রংপুরের ক্রিকেট অঙ্গনের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা হবে: বিসিবি সভাপতি
Published: 28th, June 2025 GMT
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, রংপুরের ক্রিকেট অঙ্গনের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা হবে। বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গন অনেক সমৃদ্ধ। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি টুয়েন্টি সব ফরমেটে বাংলাদেশের র্যাংকিং অনেকটাই উপরে। রংপুরের স্বনামধন্য ক্রিকেটাররা আগেও জাতীয় দলে অবদান রেখেছে এখনও তারা কাজ করছে।
শনিবার সকালে রংপুর ক্রিকেট গার্ডেন মাঠে বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা অর্জনের ২৫ বছর পূর্তিতে দিনব্যাপী উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অঞ্চলভিত্তিক ক্রিকেট খেলা ও হান্ট প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ট্যালেন্ট ক্রিকেটার বের করে আনা হবে। এছাড়াও যেসব মাঠ পড়ে আছে সেগুলোকে খেলার আওতায় আনতে সারা দেশে ১শ’ ক্রিকেট পিচ তৈরি করা হবে। রংপুর বিভাগে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও বয়স ভিত্তিকসহ প্রিমিয়ার লিগগুলোর ভেন্যু করার বিষয়টি বিসিবির প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিসিবি সভাপতি বলেন, টপ লেভেলে বাংলাদেশের অবস্থান অনেকটাই সময়ের ব্যাপার। আগামী দিনের ক্রিকেটারদের খেলার মান উন্নয়নের কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সে কারণে বিভাগীয় নগরীতে আমাদের সফর। আমরা খেলার মাঠ, স্টেডিয়াম, প্র্যাকটিস পিচ ও সর্বোপরি ক্রিকেট দর্শক বাড়ানোর কাজ করছি।
পরে বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন এবং অনূর্ধ্ব ১২ ক্রিকেট ফেস্টিভ্যালে সিক্স এ সাইড উৎসবের টস করেন।
উৎসবের আরো আয়োজনের মধ্যে ছিল পেস চ্যালেঞ্জ বোলারদের গতি পরীক্ষা, ক্রিকেট মেন্টরিং অভিভাবকদের বেসিক ক্রিকেট কোচিং, কমেন্ট্রি স্কিল ধারাভাষ্য দেওয়ার সুযোগ, সরাসরি স্টাম্পে আঘাত, ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, উইশ ফর বাংলাদেশ টিম- বিশেষ বোর্ডে বাংলাদেশ দলের শুভকামনা জানানো, উৎসবে ক্রিকেট, শিক্ষা, কুইজ ও ফ্যানের সমন্বয়ে বিভিন্ন আর্কষণীয় কার্যক্রম। এরপর তিনি খেলোয়াড়, অভিভাবক ও ক্রীড়ামোদিদের সাথে মতবিনিময় করেন।
এসময় রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আশরাফুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রমিজ আলম, বিসিবি সভাপতির উপদেষ্টা আবিদ হাসান সামি, বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট অধিনায়ক নীগার সুলতানা, সাবেক ক্রিকেটার নাসির হোসেন, জেলা ক্রীড়া অফিসার মাসুদ রানা, জেলা ক্রীড়া সংস্থার ছাত্র প্রতিনিধি ফারহান তানভীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উৎসব র
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরের লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে চলছে
বন্দরের ঐতিহ্যবাহী লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে মেতে উঠেছে চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা। যে খাল দিয়ে এক সময় শীতলক্ষা-বহ্মপুত্র নদীতে সংযোগ ছিল।
সেই ঐতিহ্যবাহী খালটি অবৈধভাবে দখল করে পাঁকা স্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেছে ওই সকল ভূমিদস্যুরা।
খালটি দখল হয়ে যাওয়ার কারনে পয়নিষ্কাশনসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত স্থানীয়রা। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উল্লেখিত খাল দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা ।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ রশিদ ও সানাউল্লাহ সানু এবং বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের মদদপুষ্ট হয়ে আদর্শ বিদ্যানিকেতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে গিয়ে খাল দখল করে রাস্তা বানিয়েছে।
তেমনি ভাবে গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া খালটি ভরাট করার কারনে বন্দর ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াডের কদমতলীসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ড্রেজার দিয়ে ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমি ভরাট করতে গিয়ে সরকারি খাল দখল করে নিয়েছে। দেখার যেন কেউ নেই।
বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন সৈকত জানান, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রভাবশালী মহল ও ভূমিদস্যুদের কর্তৃক দখলকৃত খালটি উদ্ধার করে পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।