৪২ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ‘কাঁটা লাগা’ গার্ল হিসেবে পরিচিত ভারতের জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী শেফালি জারিওয়ালা। তার মৃত্যুর খবরে শোক প্রকাশ করেছেন বহু মানুষ। এই অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করলেন চিত্রনায়ক নিরব।

শেফালির মৃত্যুর খবর ছড়াতেই তার সঙ্গে ফ্রেমবন্দী হওয়া একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন নিরব। আর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্বাস করতে পারছি না, শেফালি জারিওয়ালা আর নেই।’

নিরব সমকালকে বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশেও  অনেক জনপ্রিয় ছিলেন শেফালি। ২০২১ সালে তিনি বাংলাদেশের একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। তার সঙ্গে ষেখানেই দেখা, কথাও হয়েছিল অনেকক্ষণ। পর্দায় যেমন দেখেছি তাকে সম্পূর্ণ আলাদা মনে হয়েছে। আমরা যতক্ষণ অনুষ্ঠানে ছিলাম তাকে হাস্যজ্জল দেখিছি। মৃত্যুর খবর শুনে তার হাসিমাখা মুখটা মনে পড়ছিল। ৪২ বছর বয়সে তার মৃত্যু বিশ্বাস করতে পারছি না।’

নিরবের এই পোস্টে শেফালীর মৃত্যু নিয়ে শোক প্রকাশ করেন নেটিজেনরা। একজন লিখেছেন, আমিও বিশ্বাস করতে পারছি না। আরেকজন লিখেছেন, ‘শকিং নিউজ’, কেউ কেউ লিখেছেন, ‘তার আত্মার শান্তি কামনা করি।’

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে শেফালীকে মুম্বাইয়ের বেলভিউ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে এখনো পর্যন্ত শেফালির মৃত্যুর নির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি।

প্রাথমিকভাবে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেছেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন রব

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লার অটোরিকশা চালক ইউসুফ খুন 

ফতুল্লার অটোরিকশা চালক ইউসুফ (২৮) কে হত্যার পর মরদেহ রাজধানী ঢাকার রায়ের বাগ এলাকায় ফেলে রেখে অটোরিশা নিয়ে গেছে অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা।

রোববার (১৬ নভেম্বর) ভোরে খবর পেয়ে স্বজনরা রায়ের বাগ থেকে ইউসুফকে উদ্ধার করে নারায়নগঞ্জ শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ইউসুফ কে মৃত ঘোষনা করে। 

নিহত ইউসুফের গ্রামের বাড়ি বরিশালের কলাপাড়া থানার দানখালি গ্রামে। তারা বর্তমানে স্ব পরিবারের ফতুল্লা রেল স্টেশন এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করছে। তার এক বছরের একটি সন্তান রয়েছে।

হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমুল হাসান বিপুল সূত্র জানায়, নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

নিহত ইউসুফের মা আলো বেগম জানান, তার ছেলে শনিবার দুপুর তিনটার দিকে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়। রাত দশটার দিকে বাসায় ফিরে আসার কথা থাকলেও ফিরে আসেনি। তার মোবাইল ফোন ও বন্ধ পাওয়া যায়। 

পরবর্তীতে তারা বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজির এক পর্যায়ে ভোরের দিকে জানতে পারে ঢাকার রায়ের বাগস্থ ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের ওপর ইউসুফ কে কে বা কারা ফেলে রেখে গেছে। 

এমন সংবাদের ভিত্তিতে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউসুফকে উদ্ধার করে নারায়নগঞ্জ শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ইউসুফ কে মৃত ঘোষনা করে।

ফতুল্লা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অটো রিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ইউসুফকে হত্যা করা হয়েছে।

তার মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ঘটনাটি যাত্রা থানা এলাকায় সংঘটিত হওয়ায় সেখানে পুলিশ তদন্ত করছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফতুল্লার অটোরিকশা চালক ইউসুফ খুন