গুগল ও অ্যাপলের পর এবার ফেসবুকে পাসকি প্রযুক্তি যুক্ত করেছে মেটা। নতুন এ সুবিধা চালুর ফলে ব্যবহারকারীরা এখন পাসওয়ার্ড ছাড়াই দ্রুত ও নিরাপদে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে শুধু আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের মাধ্যমে এ সুবিধা ব্যবহার করা যাবে। মেসেঞ্জারেও খুব শিগগিরই পাসকি ব্যবহারের সুযোগ চালু হবে বলে জানিয়েছে মেটা।

বর্তমানে অনলাইনে একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের কারণে আলাদা করে পাসওয়ার্ড মনে রাখা অনেকের জন্যই ভোগান্তির বিষয় হয়ে উঠেছে। পাসকি প্রযুক্তিতে ফেস আইডি, আঙুলের ছাপ বা ফোন আনলক করার পদ্ধতি ব্যবহার করে নিজের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেন ব্যবহারকারীরা। ফলে পাসকি প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে আর পাসওয়ার্ড মনে রাখতে হয় না।

পাসকি প্রযুক্তি যুক্তের পর ফেসবুক জানিয়েছে, পাসকি ব্যবহারে ফেসবুকে লগইন আগের তুলনায় আরও সহজ ও দ্রুত হবে। কোনো পাসওয়ার্ড মুখস্থ রাখতে হবে না। ভবিষ্যতে শুধু ফেসবুকে লগইনেই নয়, মেটা পে–এর মাধ্যমে ডিজিটাল লেনদেন ও মেসেঞ্জারে বার্তা সুরক্ষার ক্ষেত্রেও পাসকি ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে।

পাসকি চালু করতে প্রথমে ফেসবুক অ্যাপের সেটিংস মেনুতে প্রবেশ করে ‘অ্যাকাউন্টস সেন্টার’ থেকে ‘পাসওয়ার্ড অ্যান্ড সিকিউরিটি’ বিভাগে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে পাসকি তৈরি করার অপশন পাওয়া যাবে। ব্যবহারকারী চাইলে ফেস আইডি, আঙুলের ছাপ বা ফোন আনলকের পিন ব্যবহার করে পাসকি সেটআপ করতে পারবেন। মেটার তথ্যমতে, পাসকি সুবিধায় ব্যবহারকারীর কোনো বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণ বা অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করা হবে না। ফলে ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদে থাকবে।

সূত্র: নিউজ ১৮

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর ফ সব ক প সওয

এছাড়াও পড়ুন:

অ্যাপল, ফেসবুক, গুগলসহ অন্যান্য পরিষেবার ১৬০০ কোটি তথ্য ফাঁস

অ্যাপল, ফেসবুক, গুগলসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সরকারি পরিষেবার এক হাজার ছয়শ কোটি পাসওয়ার্ড ফাঁস হয়েছে। এটি এ যাবতকালে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় তথ্য ফাঁসের ঘটনা বলে বলছেন গবেষকরা।

বৃহস্পতিবার ফোর্বস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ফাঁসের ঘটনায় এক হাজার ছয়শ কোটি লগইন তথ্য ও পাসওয়ার্ড ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনার পর কোটি কোটি ব্যবহারকারীকে পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন সার্চ জায়ান্ট গুগল। পাশাপাশি আমেরিকান নাগরিকদের এসএমএস’এ সন্দেহজনক লিংক না খোলার বিষয়েও সতর্ক করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।

এ ফাঁস নিয়ে তদন্ত করেছে সাইবারনিউজের গবেষকরা। সাইবার নিউজের ভিলিয়াস পেটকাউস্কাস বলেছেন, ‘মোট ৩০টি আলাদা ডেটাসেট বা তথ্যভাণ্ডার পেয়েছেন তারা, যেগুলো ইন্টারনেটে ফাঁস হয়েছে। যার প্রতিটিতে কয়েক কোটি থেকে শুরু করে সাড়ে তিনশ কোটিরও বেশি ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে।’

আগে যেসব ডেটা ফাঁস হয়েছিল, এবারের বিষয়টি তেমন নয়। এ ঘটনায় ৩০টি ডেটাসেটের মধ্যে যেসব তথ্য ফাঁস হয়েছে তার প্রায় সবকটিকেই একেবারে নতুন তথ্য হিসেবে ধরা হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট।

গবেষকরা বলছেন, ‘এটি কোনো সাধারণ তথ্য ফাঁসের ঘটনা নয়, বরং বিশাল আকারে তথ্যের অপব্যবহারের জন্য তৈরির এক নীলনকশা এটি। কারণ, এসব পাসওয়ার্ড ও লগইন তথ্য ফিশিং আক্রমণ বা ভুয়া লিংক পাঠিয়ে তথ্য চুরি এবং অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ে ব্যবহৃত হতে পারে।’

তারা সতর্ক করে বলছেন, এসব তথ্য কেবল রিসাইকেল করা পুরানো ডেটা নয়; যেগুলো আবার হয়েছে। এগুলো একেবারে নতুন ও ব্যবহারযোগ্য এমন সব তথ্য, যা বড় পরিসরে সাইবার হামলা চালানোর জন্য হ্যাকারদের ক্ষেত্রে সহজ অস্ত্র হয়ে দাঁড়াতে পারে।’

ফাঁস হওয়া তথ্যের বেশিরভাগই ছিল ‘ইউআরএল’ বা ওয়েব ঠিকানা ফরম্যাটে, তারপর সেই ওয়েবসাইটের ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড। এসব তথ্যের মাধ্যমে ‘অ্যাপল, ফেসবুক ও গুগল থেকে শুরু করে গিথহাব, টেলিগ্রাম ও বিভিন্ন সরকারি পরিষেবাসহ প্রায় সব ধরনের অনলাইন সেবায় সহজেই প্রবেশ করতে পেরেছে হ্যাকাররা।

বিষয়টি উদ্বেগজনক হলেও গবেষকরা বলছেন, এসব ডেটাসেট বা তথ্যের ভাণ্ডার খুব কম সময়ের জন্য ইন্টারনেটে উন্মুক্ত অবস্থায় ছিল। তথ্যগুলো এমনভাবে ফাঁস হয়েছিল; যেন হঠাৎ এসে হঠাৎ গায়েব হয়ে গিয়েছে। গবেষকরা বিষয়টি বুঝতে পারলেও ফাঁসের উৎস বা দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্তের সময় পাননি তারা।

সাইবারনিউজের তথ্যমতে, গবেষকরা নিশ্চিত করেছেন, এ বিশাল তথ্য ফাঁসের ঘটনা একটি নয়, বরং একাধিক ইনফোস্টিলার ম্যালওয়্যার বা তথ্য চুরি করার সফটওয়্যারের মাধ্যমে ঘটানো হয়েছে। তবে ঠিক কতজন বা কতটি অ্যাকাউন্টের তথ্য ফাঁস হয়েছে, তা এখনও অজানা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফেসবুক, জিমেইলসহ বিভিন্ন মাধ্যমের ১,৬০০ কোটি পাসওয়ার্ডের তথ্য অনলাইনে
  • বেহাত হয়েছে ১৬০০ কোটি ‘লগইন’ পাসওয়ার্ড
  • অ্যাপল, ফেসবুক, গুগলসহ অন্যান্য পরিষেবার ১৬০০ কোটি তথ্য ফাঁস
  • জিমেইল ব্যবহারকারীদের জন্য গুগলের জরুরি সতর্কতা