বহির্বিভাগে পূর্ণাঙ্গ সেবা পাচ্ছেন রোগীরা। প্রয়োজনে ভর্তি ও অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।

এর আগে গত ২৮ মে আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে হাসপাতালের কর্মী, সাধারণ রোগী এবং তাদের স্বজনদের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে হাসপাতালটিতে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালটিতে শুধু জুলাই আহতরা অবস্থান করেন। অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগে খাবার সরবরাহ করেছে।

সরকার গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের ছাড়পত্র দিলেও ঈদের ছুটি শেষে তারা আবারও দুয়েকজন করে এই হাসপাতালে ফিরতে শুরু করেছেন। জুলাই আহতরা জানিয়েছেন- তারা এ হাসপাতাল থেকেই চিকিৎসা নিতে চান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ