কয়েনে জায়গা পেল জনপ্রিয় শিশুতোষ চরিত্র জোগ
Published: 28th, June 2025 GMT
ব্রিটেনের দ্য রয়েল মিন্ট শিশুদের প্রিয় ড্রাগন চরিত্র ‘জোগ’ নিয়ে ৫০ পেন্সের একটি বিশেষ স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করেছে। জুলিয়া ডোনাল্ডসন ও অ্যাক্সেল শেফলারের তৈরি চরিত্রটির ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।
কয়েনটিতে জোগকে উড়ন্ত অবস্থায় দেখা যাবে। দ্য রয়্যাল মিন্টের শিশুতোষ চরিত্রের সংগ্রহে আগে থেকেই রয়েছে দ্য গ্রুফালো, দ্য গ্রুফালোস চাইল্ড চরিত্র। সেই তালিকায় যোগ হলো জোগ।
দ্য রয়্যাল মিন্টের স্মারক মুদ্রা বিভাগের পরিচালক রেবেকা মরগানের ভাষ্য, ‘জোগকে আমাদের অফিশিয়াল ইউকে ৫০ পেন্স সিরিজে যুক্ত করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। গল্পে দুর্ঘটনা ঘটলেও জোগ চেষ্টার কমতি রাখে না। তাঁর এই অধ্যবসায় ও আত্মপ্রত্যয়ের গুণাবলি আমাদের সবার অনুপ্রেরণা। চরিত্রটি ব্রিটেনের ঘরে ঘরে জায়গা করে নিয়েছে এবং শিশুদের সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা তৈরি করতে সাহায্য করে যাচ্ছে।’
লেখক জুলিয়া ডোনাল্ডসন বলেন, ‘আমি ভীষণ আনন্দিত যে জোগকে মুদ্রায় স্মরণ করা হচ্ছে। ১৫ বছর আগে যখন তার গল্প লিখেছিলাম, তখন ভাবিনি সে এত দূর মানুষের কল্পনায় পাখা মেলবে।’
‘জোগকে আঁকতে সব সময় ভালো লেগেছে। এখন সেই আঁকা ছবি মুদ্রায় রূপান্তরিত হচ্ছে, এটা আমার জন্য বিশাল সম্মান’—বলছিলেন চরিত্রটির চিত্রশিল্পী অ্যাক্সেল শেফলার।
এই স্মারক ৫০ পেন্সের মুদ্রা দ্য রয়্যাল মিন্টের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধাতু ও রঙিন সংস্করণে।
সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট
lগ্রন্থনা: রবিউল কমল
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চর ত র
এছাড়াও পড়ুন:
মানুষের মন্দির
মানুষের মন্দির
এটি ছিল এক বিষণ্ন রাত
ফ্যাকাশে আলোর সঙ্গে,
হৈমন্তী চাঁদের আলোয়
আলোকসজ্জিত আকাশ।
আমরা আনন্দে একত্র হয়েছিলাম
শরতের রোদে রাঙা দুপুরে
আমাদের ঘামের ফসল হাতে
. . . . . . . . . . .
আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি
আমাদের বপনের ঋতুতে
আমাদের যত্নের ঋতুতে,
আমরা ছিলাম অধ্যবসায়ী
আমরা ছিলাম নিবেদিত
আমাদের প্রচেষ্টা প্রতি,
এখন সময় এসেছে ফসল তোলার।
এই সব দিনে
আমরা ভোগ করি পরিশ্রমের ফসল
আমাদের আগে ছিল যারা,
বুঝি না আত্মত্যাগের মানে
যা জন্ম নিয়েছে
নিজের গড়া গৌরবের ছায়া হতে।
আমারও লোভার্ত হাত পৌঁছেছিল সেই আলমারিতে
একটি নিরবচ্ছিন্ন চেতনা নিয়ে,
প্রাচুর্যের মানে বুঝতে অপারগ,
এক নিঃশব্দ অস্বীকৃতির ভারে।
. . . . . . . . . . . .
এই সময়ে
কিছু মানুষ আছে,
আমার প্রতিবেশীরা,
আমার সহপথিক মানবেরা
অক্লান্ত পরিশ্রম করে, তবু ভোগে যন্ত্রণায়।
এদিকে আমার কঠিন চেতনা
আসে আর যায়
সহানুভূতির প্রাঙ্গণ দিয়ে,
ফেলে রেখে যায়
আমার জন্মগত ও ঈশ্বরপ্রদত্ত করুণা,
আমার অসংবেদনশীলতার দ্বারে।
.. . . . . . . . . . .
দশমাংশ কী,
এ কি শুধু এইটুকুই...
আমাদের সীমিত পকেট আর পার্স খালি করা
চাঁদার ঝুড়িতে ফেলার জন্য?
. . . . . . . .
আমি আমার দশম ভেড়া কোথায় দেব,
আমার দশম ছাগল,
আর কোন মন্দিরে...?
এ কি মানুষের তৈরি মন্দির,
ইট, চুনসুরকি আর কাঠ দিয়ে গড়া,
যেখানে আমরা জমায়েত হই
আমাদের স্বেচ্ছায় জমানো অস্থিরতা উজাড় করতে,
নাকি এটা তার চেয়ে বড় কিছু,
একটি মন্দির যা বিরাট কোনো চেতনার জগতে বিরাজমান,
যা আমাদের সকলকে আপন করে জড়িয়ে ধরে?
যখনযখন সবকিছু ধসে পড়বে,
তখন তুমি কোথায় দাঁড়িয়ে থাকবে?
যখন আকাশ নিজেকে গুটিয়ে নেবে,
তখন তুমি কীভাবে নিশ্বাস নেবে?
যখন তারারা তাদের আলো নিভিয়ে দেবে,
তখন কি আমাদের স্বপ্ন দেখার ক্ষমতাটাও
অদৃশ্য হয়ে যাবে?
যখন হাসি ব্যথার জন্ম দেবে,
তখন কি আমরা
অর্থবোধক অনুভূতি থেকে
সম্পূর্ণ শূন্য হয়ে যাব?
যখন আমরা আর আহারের জন্য ক্ষুধার্ত থাকব না,
তখন কি আমরা সময়ের মৃত্যুযাত্রায়
নীরবে আত্মসমর্পণ করব?
যখন দিগন্তের শেষ
আমাদের সামনে দাঁড়াবে,
তখন কি আমরা ছুটে বেড়াব
সবকিছু মনে করতে, ফিরে পেতে
যা আমরা অবহেলা করেছি,
ধ্বংস করেছি, ভুলে গেছি?
যখন সব ‘কেন’র উত্তর মিলবে,
তখন কি আমরা অবশেষে বুঝতে পারব?
যেমন মি. স্মিথ বলেছিল নিওকে,
আমরা একধরনের ভাইরাস,
একটা বিপজ্জনক জাত
যাদের সবচেয়ে বড় ক্ষমতা হলো
ধ্বংস করার দক্ষতা।
এই আত্মনির্মিত দুঃস্বপ্ন
কবে শেষ হবে?
কবে?