শেফালির মৃত্যু বিশ্বাস করতে পারছেন না নিরব
Published: 28th, June 2025 GMT
‘কাঁটা লাগা’ গার্ল হিসেবে পরিচিত ভারতের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী শেফালি জারিওয়ালা না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন। মাত্র ৪২ বছর বয়সে তার আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিনোদন অঙ্গনে। শেফালির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন চিত্রনায়ক নিরব।
নিরব ফেসবুক পেজে শেফালির সঙ্গে একটি পুরোনো ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, “বিশ্বাস করতে পারছি না, শেফালি জারিওয়ালা আর নেই।”
তিনি বলেন, “ভারতে যেমন জনপ্রিয় ছিলেন, বাংলাদেশেও তার পরিচিতি কম ছিল না। ২০২১ সালে তিনি একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বাংলাদেশে এসেছিলেন। সেখানেই আমাদের দেখা ও দীর্ঘ সময় কথা হয়েছিল। পর্দায় যেভাবে তাকে দেখেছি, বাস্তবে তিনি একেবারেই অন্যরকম— অত্যন্ত হাসিখুশি ও প্রাণবন্ত একজন মানুষ। যতক্ষণ অনুষ্ঠান চলেছে, তাকে হাস্যোজ্জ্বল দেখেছি। আজ তার মৃত্যুর খবর শুনে বারবার সেই হাসিমাখা মুখটাই চোখে ভাসছে। ৪২ বছর বয়সে এমন বিদায় সত্যিই মেনে নেওয়া কঠিন।”
নিরবের পোস্টে শেফালীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছেন অনেকে। কেউ লিখছেন, “আমিও বিশ্বাস করতে পারছি না,” আবার কেউ বলছেন, “শকিং নিউজ’, “তার আত্মার শান্তি কামনা করি।”
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে শেফালিকে মুম্বাইয়ের বেলভিউ হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে পৌঁছানোর পরই চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
ঢাকা/রাহাত//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লার অটোরিকশা চালক ইউসুফ খুন
ফতুল্লার অটোরিকশা চালক ইউসুফ (২৮) কে হত্যার পর মরদেহ রাজধানী ঢাকার রায়ের বাগ এলাকায় ফেলে রেখে অটোরিশা নিয়ে গেছে অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা।
রোববার (১৬ নভেম্বর) ভোরে খবর পেয়ে স্বজনরা রায়ের বাগ থেকে ইউসুফকে উদ্ধার করে নারায়নগঞ্জ শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ইউসুফ কে মৃত ঘোষনা করে।
নিহত ইউসুফের গ্রামের বাড়ি বরিশালের কলাপাড়া থানার দানখালি গ্রামে। তারা বর্তমানে স্ব পরিবারের ফতুল্লা রেল স্টেশন এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করছে। তার এক বছরের একটি সন্তান রয়েছে।
হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমুল হাসান বিপুল সূত্র জানায়, নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
নিহত ইউসুফের মা আলো বেগম জানান, তার ছেলে শনিবার দুপুর তিনটার দিকে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়। রাত দশটার দিকে বাসায় ফিরে আসার কথা থাকলেও ফিরে আসেনি। তার মোবাইল ফোন ও বন্ধ পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে তারা বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজির এক পর্যায়ে ভোরের দিকে জানতে পারে ঢাকার রায়ের বাগস্থ ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের ওপর ইউসুফ কে কে বা কারা ফেলে রেখে গেছে।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউসুফকে উদ্ধার করে নারায়নগঞ্জ শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ইউসুফ কে মৃত ঘোষনা করে।
ফতুল্লা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অটো রিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ইউসুফকে হত্যা করা হয়েছে।
তার মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ঘটনাটি যাত্রা থানা এলাকায় সংঘটিত হওয়ায় সেখানে পুলিশ তদন্ত করছে।