পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দেওয়ার সমন্বিত প্রচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। আর এ ধরনের তৎপরতা মেনে নেবেন না বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। গত বুধবার পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে এ অবস্থানের কথা জানানো হয়।

এমন সময় পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে এ অবস্থানের কথা জানানো হলো, যখন পাকিস্তানের রাজনীতিতে ‘মাইনাস ইমরান’ গুঞ্জন আবারও ডালপালা মেলেছে। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জাতীয়ভাবে এবং দলটির অভ্যন্তরে উত্তেজনা বাড়ছে।

পিটিআই নেতা ও খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুর ওই প্রদেশে গভর্নর শাসন চাপিয়ে দেওয়া এবং দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষককে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার ‘ষড়যন্ত্রের’ নিন্দা জানিয়েছেন।

এদিকে ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা আজমা বুখারি ও তাঁর মিত্রদের বিরুদ্ধে পিটিআইয়ের অভ্যন্তরে ভাঙন ধরাতে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ এনেছেন দলটির মুখপাত্র শেখ ওয়াক্কাস আকরাম।

তবে আজমা বুখারি বলেন, নিজের বোন ও দলের কারণেই ইমরান খান রাজনীতিতে একঘরে হয়ে পড়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেখুন, ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! যিনি নওয়াজ শরিফকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, তিনি নিজেই এখন ঘরে এবং নিজের দলে একঘরে হয়ে পড়েছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ত ইমর ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঈশ্বরদীতে প্রিপেইড মিটার বাতিল চেয়ে বিক্ষোভ

পাবনার ঈশ্বরদীতে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) পিএলসির গ্রাহকদের প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রমের প্রতিবাদে চার দিন ধরে আন্দোলন চলছে। বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদী শিল্প ও বণিক সমিতির সদস্যরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, বাজারের প্রধান ফটকের সামনে শিল্প ও বণিক সমিতির পক্ষ থেকে মানববন্ধন, পথসভা, নেসকোর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি নান্নু রহমান, সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন জনিসহ ব্যবসায়ী নেতারা বক্তব্য দেন।
এর আগে বুধবার ঈশ্বরদী পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমির গোলাম আজম ও মঙ্গলবার সাবেক ছাত্রনেতা রেজাউল করিম ভিপি শাহীনের নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণ এবং নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষুব্ধ জনতা। 
প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম বন্ধ করার দাবিতে ‘সচেতন ঈশ্বরদীবাসী’র ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। পরে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুন নূরকে স্মারকপত্র দেন বিক্ষোভকারীরা। 
গত সোমবার ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও স্থানীয় লোকজন নেসকো কার্যালয়ে গিয়ে প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম বন্ধ করার দাবি জানান। মঙ্গলবার ‘সচেতন ঈশ্বরদীবাসী’র ব্যানারে বিক্ষোভ শেষে নেসকো কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত পথসভায় বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে জনগণকে বোকা বানিয়ে দুর্ভোগ বাড়াতে এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করতে প্রিপেইড মিটার চালুর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আওয়ামী লীগের দোসররা এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। ঈশ্বরদীবাসী এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেবে না। ঈশ্বরদীতে প্রিপেইড মিটার লাগানোর চেষ্টা করলে জনগণ প্রতিহত করবে। 
পথসভায় বক্তব্য দেন ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আজমল হোসেন ডাবলু, ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম ভিপি শাহীন, উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দুলাল মণ্ডল, বিএনপি নেতা বরকত আলী, ব্যবসায়ী নেতা সাঈফ হাসান সেলিম, শিল্প ও বণিক সমিতির নির্বাহী সদস্য আকরাম রায়হান বাবু, ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম নয়ন, মিজানুর রহমান মিজান, রুহুল আমিন প্রমুখ। 
উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দুলাল মণ্ডল বলেন, আই কে রোডে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আগের মিটারে বিল আসত ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। এখন প্রিপেইড মিটারে বিল গুনতে হচ্ছে ১৮ হাজার টাকা। 
স্মারকপত্র গ্রহণ করে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুন নূর বলেন, প্রিপেইড ব্যবস্থার সুফল সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত না করায় তাদের মধ্যে ভুল ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। ঈশ্বরদীবাসীর এই আন্দোলন ও দাবির বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। এর পর তারা যে সিদ্ধান্ত জানাবেন, আমি বাস্তবায়ন করব। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই সনদ ও যোদ্ধা নিয়ে এলোমেলো কিছু প্রশ্ন
  • ঈশ্বরদীতে প্রিপেইড মিটার বাতিল চেয়ে বিক্ষোভ
  • ইসরায়েল যে খেলা খেলল
  • পিলখানা হত্যাকাণ্ড দীর্ঘমেয়াদি ষড়যন্ত্রের ফল, ছিল রাজনৈতিক নেতাদের সংশ্লিষ্টতা: তদন্ত কমিশন
  • আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিতে পরিকল্পিতভাবে নগর ভবনে হামলা: ইশরাক
  • নোয়াখালীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ যুবদল নেতা গ্রেপ্তার