ফরিদপুরে পুত্রবধূকে (২২) ধর্ষণের দায়ে শ্বশুর গণি খাঁকে (৫৬) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন।

রায় ঘোষণার সময় গণি খাঁ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী প্রবাসে থাকায় ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল তিনি শ্বশুরের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন। একপর্যায়ে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে একই বছরের ২৮ জুন নগরকান্দা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন গৃহবধূর ভগ্নিপতি।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন রাতে গৃহবধূ ঘুমিয়ে ছিলেন। তখন তাঁর ঘরে ঢুকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন গণি খাঁ। একপর্যায়ে গৃহবধূ শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরীক্ষার মাধ্যমে গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়।

মামলাটি তদন্ত করেছেন ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুস সালাম খান। তিনি তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২০ আগস্ট গণি খাঁকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া বলেন, ঘটনাটি পারিবারিক নিরাপত্তা ও সামাজিক মর্যাদার জন্য হুমকিস্বরূপ। রায়টি উদাহরণ হয়ে থাকবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ হবধ

এছাড়াও পড়ুন:

নিউইয়র্কের রাস্তায় আটকা পড়ে ট্রাম্পকে ফোন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাখোঁর

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাড়িবহর আসছে, তাই রাস্তা বন্ধ। সেখানে আটকা পড়লেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। একপর্যায়ে গাড়ি থেকে নেমে পুলিশ কর্মকর্তাদের অনুরোধ করলেন তাঁকে রাস্তা পার হতে দেওয়ার জন্য। কিন্তু কাজ হলো না। এরপর একপর্যায়ে সরাসরি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ফোন করে জানালেন নিজের ‘দুরবস্থার’ কথা।

ঘটনাটি ঘটে সোমবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘে এক অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর। এরপর নিউইয়র্কের রাস্তায় আধা ঘণ্টা হেঁটে যান তিনি।

স্থানীয় একজন সাংবাদিক এ ঘটনার ভিডিও করেছেন। তাতে দেখা যায়, মার্কিন প্রেসিডেন্টের গাড়িবহর আসবে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা মাখোঁর গাড়ি আটকে দেওয়ার পর তিনি গাড়ি থেকে নেমে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে যান। এ সময় একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে তাঁর দেশের কনস্যুলেটে যাওয়া দরকার বলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে বলতে শোনা যায়।

জবাবে ওই পুলিশ কর্মকর্তা মাখোঁকে বলেন, ‘আমি দুঃখিত প্রেসিডেন্ট, আমি সত্যিই দুঃখিত। সব কিছু থেমে গেছে। এখনই একটি গাড়িবহর (ট্রাম্পের) আসছে।’

তখন ফরাসি প্রেসিডেন্ট খালি রাস্তার দিক তাকিয়ে বলেন, ‘আমি তো এটা (গাড়িবহর) দেখছি না। আমাকে রাস্তা পার হতে দিন।’

এ সময় সড়ক আটকে দেওয়া ধাতব প্রতিবন্ধকের পাশে দাঁড়িয়ে নিজের ফোন বের করেন প্রেসিডেন্ট মাখোঁ। তিনি সরাসরি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ফোন করেন। ওই প্রতিবন্ধকের দিকে ঝুঁকে তিনি ফোনে হাসতে হাসতে বলেন, ‘কেমন আছেন? আন্দাজ করুন তো কী ঘটেছে? আমি রাস্তায় অপেক্ষা করছি। কারণ, সবকিছু আপনার জন্য থেমে গেছে।’

পরবর্তী সময়ে মাখোঁকে গাড়ি রেখে পায়ে হেটে রাস্তায় চলার অনুমতি দেওয়া হয়। ফোনে কথা বলতে বলতে তিনি রাস্তায় হেঁটে চলেন।

ভিডিও ধারণ করা সাংবাদিক জানান, মাখোঁ তাঁর নিরাপত্তা দলের সঙ্গে প্রায় ৩০ মিনিট হাঁটেন। চলতি পথে থামেন এবং পথচারীদের মধ্যে যাঁরা অনুরোধ করেন, তাঁদের সঙ্গে ছবি তোলেন। এ সময় একজন পুরুষ তাঁর কপালে চুমু খান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিউইয়র্কের রাস্তায় আটকা পড়ে ট্রাম্পকে ফোন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাখোঁর
  • পা দিয়ে লিখে এইচএসসি পাস জসিমের, হাত না থাকায় জুটছে না এনআইডি
  • সাবেক স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা