স্কটল্যান্ডের এক ছোট্ট গ্রাম পোর্টনকি। সেখানেই থাকতেন আলাইনা স্টিফেন। ১৯৯৪ সালে মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি একটি স্কুল প্রকল্পের অংশ হিসেবে সমুদ্রে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন একটি বোতল। বোতলের ভেতরে ছিল তাঁর হাতে লেখা এক ছোট্ট চিঠি।

চিঠিতে আলাইনা নিজের নাম, বয়স, কোথা থেকে লিখেছেন ইত্যাদি লিখেছিলেন। বলেছিলেন, যদি কেউ চিঠিটি পান, তাহলে যেন উত্তর দেন।

চিঠিটি স্কটল্যান্ডে তৈরি ‘মোরে কাপ’ নামের একটি পানীয়র ফাঁকা বোতলে রাখা হয়েছিল। বোতলটি শিশু আলাইনা তাঁর শিক্ষকের হাতে তুলে দেন। ওই শিক্ষকের স্বামী পেশায় ছিলেন মাছশিকারি। তিনি সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার সময় এটি মাঝসমুদ্রে ছুড়ে দেন।

এরই মধ্যে কেটে যায় ৩১ বছর। হঠাৎ একদিন নরওয়ের ভেগা অঞ্চলের একটি ছোট দ্বীপ লিসশেলয়ায় সেই চিঠি খুঁজে পান পিয়া ব্রড্টমান নামের এক তরুণী। তিনি জার্মানির নাগরিক এবং স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সেই দ্বীপে সৈকত পরিষ্কারের কাজ করছিলেন।

চিঠিটি পেয়ে পিয়া রীতিমতো বিস্মিত হন। এরপর তিনি আলাইনাকে একটি পোস্টকার্ড পাঠান, সেখানে চিঠি পাওয়ার খবর জানানো হয়। পিয়াও চিঠিতে নিজের পরিচয়, বয়স, আগ্রহ আর চিঠি কোথায় পেয়েছেন, তা লেখেন।

আলাইনার বয়স এখন ৪২ বছর। তিনি বলেন, পোস্টকার্ড পেয়ে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি। এখনো একই ঠিকানায় থাকায় তিনি সরাসরি চিঠিটি হাতে পান।

পরে তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আলাইনা জানান, চিঠিটি এত বছর পরও অক্ষত দেখে তিনি হতবাক। আর পিয়া জানান, এই ঘটনা তাঁকে খুব আবেগতাড়িত করেছে।

এক শিশুর ছোট্ট কৌতূহল আর একটি বোতল কত শত মাইল পাড়ি দিয়ে, কত বছর পর নতুন ঠিকানায় পৌঁছাল। সম্পূর্ণ অপরিচিত ভিন্ন দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করল। এই ঘটনা সত্যিই আমাদের অনুভূতিকে ছুঁয়ে যায়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিকের টাকা দিতে জেল থেকে সম্পত্তি বিক্রির অনুমতি নাসা গ্রুপ চেয়ারম্যানের

নিজের সম্পত্তি বিক্রি করে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধে সম্মতি দিয়েছেন নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান। এ লক্ষ্যে তিনি জেল থেকে খসড়া পাওয়ার অব অ্যাটর্নিতে স্বাক্ষর করেছেন। ফলে শ্রমিকের চলতি মাসের বেতন-ভাতাদি পরিশোধ করা সহজ হবে।

নাসা গ্রুপ কর্তৃপ‌ক্ষের বরাত দি‌য়ে শ‌নিবার (২০ সেপ্টেম্বর) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এ তথ‌্য জা‌নি‌য়ে‌ছে।

এতে বলা হয়, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করার জন্য বিভিন্ন সম্পত্তি বিক্রি সংক্রান্ত খসড়া পাওয়ার অব এটর্নি সংক্রান্ত  গুরুত্বপূর্ণ নথিতে স্বাক্ষর করেছেন।

সম্পত্তি বিক্রির জন্য খসড়া পাওয়ার অব এটর্নি স্বাক্ষরিত  হয়েছে। গুলশান ৭ নং রোডের প্লট-৬, আশুলিয়ার তৈয়বপুর মৌজায় ৫ বিঘা জমি ও ৭ তলা ভবন (মোট আয়তন ২ লক্ষ ৬ বর্গফুট) , নারায়ণগঞ্জের চর চেঙ্গাকান্দি মৌজায় ১০ বিঘা জমি, প্রায় ৮৬ কোটি টাকার বিভিন্ন শেয়ার এবং রাজউকের প্লট।

নাসা গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উপর্যুক্ত সম্পত্তি বিক্রির জন্য খসড়া পাওয়ার অব এটর্নি স্বাক্ষরিত হওয়ায় খুব কম সময়ের মধ্যে অন্যান্য প্রক্রিয়াদি সম্পন্ন করে তাদের সম্পত্তি বিক্রি করে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা হবে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ