ইমরান খানকে সরাতে ‘মাইনাস ওয়ান ফর্মুলা’
Published: 27th, June 2025 GMT
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দেওয়ার সমন্বিত প্রচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। আর এ ধরনের তৎপরতা মেনে নেবেন না বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। গত বুধবার পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে এ অবস্থানের কথা জানানো হয়।
এমন সময় পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে এ অবস্থানের কথা জানানো হলো, যখন পাকিস্তানের রাজনীতিতে ‘মাইনাস ইমরান’ গুঞ্জন আবারও ডালপালা মেলেছে। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জাতীয়ভাবে এবং দলটির অভ্যন্তরে উত্তেজনা বাড়ছে।
পিটিআই নেতা ও খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুর ওই প্রদেশে গভর্নর শাসন চাপিয়ে দেওয়া এবং দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষককে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার ‘ষড়যন্ত্রের’ নিন্দা জানিয়েছেন।
এদিকে ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা আজমা বুখারি ও তাঁর মিত্রদের বিরুদ্ধে পিটিআইয়ের অভ্যন্তরে ভাঙন ধরাতে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ এনেছেন দলটির মুখপাত্র শেখ ওয়াক্কাস আকরাম।
তবে আজমা বুখারি বলেন, নিজের বোন ও দলের কারণেই ইমরান খান রাজনীতিতে একঘরে হয়ে পড়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেখুন, ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! যিনি নওয়াজ শরিফকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, তিনি নিজেই এখন ঘরে এবং নিজের দলে একঘরে হয়ে পড়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ক্ষমতা নয়, জনগণের ভোট ফেরত দেওয়ার জন্য নির্বাচনের কথা বলছি: টুকু
বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, “আমি ক্ষমতার জন্য কথা বলছি না বা সুষ্ঠু নির্বাচন চাচ্ছি না। আমরা জনগণের ভোট জনগণকে ফেরত দিতে চাই। এ রাষ্ট্রের মালিক হচ্ছে দেশের জনগণ। যারা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন, তাদের দেশের মানুষের মুখের ভাষা বুঝতে হবে। এই দেশের মানুষ ২০১৪, ১৮ ও ২৪ সালে ভোট দিতে পারেনি। এ দেশের মানুষ সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্থিতিশীল বাংলাদেশ চায়।”
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইলের শিল্পকলা একাডেমিতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন টিএসএফ আয়োজনে ৬৪ জেলার স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে আয়োজিত মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “ভোট নিয়ে যারাই ষড়যন্ত্র করেছে, তারাই জনগণের কাছে থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। জনগণের জন্য রাজনীতি করলে জনগণের অধিকার জনগণকে ফেরত দিতে হবে। আগামীর বাংলাদেশ হবে গণতন্ত্রের বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে চাই।”
আরো পড়ুন:
হিট প্রকল্পে বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের বাদ দেওয়ার অভিযোগ
‘অধিকাংশ মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে’
তিনি আরো বলেন, “বিগত দিনে এ টাঙ্গাইল ছিল সন্ত্রাসীদের। টাঙ্গাইলের অনেক মানুষকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিরাপদ টাঙ্গাইল গড়ে তুলতে চাই। ফ্যাসিবাদের দোসররা আবার দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, তাদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। আমরা নিরাপদ গণতান্ত্রিক জনগণের বাংলাদেশ চাই। জনগণের জন্য যারা কাজ করবে, সবাই মিলে এ রকম একটি সরকার চাই।”
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, যুবদলের আহবায়ক রাশেদুল আলম।
অনুষ্ঠানে চার জন সাংবাদিক ও বিভিন্ন সামাজিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ব্যক্তিদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এছাড়াও ২০ জন অসহায় মানুষকে হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়।
ঢাকা/কাওছার/মেহেদী