বন্দরে সিটিটোল আদায়কে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলা, আহত ৫
Published: 20th, June 2025 GMT
বন্দরে সিটিটোলের টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে উশৃঙ্খল মিশুক চালক জাহাঙ্গীরগংয়ের বেধড়ক মারপিটে সিটিটোলের ম্যানেজারসহ ৫ শ্রমিক আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২০ জুন) বিকেল ৫ টায় নবীগঞ্জ কামাল উদ্দিনের মোড়ে এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ সিটিটোল ইজারাদার মাসুদ রানা বাতি হয় ৫ জনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হচ্ছে নবীগঞ্জ কামাল উদ্দিনের মোড় এলাকার গফুর মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর (৫০),জাহাঙ্গীরের ছেলে সাব্বির (২৭), মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে অভি (৩৫),নাছির (৩৬),সুমন (৩৫)।
বাদি অভিযোগে উল্লেখ করেন, বন্দর থানাধীন কামাল উদ্দিনের মোড় এলাকা সিটিকর্পোরেশন হইতে ইজারা নিয়ে ইজারাদার মাসুদ রানা টোল আদায় করিয়া আসিতেছে। ২০জুন বিকাল ৫ টায় সময় ২নং বিবাদী সাব্বির তার মিশুক গাড়ী নিয়ে কামাল উদ্দিনের মোড় দিয়ে যাওয়ার সময় মাসুদ রানার ম্যানেজার মোঃ ফারুক সাব্বিরের নিকট টোলের টাকা চাইলে বিবাদী ম্যানেজারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ এলোপাথারী মারপিট করিয়া করিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা জখম করে। বিষয়টি ইজারাদার মাসুদ রানা জানতে পেরে উভয়ের মধ্যে আপোষ মিমাংসা করিয়ে দেয়।
পরবর্তীতে বিকাল সাড়ে ৫টায় উপরোক্ত সকল বিবাদীগন তাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী কামাল উদ্দিনের মোড়ে মাসুদ রানার ইজারার অফিসে আসলে তার ম্যানেজার মোঃ ফারুককে পুনরায় মারপিট শুরু করে। ম্যানেজারের ডাকচিৎকারে সোহেল, বাপ্পি, হাকিম এগিয়ে আসলে বিবাদীগন তাহার সাথে থাকা লোহার রড, কাঠের ডাসা সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।
সকল বিবাদীগন সিটি টোল অফিস ভাংচুর করিয়া ক্ষতি সাধন সহ ১ ও ২নং বিবাদীদ্বয় টোল অফিসে থাকা আনুমানিক নগদ ৪ হাজার টাকা জোর পর্বক চুরি করে নিয়ে যায়।
আহতদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীগন প্রকাশ্যে খুন-জখমের হুমকি প্রদান সহ সিটিটোলের ম্যানেজার ফারুকের নিকট ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে পালিয়ে যায়। আহতদের বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ধস, রক্তের জন্য হাহাকার
ইসরায়েলি হামলা ও অব্যাহত অবরোধের কারণে গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ধসে পড়েছে। বুধবার জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয় অফিস (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, আহত মানুষের সংখ্যা বাড়ায় দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের মা ও শিশু ওয়ার্ড খালি করে সেটিকে জরুরি অপারেশন থিয়েটারে রূপান্তর করতে হয়েছে। এখানে আসা আহতদের অনেকেই স্থানীয় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে খাদ্য সহায়তা আনতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলার শিকার হন।
ওসিএইচএ জানিয়েছে, জীবন বাঁচাতে অনেক ক্ষেত্রেই আহতদের হাত-পায়ের মতো অঙ্গ কেটে ফেলতে হয়েছে চিকিৎসকদের। প্রচণ্ড সংকটের মধ্যে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধের ঘাটতি এই সংকটকে আরও তীব্র করে তুলছে। সংস্থাটি জানায়, প্রতিদিনই গাজা উপত্যকার বহু রোগী রক্ত সংস্থানের জন্য হাহাকার করছেন। কিন্তু রক্তের মজুত এতই কম, চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, জরুরি সেবাদানকারীদের খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে গাজায়। এই সংকট এতই তীব্র, ক্ষুধায় অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন অনেকেই। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত ইসরায়েলি আগ্রাসনে মোট ৫৫ হাজার ৭০৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ১০১ জন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৬৯ জন নিহত ও ২২১ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার সকালে ত্রাণ কেন্দ্রে অপেক্ষমাণ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলায় আরও অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৭২ জন। এ ছাড়া গাজা শহরের কাছে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে আরও তিনজন নিহত হয়েছেন।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আবারও সতর্ক করে বলেছে, হাসপাতালগুলোর কাছে মজুত থাকা জ্বালানিতে সর্বোচ্চ তিন দিন চলবে। আন্তর্জাতিক ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে হাসপাতালের জ্বালানি মজুতের স্থানে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি বাহিনী। তারা বলছে, ওই এলাকাগুলো ‘রেড জোন’ বা সামরিক অভিযান চলমান এলাকা। এতে জ্বালানির অভাবে হাসপাতালগুলো সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। কারণ, বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় হাসপাতালগুলোর সব গুরুত্বপূর্ণ বিভাগই জেনারেটরের ওপর নির্ভরশীল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, আগ্রাসন শুরুর আগে গাজায় ৩৮টি হাসপাতাল থাকলেও এখন মাত্র ১৬টি হাসপাতাল আংশিকভাবে চালু রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি সরকারি ও ১১টি বেসরকারি। এর বাইরে জরুরি সেবা দিতে সক্ষম আটটি ফিল্ড হাসপাতাল এখনও চলছে।
এদিকে, ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে নজিরবিহীনভাবে জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। মুসলিম বিশ্বের অন্যতম পবিত্র এই স্থানটি করোনা মহামারির সময়ও পুরোপুরি বন্ধ ছিল না। ইসলামিক ওয়াক্ফ কাউন্সিলের সদস্য ড. মুস্তাফা আবু সুয়াই জানান, এই প্রথম তিনি পুরো মসজিদে একা নামাজ পড়েছেন। ‘এমনকি পবিত্র এই স্থাপনার নিরাপত্তায় কোনো প্রহরীও ছিল না’ বলে জানিয়েছেন তিনি। এই নিষেধাজ্ঞা ইসরায়েলে মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকারের স্বাধীনতা নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।