ফরিদপুরে পুত্রবধূকে ধর্ষণের দায়ে শ্বশুর গণি খাঁকে (৫০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারী কৌঁসুলি (পিপি) গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন।

সাজাপ্রাপ্ত গণি খাঁ নগরকান্দা উপজেলার গোয়াইলপোতা গ্রামের আমির খা’র ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে নেওয়া হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল রাতে গনি মিয়া তাকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে একই বছরের ২৮ জুন নগরকান্দা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন গৃহবধূর ভগ্নিপতি।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ভয়ভীতি দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন শ্বশুর। একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তারি পরীক্ষায় অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি ধরা পড়ে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ফরিদপুরে টিটিসি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) নারী শিক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানি, অর্থ আত্মসাৎ ও ঘুষ দাবির অভিযোগে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে তারা অভিযুক্ত দুই শিক্ষক নিশিত কুমার ও প্রদীপ কুমারের বহিষ্কারের দাবিতে প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এছাড়া কলেজের অধ্যক্ষ অলোক কুমার সাহার কক্ষে তালা মেরে তাকেও অবরুদ্ধ করে রাখেন।

এ সময় প্লাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে বিভিন্ন স্লোগানে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়।

আরো পড়ুন:

পঞ্চগড়ে যুবক খুন: জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

উত্তরবঙ্গের মহাসড়ক বন্ধের হুঁশিয়ারি রবি শিক্ষার্থীদের

তাদের অভিযোগ, শিক্ষক নিশিত কুমার ও প্রদীপ কুমার নারী শিক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানি, শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ এবং ঘুষ দাবির সঙ্গে জড়িত।

খবর পেয়ে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দবির উদ্দিন ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।

নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দবির উদ্দিন বলেন, “শিক্ষার্থীদের অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হবে এবং অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেছি, এ ধরনের কোনো ঘটনা ভবিষ্যতে ঘটবে না। অধ্যক্ষকে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

পরে ইউএনওর আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে অবরোধ তুলে নেয় এবং বিষয়টি সমাধানের দিকে অগ্রসর হয়েছে। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক নিশিত কুমার, প্রদীপ কুমার এবং অধ্যক্ষ অলোক কুমার সাহা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।

ঢাকা/তামিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাগেরহাটে ভূমি কার্যালয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে তিন ভুয়া সাংবাদিক আটক
  • ফরিদপুরে টিটিসি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ