বন্দরে সিটিটোলের টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে উশৃঙ্খল মিশুক চালক জাহাঙ্গীরগংয়ের বেধড়ক মারপিটে সিটিটোলের ম্যানেজারসহ ৫ শ্রমিক আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২০ জুন) বিকেল ৫ টায় নবীগঞ্জ কামাল উদ্দিনের মোড়ে এ ঘটনাটি ঘটে।

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ সিটিটোল ইজারাদার মাসুদ রানা বাতি হয় ৫ জনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্তরা হচ্ছে নবীগঞ্জ কামাল উদ্দিনের মোড় এলাকার গফুর মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর (৫০),জাহাঙ্গীরের ছেলে সাব্বির (২৭), মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে  অভি (৩৫),নাছির (৩৬),সুমন (৩৫)।

বাদি  অভিযোগে উল্লেখ করেন, বন্দর থানাধীন কামাল উদ্দিনের মোড় এলাকা সিটিকর্পোরেশন হইতে ইজারা নিয়ে ইজারাদার মাসুদ রানা টোল আদায় করিয়া আসিতেছে। ২০জুন বিকাল ৫ টায়  সময় ২নং বিবাদী সাব্বির তার মিশুক গাড়ী নিয়ে কামাল উদ্দিনের মোড় দিয়ে যাওয়ার সময় মাসুদ রানার ম্যানেজার মোঃ ফারুক সাব্বিরের নিকট টোলের টাকা চাইলে বিবাদী  ম্যানেজারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ এলোপাথারী মারপিট করিয়া করিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা জখম করে। বিষয়টি ইজারাদার মাসুদ রানা জানতে পেরে উভয়ের মধ্যে আপোষ মিমাংসা করিয়ে দেয়।

পরবর্তীতে বিকাল সাড়ে ৫টায় উপরোক্ত সকল বিবাদীগন তাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী কামাল উদ্দিনের মোড়ে মাসুদ রানার ইজারার অফিসে আসলে তার ম্যানেজার মোঃ ফারুককে পুনরায় মারপিট শুরু করে। ম্যানেজারের ডাকচিৎকারে সোহেল, বাপ্পি, হাকিম এগিয়ে আসলে বিবাদীগন তাহার সাথে থাকা লোহার রড, কাঠের ডাসা সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।

সকল বিবাদীগন সিটি টোল অফিস ভাংচুর করিয়া ক্ষতি সাধন সহ ১ ও ২নং বিবাদীদ্বয় টোল অফিসে থাকা আনুমানিক নগদ ৪ হাজার টাকা জোর পর্বক চুরি করে নিয়ে যায়।

আহতদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীগন প্রকাশ্যে খুন-জখমের হুমকি প্রদান সহ সিটিটোলের ম্যানেজার ফারুকের নিকট ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে পালিয়ে যায়। আহতদের বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি পুনর্বহাল

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে কার্যক্রম পুনরায় সচল করা হয়েছে। রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে ’২৪-এর জুলাই ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান যে আকাঙ্ক্ষা ও উদ্দেশ্য নিয়ে সংঘটিত হয়েছিল, তার পূর্ণ বাস্তবায়ন এখনো হয়নি। বরং দেখা যাচ্ছে, জুলাইয়ের শহীদ পরিবার ও আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন যেমন নিশ্চিত করা হয়নি, তেমনি তাঁদের নিরাপত্তাও যথাযথভাবে নিশ্চিত করতে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সরকার।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ ছাড়া জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পর্কেও কোনো সুস্পষ্ট রোডম্যাপ আমরা এখনো প্রত্যক্ষ করিনি, যা হাজারো শহীদ ও আহতদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা অন্তর্বর্তী সরকারের চরম ব্যর্থতা।

‘তাই জুলাই অভ্যুত্থানের বৈপ্লবিক রূপান্তর নিশ্চিতে এবং ঐতিহাসিক এক দফা, অর্থাৎ ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিনির্মাণের নিমিত্তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মহানগর, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সব ইউনিট কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হলো। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটকে সাংগঠনিক কার্যক্রম পুনরায় সচল করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে এবং সারা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়, মহানগর ও জেলা ইউনিটকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি পুনর্গঠন সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি পুনর্বহাল