মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২০ জুন) মধ্যরাতে উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের ফেলু হাজীর কান্দি গ্রামের রেলব্রিজের কাছে তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন।

শনিবার (২১ জুন) দুপুরে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার মধ্যরাতে ফেলু হাজীর কান্দি গ্রামের রেলব্রিজের কাছের রাস্তায় দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেল ও গুরুতর আহত এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ আজ দুপুরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে পাঠিয়েছে।

আরো পড়ুন:

এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরে ৩ গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ১

মাহিন্দ্রায় বাসের ধাক্কা, নিহত ৫

শিবচর থানার ওসি মো.

রতন শেখ বলেন, ‍“আমরা নিহতের পরিচয় শনাক্তের কাজ করছি।”

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

বৃদ্ধের পোড়া লাশ উদ্ধার: হত্যার অভিযোগে স্ত্রী গ্রেপ্তার, ছেলে পলাতক

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার একটি কলাবাগান থেকে গত মঙ্গলবার রাতে ছামছুর আলী খলিফা (৬০) নামের এক বৃদ্ধের পোড়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলার পর হত্যার অভিযোগে আজ বৃহস্পতিবার ওই বৃদ্ধের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি নিহত ব্যক্তির বাড়ি থেকে হত্যা ও লাশ পোড়ানোর আলামত জব্দের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে গতকাল বুধবার নিহত ছামছুরের ছোট ভাই মুজাহিদ খলিফা বাদী হয়ে তাঁর ভাতিজা মো. রাসেল খলিফা ও ভাবি মোছা. রাশেদা বেগমের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর বৃদ্ধের ছেলে রাসেল খলিফা আত্মগোপনে আছেন।

নিহত ছামছুর আলী খলিফার বাড়ি পাশের নওগাঁ সদর উপজেলার শৈলগাছী গ্রামে। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন। গত মঙ্গলবার বাড়ি থেকে অন্তত ২৫ কিলোমিটার দূরে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের কাদোয়া-বটতলী এলাকার একটি কলাবাগানে বস্তা ভরা তাঁর দগ্ধ লাশ পাওয়া যায়।

পুলিশের তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে ছামছুর আলীকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার দিন মঙ্গলবার বৃদ্ধ ছামছুর আলী ও তাঁর ছেলে বাড়িতে ছিলেন। পুলিশ ওই দিন রাতে আক্কেলপুরে কলাবাগানে পোড়া লাশ উদ্ধারের পর বৃদ্ধের ছেলেকে ফোন করে। তখন তিনি নওগাঁ সদর উপজেলার নগরকুসুম্বি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছিলেন। রাসেল খলিফা পুলিশকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা বলার পর ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যান। পরদিন পুলিশের একটি দল নিহত ব্যক্তির বাড়িতে যায়। ওই বাড়ির আঙিনায় একটি মাটির পাতিলের ভেতরে বৃদ্ধের মুঠোফোন ও লাশ পোড়ানোর কাজে ব্যবহৃত গোবরের লাকড়ি জব্দ করে। পরে লাশ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত রাসেল খলিফার অটোরিকশাটিও জব্দ করা হয়। তবে এখনো রাসেল খলিফার অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি।

মামলার বাদী মুজাহিদ খলিফা বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জেরে আমার বড় ভাই ছামছুর খলিফাকে তাঁর ছেলে রাসেল খলিফা হত্যা করেছে। লাশ গুম করতে কলাবাগানে আমার ভাইয়ের মরদেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি করছি।’

জয়পুরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. জিন্নাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত পেয়েছি। মামলাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। শিগগিরই ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ