ফরিদপুরে পুত্রবধূকে ধর্ষণের দায়ে শ্বশুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
Published: 24th, June 2025 GMT
ফরিদপুরে পুত্রবধূকে (২২) ধর্ষণের দায়ে শ্বশুর গণি খাঁকে (৫৬) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন।
রায় ঘোষণার সময় গণি খাঁ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী প্রবাসে থাকায় ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল তিনি শ্বশুরের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন। একপর্যায়ে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে একই বছরের ২৮ জুন নগরকান্দা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন গৃহবধূর ভগ্নিপতি।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন রাতে গৃহবধূ ঘুমিয়ে ছিলেন। তখন তাঁর ঘরে ঢুকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন গণি খাঁ। একপর্যায়ে গৃহবধূ শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরীক্ষার মাধ্যমে গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়।
মামলাটি তদন্ত করেছেন ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুস সালাম খান। তিনি তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২০ আগস্ট গণি খাঁকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া বলেন, ঘটনাটি পারিবারিক নিরাপত্তা ও সামাজিক মর্যাদার জন্য হুমকিস্বরূপ। রায়টি উদাহরণ হয়ে থাকবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ হবধ
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে টিটিসি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) নারী শিক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানি, অর্থ আত্মসাৎ ও ঘুষ দাবির অভিযোগে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে তারা অভিযুক্ত দুই শিক্ষক নিশিত কুমার ও প্রদীপ কুমারের বহিষ্কারের দাবিতে প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এছাড়া কলেজের অধ্যক্ষ অলোক কুমার সাহার কক্ষে তালা মেরে তাকেও অবরুদ্ধ করে রাখেন।
এ সময় প্লাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে বিভিন্ন স্লোগানে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়।
আরো পড়ুন:
পঞ্চগড়ে যুবক খুন: জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
উত্তরবঙ্গের মহাসড়ক বন্ধের হুঁশিয়ারি রবি শিক্ষার্থীদের
তাদের অভিযোগ, শিক্ষক নিশিত কুমার ও প্রদীপ কুমার নারী শিক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানি, শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ এবং ঘুষ দাবির সঙ্গে জড়িত।
খবর পেয়ে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দবির উদ্দিন ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দবির উদ্দিন বলেন, “শিক্ষার্থীদের অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হবে এবং অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেছি, এ ধরনের কোনো ঘটনা ভবিষ্যতে ঘটবে না। অধ্যক্ষকে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
পরে ইউএনওর আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে অবরোধ তুলে নেয় এবং বিষয়টি সমাধানের দিকে অগ্রসর হয়েছে। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক নিশিত কুমার, প্রদীপ কুমার এবং অধ্যক্ষ অলোক কুমার সাহা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
ঢাকা/তামিম/মেহেদী