ঘুমের ওষুধ খেয়ে হিরো আলম অসুস্থ, নেওয়া হলো হাসপাতালে
Published: 27th, June 2025 GMT
আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা থেকে বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি গ্রামে এসে এক বন্ধুর বাসায় ওঠেন তিনি। পরে রাতের কোনো এক সময়ে ঘুমের ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
হিরো আলমের বন্ধু জাহিদ হাসান বলেন, আজ শুক্রবার সকালে হিরো আলমকে শয়ন কক্ষ থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর দুপুর ১২টার দিকে নেওয়া হয় ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম অতিমাত্রায় ঘুমের ট্যাবলেট সেবন করেছেন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বেলা দেড়টার দিকে হিরো আলমের সঙ্গে থাকা বন্ধু জাহিদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, তিনি হিরো আলমকে নিয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। তবে এখনো পৌঁছাতে পারেননি।
ধুনটের ভান্ডারবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ হাসান আরও বলেন, হিরো আলমের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সখ্য আছে তাঁর। সেই সুবাদে তাঁর বাসায় যাতায়াতও আছে। গতকাল রাত তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা থেকে ভান্ডারবাড়িতে আসেন হিরো আলম। এরপর তাঁর স্ত্রী রিয়ামণির সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য অনেক কান্নাকাটি করেন। হতাশাও প্রকাশ করেন। এরপর না খেয়ে একটি ঘরে একা ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল ১০টার দিকে সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে প্রবেশ করে জাহিদ হাসান দেখেন হিরো আলম অচেতন অবস্থায় শুয়ে আছেন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হালুয়াঘাটে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক অটোরিকশাচালকের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালায়। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করতে পারেনি।
পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মেয়েটি উপজেলার একটি উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। সোমবার দুপুরে সে তার বন্ধুর সঙ্গে একটি পার্কে বেড়াতে যায়। বিকেলের দিকে সেখান থেকে বাড়ি পৌঁছে দিতে কিশোরীকে একটি অটোরিকশায় তুলে দেয় বন্ধু। এ সময় অটোরিকশাচালক হালুয়াঘাট উপজেলা শহরে পূজামণ্ডপ দেখানোর কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে ঘুরতে থাকেন। একপর্যায়ে মেয়েটিকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর রাত ১১টার দিকে গামারীতলা এলাকায় মেয়েটিকে নামিয়ে দিয়ে অটোরিকশাচালক চলে যায়। এরপর মেয়েটিকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার রাতেই অভিযুক্ত আবুল বাশারের (২৫) বাড়িতে যায়। তবে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ওই সময় পুলিশ তাঁর অটোরিকশাটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ দিতে যায় মেয়েটির পরিবার। এ বিষয়ে রাতে হালুয়াঘাট থানার ওসি হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘নিজেদের কমিউনিটির লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে মেয়েটির মা বাদী হয়ে অভিযোগ দিচ্ছেন। অভিযোগ হাতে পেলেই আমরা রাতেই মামলা হিসেবে গ্রহণ করব। অভিযুক্তকেও আমরা ধরে ফেলব।’