কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তের শূন্যরেখার কাছে একটি নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব ইটালুকান্দা এলাকার সীমান্তঘেঁষা হলহলিয়া নদী থেকে বিজিবির উপস্থিতিতে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

আজ শনিবার সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। আজ পর্যন্ত ওই নারীর পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব ইটালুকান্দা এলাকায় স্থানীয় লোকজন গরু নিয়ে মাঠে গেলে সীমান্তের শূন্যরেখার আন্তর্জাতিক সীমানা ১০৫৩ মেইন পিলার থেকে ১৫০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে হলহলিয়া নদীতে ওই নারীর লাশ দেখতে পান। পরে বিজিবি ও থানা-পুলিশকে খবর দিলে রাতে বিজিবির উপস্থিতিতে সুরতহাল শেষে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, হলহলিয়া নদীতে এক অজ্ঞাতপরিচয় নারীর লাশ ভাসতে দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই লাশ ভারতীয় কোনো নাগরিকের। তাঁকে হত্যা করে সীমান্তের শূন্যরেখার কাছাকাছি বাংলাদেশের ভেতরে নদীতে ফেলে গেছে।

দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, ভারতের সীমান্ত থেকে ১৫০ থেকে ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হলহলিয়া নদীতে এক নারীর লাশ ভাসার খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি এসে রাতে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তিনি বলেন, অজ্ঞাতপরিচয় ওই নারী ভারতীয় নাগরিক হতে পারে। তার চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে। কোনোভাবে চেনার উপায় নেই।

রৌমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.

মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, মরদেহটি সম্ভবত ১৫ দিন আগের। শরীরের চামড়া খসে পড়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে।

জামালপুর ৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সাহেবের আলগা ক্যাম্পের সুবেদার মোনায়েম খান বলেন, আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার থেকে ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ইটালুকান্দা এলাকার হলহলিয়া নদীতে লাশটি ভাসছিল। বিজিবির টহলরত সদস্যরা সেখানে গিয়ে লাশ দেখতে পায়। কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পুলিশ এসে নদী থেকে লাশ উদ্ধার করে। ওই নারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন বল ন ওই ন র

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ে নিয়ে যা বললেন পূজা চেরি

শারদীয় দুর্গাপূজা—হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। ঢাকের তালে, উলুধ্বনির সুরে, আলোকসজ্জার ঝলকে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল প্রতিটি পূজামণ্ডপ। এই আনন্দে শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও যুক্ত হন। 

গতকাল বিজয়া দশমীর পবিত্র তিথিতে দেবীকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার সমাপ্তি ঘটে। পূজামণ্ডপগুলোতে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছিলেন ভক্তরা। একে অপরের মুখে সিঁদুর মেখে উল্লাসে মাতেন সনাতনীরা। দুর্গোৎসবের আনন্দ ছুঁয়ে গেছে অভিনেত্রী পূজা চেরিকেও। গতকাল সিঁদুর খেলায় অংশ নেন তিনি।  

আরো পড়ুন:

‘সবাই ধরে নেয় আমি ঋষি কাপুরের অবৈধ মেয়ে’

সংসার ভাঙার কারণে স্বামীকে ১১ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে অভিনেত্রীর?

পূজামণ্ডপে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পূজা চেরি। এ সময় জানতে চাওয়া হয়, বিজয়া দশমীর দিনে দেবী দুর্গার কাছে কী চাইলেন? জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমার যে গর্ভধারিণী মা মারা গেছেন সে যেন ভালো থাকেন। যেখানেই থাকেন যেন ভালো থাকেন এটাই চেয়েছি এবং দুর্গা মাকে বলেছি ‘তুমি যেন ভালো থেকো’। কারণ আমরা সবাই চেয়ে বেড়াই কিন্তু মাকে একটু জিজ্ঞেস করি না যে, ‘মা তুমি কেমন আছো?”  

ব্যক্তিগত জীবনে পূজা চেরি এখনো একা। ফলে তার বিয়ে নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের আগ্রহের শেষ নেই। বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এই অভিনেত্রী বলেন, “এখানে একজন সিঁদুর আমার গালে লাগিয়ে দিচ্ছিল, তখন তারা বলল, ‘প্রার্থনা করি আগামীবার যেন দাদাসহ মণ্ডপে আসতে পারো’।” এ কথা বলে একটু হাসি মুখে পূজা বলেন, “দেখ যাক কী হয়! চিন্তার বিষয় চিন্তা করে দেখি।” 

পূজা চেরি শোবিজ অঙ্গনে যাত্রা শুরু করেছিলেন শিশুশিল্পী হিসেবে। ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই অভিনয় গুণে দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন তিনি। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ