যুবদল-ছাত্রদলের সংঘর্ষ ও গোলাগুলি, আহত ১০
Published: 17th, June 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবদলের সঙ্গে ছাত্রদলের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ সুমন মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাত এগারোটার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল নতুন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবদল নেতা আরিফ মিয়ার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদল নেতা রকি মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে নিরোধ চলে আসছে। সোমবার রাত ১১টার দিকে গোলাকান্দাইল নতুন বাজার এলাকার দক্ষিণপাড়া ঈদগাহ মাঠের সামনে আরিফের সঙ্গে রকি মিয়ার বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে বাবলু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম, তাইবুদ্দিনের ছেলে সুমন মিয়া, রফিকুল ইসলামের ছেলে আরিফ মিয়া, হারুন মিয়ার ছেলে পিয়াল মিয়া, ইমন মিয়া ও সিফাত মিয়াকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম বলেন, সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি। তদন্ত করে যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ছ ত রদল য বদল স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।