তাহসান কেন বিয়ে করলো, দরকার তো ছিল না: মন্দিরা
Published: 28th, June 2025 GMT
ঢাকাই চলচ্চিত্রের গ্ল্যামার গার্ল মন্দিরা চক্রবর্তী ‘কাজল রেখা’ সিনেমায় অভিনয় করে আলোচনায় আসেন। এরপর আলোচনা থেকে কিছুটা সরে যান এই নায়িকা। ঈদে তার অভিনীত সিনেমা ‘নীলচক্র’ মুক্তি পায়। এই সিনেমার প্রচারণায় নতুন করে আলোচনায় আসেন মন্দিরা। সিনেমায় তার অভিনয়ও প্রশংসা পেয়েছে।
এই নায়িকা নিজে একাধিক ক্র্যাশের কথা মিডিয়াকে জানিয়েছেন। চলচ্চিত্র অভিনেতা আরিফিন শুভকে নাকি তার ছোটবেলা থেকেই ভালো লাগে। এর মধ্যে জানা গেলো গায়ক, অভিনেতা তাহসান খানও নাকি তার ক্র্যাশ ছিলেন। সম্প্রতি দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন তাহসান খান। এ নিয়ে আফসোসের শেষ নেই মন্দিরার।একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে উপস্থাপক মন্দিরার ক্র্যাশ সম্পর্কে জানতে চান। উত্তরে মন্দিরা বলেন, ‘‘কে যেন? ওহ তাহসান। হ্যাঁ, ওর বিয়ে হয়ে গেছে। তাই ওকে আমি ভুলে যাই। ভুলে গেছি। কী দরকার ছিল বিয়ে করার। তাহসান কেন বিয়ে করলো, দরকার তো ছিল না।’’
উল্লেখ্য, মেকওভার আর্টিস্ট রোজা আহমেদের সঙ্গে দ্বিতীয় সংসার শুরু করেছেন তাহসান খান। এর আগে ১৮ বছর আগে ২০০৬ সালের ৭ আগস্ট বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাহসান খান ও অভিনেত্রী মিথিলা। পরে ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই তারা কন্যাসন্তানের মা–বাবা হন।
আরো পড়ুন:
জয়া আহসান কবে বিয়ে করবেন?
বাউল খোয়াজ মিয়া মারা গেছেন
সেই সংসার ভেঙে যায় ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর। এরপর বেশ কিছুদিন সিঙ্গেল ছিলেন তাহসান
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঘর থেকে তুলে নিয়ে চুরির অপবাদে নির্যাতনের শিকার জাকিরের চোখ হারানোর শঙ্কা
অন্য সব দিনের মতোই গত শনিবার রাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়েছিলেন জাকির শেখ। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ছয়টায় হঠাৎ স্থানীয় শতাধিক ব্যক্তি জাকিরের বাড়িতে প্রবেশ করেন। ঘর থেকে তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বাড়ির পাশের খোলা স্থানে। সেখানে চুরির অপবাদ দিয়ে অমানবিক নির্যাতন করেন কিছু উৎসুক জনতা। তাঁর দুই চোখ খেজুরের কাঁটা আর সুই দিয়ে খুঁচিয়ে নষ্ট করে ফেলার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের।
জাকির শেখের (৫০) বাড়ি মাদারীপুরের সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের পশ্চিমমাঠ বাঘাবাড়ি এলাকায়। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তাঁর পরিবার জানিয়েছে, তাঁর দুটি চোখেই ভয়াবহ ক্ষত। চোখ দুটি পুরোপুরি হারানোর শঙ্কা রয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জাকিরের চোখে অস্ত্রোপচার করেছেন চিকিৎসক।
একই ঘটনায় পিটুনির শিকার আরও দুজন মাদারীপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
জাকির শেখের বড় মেয়ে এনি আক্তার (২০) প্রথম আলোকে বলেন, ‘আব্বুর অবস্থা ভালো নয়। ডাক্তার বলেছেন, তাঁর চোখের ৮০ শতাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। চোখে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। আব্বুর চোখে বড় অপারেশন আজ হইছে। আব্বুর সঙ্গে আমি আছি। আমার আব্বুকে যারা চুরির মিথ্যে অপবাদ দিয়ে এই অবস্থা করেছে, তাদের বিচার চাই।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিরখাড়া ইউনিয়নের পশ্চিমমাঠ বাঘাবাড়ি এলাকার কয়েকটি বাড়িতে সম্প্রতি ছিঁচকে চুরির ঘটনা ঘটে। এরপর ‘স্থানীয় যুব সমাজের উদ্যোগে’ এলাকায় নিয়মিত পাহারায় বসেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে বাবুল শিকদার (২৫) নামের এক যুবক তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার পথে চোর সন্দেহে স্থানীয় কয়েকজন যুবক তাঁকে আটক করেন। বাবুল একই ইউনিয়নের রায়েরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। খবর পেয়ে বাবুলকে উদ্ধারে তাঁর এক আত্মীয় ইস্রাফিল মাতুব্বর (৪০) গেলে তাঁকেও আটক করেন স্থানীয় লোকজন। এরপর চোর সন্দেহে দুজনকে রাতভর মারধর করা হয়। এরপর জাকির শেখের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে পিটুনি ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
জাকির শেখের পরিবারের অভিযোগ, পূর্বশত্রুতার জেরে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জাকিরকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন স্থায়ীয় কোহিনুর মাতুব্বর, কামাল, সজীব, ওমর, শফিকুলসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি।
অভিযুক্ত কোহিনুর মাতুব্বর ও কামাল হোসেন বলেন, ‘চোর সন্দেহে প্রথম যাকে ধরা হইছে, তার স্বীকারোক্তিতে ছিল জাকির শেখের নাম। এখানে চোরদের সঙ্গে আমাদের কিসের শত্রুতা। এগুলো বলে ঘটনা আড়াল করা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন ছিঁচকে চোরের আতঙ্কে অতিষ্ঠ হয়ে গণপিটুনি দিয়েছে। এখানে ব্যক্তিগত শত্রুতা বা ক্ষোভ থেকে কাউকে আঘাত করা হয়নি।’
ফেরিওয়ালা জাকিরকে নির্যাতনে জড়িতদের বিচার চেয়ে সন্তানদের নিয়ে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন। আজ সকালে মাদারীপুর শহরের একটি বাসায়