গহনার কারিগরকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ
Published: 22nd, June 2025 GMT
সাভারে গহনা তৈরির কারিগরকে গাছে ঝুলিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার রাতে ভাকুর্তা ইউনিয়নের কান্দি ভাকুর্তা এলাকার একটি পরিত্যক্ত স্থানে গাছে ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রোববার বিকেলে হত্যা মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর বড় ভাই।
নিহত আব্দুল মালেক সাভারের কান্দি ভাকুর্তা এলাকার জজ মিয়ার ছেলে। ভাকুর্তা ইউনিয়নের সোলাই মার্কেটের একটি গহনা তৈরির কারখানায় কাজ করতেন তিনি। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, মালেককে হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখে।
পুলিশ জানায়, গত শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দোকানে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন আব্দুল মালেক। পরে রাত ৭টার দিকে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।
বাদী রমজান আলী বলেন, ‘আমার ভাইকে হত্যা করে তাঁর লাশ গাছে ঝুলিয়ে রেখেছিল। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’ তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়ের কোনো শত্রু ছিল না। তবু কেন, কী কারণে আমার ভাই খুন হলো বুঝতে পারছি না।’
ভাকুর্তা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক বিলায়েত হোসেনের ভাষ্য, গাছের সঙ্গে ঝুলছিল লাশটি। তবে মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হত য
এছাড়াও পড়ুন:
তারুণ্যের কণ্ঠস্বর জোরালো করতে বাংলাদেশে ‘ইয়াং পিপল অ্যাডভাইজারি গ্রুপ’ চালু ইউনিসেফের
আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল ইউনিসেফের ‘ইয়াং পিপল অ্যাডভাইজারি গ্রুপ’ (ওয়াইপিএজি)। যেসব নীতি ও কর্মসূচি শিশু ও তরুণদের ওপর প্রভাব ফেলে, তা গ্রহণে তারুণ্যের অর্থবহ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেই ইউনিসেফ এই উদ্যোগ নিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ইউনিসেফ বাংলাদেশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউনিসেফের ‘ইয়াং লিডারশিপ প্রোগ্রাম’-এর সাবেক সদস্যদের নিয়ে ওয়াইপিএজি গঠিত হয়েছে। প্রোগ্রামটি ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ‘লি কুয়ান ইউ স্কুল অব পাবলিক পলিসি’ (এলকেওয়াইএসপিপি)-এর সহযোগিতায় যৌথভাবে আয়োজন করা হয়। তরুণদের জ্ঞান, দক্ষতা ও নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে সমাজে টেকসই প্রভাব তৈরির লক্ষ্যে নতুন প্ল্যাটফর্মটি কাজ করবে।
গত বছর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তি ও নেতৃত্ব গড়ে তোলার পরিবেশ তৈরির গুরুত্ব তুলে ধরেছিলেন। তাঁর সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বাংলাদেশে ওয়াইপিএজি গঠনের পথ খুলে যায়।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, ‘তরুণদের জন্য বিনিয়োগ করলে তারা নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে আসে, আমাদের অনুপ্রাণিত করে এবং বাস্তব পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে। ওয়াইপিএজি নিছক একটি প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি জবাবদিহি, অন্তর্ভুক্তি ও কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করার একটি শক্তির জায়গা।’
তরুণদের জাতীয় বিষয়গুলোতে সম্পৃক্ত করতে ওয়াইপিএজি ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে। ইয়াং পিপল অ্যাডভাইজারি গ্রুপের একজন সদস্য সারিয়া চৌধুরী বলেন, ওয়াইপিএজি গঠনের জন্য এটিই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। কারণ, তরুণেরা শুধু প্রস্তুত নয়, এরই মধ্যে তাঁরা ভবিষ্যৎ গঠনে কাজ শুরু করেছেন।
আরেক সদস্য নেয়ামুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু মানসিকতার পরিবর্তন নয়, তরুণদের নীতিনির্ধারণে সচেতনতা তৈরি করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতি গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।’
ওয়াইপিএজির সদস্যরা ইউনিসেফের কর্মসূচি প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নে কৌশলগত ভূমিকা রাখবে। তারা শিশু অধিকার বিষয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দেবে, ইউনিসেফের উদ্যোগে অংশ নেওয়া তরুণদের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করবে। তা ছাড়া তারা শিশুদের জন্য নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নেও যুক্ত থাকবে।
এই মডেল মালয়েশিয়া, ইরাক ও থাইল্যান্ডে ইউনিসেফের সফল অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশে চালু করা হয়েছে। ইউনিসেফের বিশ্বাস, তরুণদের নেতৃত্ব ও দক্ষতা তৈরিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু ও তরুণের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব।
প্রতিবছর ১২ আগস্ট আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালন করা হয়। বিশ্বব্যাপী তরুণদের চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ১৯৯৯ সালে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে জাতিসংঘ। পরের বছর ২০০০ সাল থেকে দিবসটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্যাপন শুরু হয়।